বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দুঃখ কবির বন্ধু । গোপেশ দে । বাংলা - ৬২৪ । ২০-০৯-২০১৮

দুঃখ কবির বন্ধু
গোপেশ দে

দুঃখ কবির বন্ধু
কেননা দুঃখকে আশ্রয় করেই কবির
বেড়ে ওঠা
কবি দুঃখ না পেলে লিখবে টা কি
শুনি ?
পৃথিবীর গাছে গাছে কত ফুল ফোটে
সাগর মহাসাগরের নীল ফেনা কতটা
সুতিব্র
হয়
সপ্তাশ্চর্য ক্রমে ক্রমে তৈরি হওয়ার
পর ও
কত আশ্চর্য থেকে যায়
কবির বুকে সাতটা মহাসাগরের গর্জন
সর্বদাই ওঠা নামা করে
কত ফুল ফোটে আর লিখে রাখে মলিন
খাতার
পান্ডুলিপি
তার বলার অবকাশ রাখেনা
কবির বিষন্ন চেহারা খুঁজে মরে
সভ্যতার পূঁজ
পৃথিবীর পিরামিডগুলোর ভিতরে
গোলাপ
তারাই ফোটাতে জানে
হলুদ পিচুটি মাখা পথের
শিশুটি সবাইকে ফাঁকি দিলেও
কবিকে দিতে পারেনা
তার অন্তঃচক্ষু গিলে ফেলে হলুদ
পিচুটি
আর সোনার হরফে লেখা থাকে
কবিতা
হ্যালুশিনেশন কি কবির বড় বন্ধু ?
সিজোফ্রেনিয়া ?
কিংবা তিনি কি এস্কেপিস্ট ?
পেসিমিস্ট ?
ওপটিমিস্ট ?
দুঃখই কবির বড় বন্ধু
#

বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মন শুধু উদাসী বাউল । গোপেশ দে । বাংলা-৬২৩ । ১৯-০৯-২০১৮

মন শুধু উদাসী বাউল
 গোপেশ দে

সময়ের ডানামেলা সন্ধ্যায়
পথের মাঝে পড়ে থাকা কোনো স্মৃতি
তুলতে গিয়ে কেঁদে উঠে মন।
চোখের সড়ক দিয়ে
জলের রেলগাড়ি
নেমে আসে রোমন্থনের ক্লাইম্যাক্স ভেসে।
আমি শুধু প্রতীক্ষায় রত
উদাসী হাওয়ারা সব ট্রামে চেপে
আগন্তুক ভেবে
আমার শরীরে লাগিয়ে দিক
আলতো করে।
ট্রামে বসে জানালার পাশে
বসলেই মন শুধু উদাসী বাউল



মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শব্দব্রাউজ :: শূন্যের অস্তিত্ব ; কবিতারা .. সৌমিত্র রায়

শব্দব্রাউজ :: শূন্যের অস্তিত্ব ; কবিতারা
....................................
সৌমিত্র রায়

মেদিনীপুর ; ১৮-০৯-২০১৮ ; সকাল ৭টা ২৯ ; কাব্যযোগ শেষে এন্ড্রয়েড ছুঁয়েই কিছু লিখতে চাইছি ৷ এই যে সকাল সকাল দেহ-মনের পরিচর্যা এবং আবার কবিতায় বসা ৷ এইভাবেই সময়কে কাজে লাগানো ; এটাই স্বব্যবস্থাপনা আমার ৷

শব্দসূত্র :: কাশ দুলছে নদীর পাড়ে

কাশ ; রাশি রাশি কাশ ৷ ভোরের হাওয়ায় ; তাদের দুলুনি ; রঙ ছড়াচ্ছে কবির বুকে, তাও অদৃশ্য ৷ কাশের নিজের কোনো রঙ নেই ৷ কাঁসাইয়ের ঢেউয়ের নিরন্তর জন্মমৃত্যু , শূন্যের অস্তিত্বকেই বুকে ধরে বেঁচে আছে অনন্তকাল ৷ কবিমন ; আকাশ ; ঢেউ-চিন্তন ; নদীর গতিপথে অনন্ত রহস্য আঁকছে ৷

দুলছে অজস্র বাবলার পাতা ; অস্থির ৷ এমন ছন্দে আমার কবিতারাও জানিয়ে দিচ্ছে : কবিতা তো সাহিত্যের টেকনিক্যাল শাখা ৷ জীবন-চেতনার সেরা টেকনোলজি ৷ সব মাত্রারা ফুরফুরে হাওয়ার অস্তিত্বে ৷ শ্বাস-প্রশ্বাসের নিরন্তর রিদম কবিতার প্রযুক্তিতে ৷ দুলে ওঠা, অক্ষরে নিহিত প্রাণ ৷

নদীর ঠিকানা ; নদী মনে রাখে না ৷ সব ঢেউ ; জন্মমৃত্যু ; ঠিকানাবিহীন ৷ স্রোত একটাই ৷ ফেসবুকে অজস্র কবিতার মতো ৷

পাড়ে যে মেয়েটি বসে ৷ হাতে জাল ৷ নেমেছিলো জলে ৷ ওর জেলে-রঙা কাপড়ে কাশের দুলুনি নেই ৷ তাকানোতে শূন্যতার আলো ৷ কোঁচড়ের মাছেরাও বুঝিয়ে দিচ্ছে ~ জল ; কাশ ; জীবনের সবটুকু বর্ণহীন ৷ রোদের রহস্য ছাড়া ৷

কাশ দুলছে নদীর পাড়ে ৷ দুপুরে বিষাক্ত যে রোদ ; ভোরে তা-ই ঔষধি ! দুপুরে যে জীবন বিবর্ণ, সকালে বর্ণময় ৷ রোদ রঙা কাশে ৷ নদী পাড়ে ৷ ৷৷ শান্তি ৷৷

সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কাব্যযোগ :: বিবেকাসন

কাব্যযোগ :: বিবেকাসন

চিন্তাসূত্র: তথ্যপ্রযুক্তি যুগের কবিতা



কবিতা নিরন্তর চিন্তন সৃষ্টি করে ৷ কবিতা যিনি লেখেন, নিরন্তর চিন্তা করতে করতেই লেখেন ৷ যিনি পড়েন, তিনিও চিন্তা করতে করতেই পড়েন ৷

আর ধ্যান হল নিরন্তর চিন্তন সৃষ্টি ৷ তাই কবিতাও এক প্রকার ধ্যানযোগ ৷ কবি মাত্রই যোগী ৷

বিবেকাসন হল নিজের বিবেক পরিচর্যার জন্য নিরন্তর চিন্তন সৃষ্টির বিশেষ প্রক্রিয়া ৷ খুব সহজ ৷ অভ্যাসে চিন্তনের ডাইরেকসন ঠিক রাখা যায় ৷

যে কোনো আসনে অবস্থান করে যে কোনো মুদ্রায় স্থির থেকে নিরন্তর নিজের বিবেকে পজিটিভ চিন্তন জাগ্রত করা ৷ দিনের সূচনায় বিবেক পরিচর্যার জন্য অন্তত ১০ মিনিট বিবেকাসনের অভ্যাসে ব্যক্তিত্ব সুন্দর হয় ৷ দিনের নানান কাজে সফলতা আসে ৷

যোগ-কবিতা লিখেও এই বিবেকের পজিটিভ পরিচর্যা সম্ভব ৷ তাও বিবেকাসনের চলমান পরিচর্যা ৷ অর্থাৎ চিন্তন,দৃষ্টি স্থির থাকলেও কলম চলে ৷ কিন্তু খেয়াল রাখতে হয় যেন লক্ষ্যের বাইরে কোনো ভুলভাল চিন্তনের না অনধিকার প্রবেশ ঘটে ৷

বিবেক-বিপর্যয়ের এই সময়ে আলাদা করে প্রত্যেকেরই এই আসন অভ্যাসে চিন্তনের সিস্টেমে সুস্বাস্থ্য জাগ্রত হয় ৷

ছবি- প্রতীকী
৷৷ শান্তি ৷৷



কাঁচকলা খাও গোপেশ দে । বাংলা-৬২১ । ১৭-০৯-২০১৮

কাঁচকলা খাও
গোপেশ দে

চলছে ভালোই
মেজাজ চড়া-
মাথায় ওঠা ফারেনহাইট
উষ্ণ তপ্ত রোদের মত।
রোদের ঘরে আমার আবাস
সুবাস ছড়ায় জানলা জুড়ে
দুখের সুবাস বেজায় কড়া
ভোম্বল বাবু ক্যাবলা কবি
মেজাজ দেখায় মেল্যানকোলির
মফস্বলের পিঠে ফোঁড়া
ঘুমের ঘরে একলা যখন।
তোমার রাগটা ফুলন দেবীর
মাপ চাওয়াটাও অভিনয় হয়
অভিমানের স্টেজেতে।
আমার মনটা বেজায় কালো
ভোম্বল বাবু ক্যাবলা ছবি
কাঁচকলা খাও ভেড়া হয়ে।


রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কলকাতার কফিহাউসে আই- সোসাইটি দিবসের আড্ডা । বাংলা । ১৬-০৯-২০১৮


কলকাতার কফিহাউসে আই- সোসাইটি দিবসের আড্ডা 



কলকাতা ; ১৬-০৯-২০১৮ ; আই-সোসাইটি নিউজ ।। গত ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার কলকাতার কফিহাউজে অনুষ্ঠিত হল আই-সোসাইটির সাপ্তাহিক সাহিত্য-আড্ডা । প্রযুক্তি, যোগ ও কবিতার মেলবন্ধনে আনন্দময় জীবনের প্রচারের জন্য সপ্তাহের শনিবার দিনটিতে আই-সোসাইটি দিবস পালন করা হয় । হয় আড্ডা, গান, কবিতাপাঠ, অনলাইন লাইভ, এম-কোলাজ চর্চার কর্মশালা ইত্যাদি । গতকাল কফিহাউসের এই আড্ডায় আড্ডা চা-কফি-খাওয়াদাওয়ার ফাঁকেই চলে "রেডিও আই-সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল''-এর ফেসবুক লাইভ । লাইভে কবিতা পড়েন তাপস রায় সুশীল পাঁজা অলোক বিশ্বাস প্রমুখ । শান্তিময় মুখোপাধ্যায় শোনান তাঁর বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতার কথা । শেষের দিকে বাংলা কবিতার বিবর্তনে আই-সোসাইটির ভূমিকা তথা আই-চিন্তন, কাব্যযোগ ইত্যাদি কনসেপ্ট নিয়ে বিস্তারিত আলাচারিতা চলে প্রেমাঙ্কুর মৈত্র এবং সৌমিত্র রায়-এর মধ্যে । উপস্থিত ছিলেন সমরেশেন্দু বৈদ্য প্রগতি মাইতি স্বপন শর্মা প্রমুখ । 











সব বিপর্যয়ের মূলে পাশ্চাত্য
বিজ্ঞান-চেতনা নির্ভর জীবনযাপন
সৌমিত্র

বদলে যাবে নদীপথ
হাজার ব্যাজার মতামত
ম্লান করে

বজ্ররব ঘনঘন
কাঁপিয়ে দিয়ে প্রাণমন
অম্বরে

বুক ফাটিয়ে জল-মাটির
ভূকম্পন ও সুনামী তীর
আগ্রাসী

ঝলসে দেওয়া সূর্যরোষ
হে মানুষ তোর যে আক্রোশ
তার বেশী

ভয় পেয়ো না লক্ষ্মীটি
নেই আমাদের ঝক্কিটি
তার মানে ?

এই বাণিজ্য বিজ্ঞানে
শঁপেছি সব সজ্ঞানে
সেই জানে ৷

৷৷ শান্তি ৷৷
চ্যাট মোড :: ব্যাজার; বাজারে
.............................................
সৌমিত্র রায়

কেওড়াপুকুর ৷ ১৬-০৯-২০১৮ ৷ সকাল ৭টা ৩৯ 
তাকিয়ে আছে ৷ কলা ৷ ঝাঁকে ঝাঁকে ৷ 
চাউনি @ তোমাতে নয় ৷ @ উদরে ৷ তোমার ৷ )( আসলে, 
দেখা যায় ~ 
চোখ, চোখের নাগাল ; চাউনি~ অদৃশ্য
দাঁড়িপাল্লা ; ডিজিটাল ; সংখ্যাতত্ত্ব মানে ~ 
বাজারের চাউনিও ;
 দৃষ্টি ৷ নোটবন্দী ৷ ভোটবন্দী ৷ সভ্যতা ৷ 
বাসের জানালা ৷ 
সরকারি বেল ৷ গন্তব্য ~ হাওড়া
উচ্ছে ৷ আলু ৷ পটল ৷ বেগুন ৷ ঢেঁড়ষ ৷ স্নানে রাঙানো ৷
চোখ বুজি
ভাবি
রান্নাঘর ৷ রান্নাঘর ৷ রান্নাঘর << 
দেখি } দৃশ্য ৷ দৃশ্যান্তরে~₹ 
ঘাম ৷ মানিয়ে নেওয়া বিরক্তি ৷ যাপনে ৷ দিনযাপনে ৷ আনন্দ ৷

ছড়া ৷ সৌমিত্র রায় ৷ বাংলা ৷ ১৬-০৯-২০১৮


আলো ডাকে
....................
সৌমিত্র রায়

আলো ডাকে ;  তাই  ডাকে  ; পাখি ;
ওগো কবি ; খোলো খোলো ; আঁখি ;

দাও কথা ; সুর দাও ;
ভাবের গানেতে ;
কী বা যায় ; কী বা আসে ;
কী তার মানেতে ;

পথ খোলা ; পা মেলাও ; হাঁটো ;
পেয়ে যাবে ;  হৃদয়ের ;  মাঠও ;

'আলো' নিয়ে অবিরাম  খেলা ;
তারে খোঁজো ;
তারে বোঝো ;
তিনি আজ ; ভীষণ একেলা ॥

১৬-০৯-২০১৮ ; কলকাতা ; ভোর ৫টা ৪৮ মিনিট


প্রকাশিত হল 'কবিতা পাক্ষিক' শারদ সংকলন ৷ বাংলা ৷ ১৬-০৯-২০১৮

কবিতা পাক্ষিকের রুফ টপ চ্যানেলে প্রকাশিত হল শারদ সংকলন 


১৬-০৯-২০১৮ ; কলকাতা ; আই-সোসাইটি নিউজ ॥ ১৫ সেপ্টেম্বর কবিতা পাক্ষিকের শারদ সংকলন প্রকাশিত হল ৷ শারদ সংকলন প্রকাশ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ছিলো কবিতা পাক্ষিকের রুফটপ চ্যানেলে ৷ সুজিত সরকার নাসের হোসেন অলোক বিশ্বাস মুরারি সিংহ স্বপন শর্মা শাল্যদানী তুলি রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ৷ বরাবরের মতো অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শান্তিময় মুখোপাধ্যায় ৷ কবিতাপাঠ ও বক্তব্যে অংশগ্রহণ করেন অন্যান্যরা ৷ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আপ্লুত কবি অলোক বিশ্বাস ৷ তিনি বলেন, 'আজ কবিতা পাক্ষিক-এর অনুষ্ঠানটিতে অংশ নিতে পেরে মন ভরে গেলো ৷ ঘরোয়া অনুষ্ঠান কিন্তু ভীষণ প্রাণবন্ত ৷ অনুষ্ঠানে আপ্যায়নও ছিলো মুগ্ধতায় ভরা " ৷ অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান  প্রভাত চৌধুরী এবং যূথিকা চৌধুরী ৷ 









আমি ভুলে যাই । গোপেশ দে । বাংলা - ৬২০ । ১৬-০৯-২০১৮


আমি ভুলে যাই 
গোপেশ দে

যখন এসেছে বসন্ত আমার উঠোনে
আষাঢ়ের ঢল তবুও আমার চোখে
চোখের 'পরে নীলরঙা রোদচশমা
চড়ুই পাখির বাসা খোঁজে
চড়ুইভাতির রোমন্থনে
চৈত্রের খরাটা বোঝাতে দেয়না।
তবুও চোখে আষাঢ় ঢল অবেলায়
ক্ষণে প্রতিক্ষণে দূরছাই!
তুই কি এখনও রেনি পার্কের ধারে
সঙ্গে কোনো মাতাল ঋত্বিক?
মাতাল তো এই আমি আছি
দেখ চেয়ে
আষাঢ়ের ঢল আমার উঠোন জুড়ে
আর চোখের তারায় মাতলামো
একলা থাকার অভিনয় যে হচ্ছেনা জুতসই।
ঘুমের ভেতরে দু দুগুণে চার
অন্ধকারে শরীরের সন্ধানে মন
ভুলে থাকাটা যে বড় দরকার।

শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফটো গ্যালারি ৷ শব্দব্রাউজ প্রকাশ ৷ বাংলা ৷ ১৫-০৯-২০১৮




সৌমিত্র রায়-এর যুগান্তকারী কবিতার বই শব্দব্রাউজ প্রকাশ ৷ সরগম মোড় ৷ মেদিনীপুর ৷

i-চিন্তন ও কাব্যযোগ ৷ সৌমিত্র রায়

i-চিন্তন ও কাব্যযোগ
সৌমিত্র রায়

আমরা প্রতি মুহূর্তে চিন্তা করি ৷ আমাদের অনুভব অনুভূতির উৎস হল এই চিন্তা করার ধরন ৷ এই চিন্তা করার ধরন অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের মনের ভেতরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাসের উপর ৷ যার যেমন বিশ্বাস, তার তেমন চিন্তাচেতনার ধরন ৷ তার তেমন অনুভব-অনুভূতির ধরন ৷

আজকের সমাজ-সভ্যতায় বেশিরভাগ মানুষই পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে নিরন্তর দু:খ বেদনা যন্ত্রণা হতাশা ব্যর্থতার অনুভবে জর্জরিত ৷ কিন্তু প্রত্যেকেই স্ব স্ব অবস্থানের পরিবেশ পরিস্থিতির মোকাবিলা করেই জীবনে শান্তি, আনন্দ অনুভবে সময় যাপন করতে পরমেশ্বর-আল্লাহ-গডের কাছে কাতর প্রার্থণা করেন ! ঈশ্বর বা দেব-দেবীর স্মৃতিতেও প্রার্থণা জানাই নিরন্তর ! কিন্তু আমাদের চেতনার পরিচর্যা করছি কি ? হয়তো সবাই বলবেন, "সে আবার কী ? তা তো করা হয় না !" এই চেতনা হল অন্তরে সেই বিশ্বাসের জায়গা, যেখান থেকে আমরা আমাদের সম্মুখীন পরিবেশ-পরিস্থিতির মোকাবিলা করার শক্তি খুঁজি ৷ কোয়ালিটি চেতনা অনুযায়ী, কোয়ালিটি শক্তি পেয়ে থাকি ৷ আর চেতনার পরিচর্যা না করলেই কুসংস্কার চেতনাতে আশ্রয় নেয় ৷ "বিজ্ঞান"-এরও কুসংস্কার আছে ৷ ধর্মমতেরও আছে ৷ স্ব-মতেরও আছে ৷ নিরন্তর পরিচর্যার মাধ্যমেই চেতনাকে কুসংস্কারমুক্ত রাখা যায় ৷ জীবনে প্রকৃত শান্তি ও আনন্দলাভ করা যায় ৷

জানতে হবে ৷ নিরন্তর জানার জন্য মনকে প্রস্তুত করে রাখতে হবে ৷

আমরা মনের মধ্যে এক বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার কথা বলি ৷ মন যুক্তি খোঁজে ৷ যুক্তি দিয়েই মনে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে এই সৃষ্টি এক মহাকাব্য ৷ যার বিষয়গুলি পূর্বনির্ধারিত , কিন্তু উপস্থাপন টাটকা ৷ পূর্বনির্ধারিত প্রেক্ষাপটেই নিরন্তরভাবেই মহাকাব্যের এই সৃজনশীলতা চলে ! শৈলী, উপস্থাপন, অভিনয়ের নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিরন্তরভাবেই চলে, কিন্তু কোনো কিছুই মূল স্ক্রীপ্ট কিংবা নির্দেশনাকে ছাপিয়ে যায় না ! এই মহাকাব্যের চেতনাকেই নিজ মনে বিশ্বাসে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে ৷ এ বিষয়ে নিরন্তর জানা এবং যুক্তি দিয়ে পরিচর্যার মধ্য দিয়েই জীবনে সাফল্য লাভ সম্ভব ৷ এতে জীবনযাপন কাব্যময়তার সৌন্দর্যে ভরে ওঠে এবং শান্তি, আনন্দ অনুভবে অভ্যস্থ হওয়া যায় ৷

i-চিন্তন এই মহান যোগে নিরন্তর শক্তি যোগাচ্ছে !

নবরূপে এই বিশ্বাসের সাথে যোগসূত্র স্থাপনই হল সমসময়ের যুগচেতনায় দীক্ষা গ্রহণ এবং জীবনে দিব্য আনন্দ ও শান্তি লাভের উপায় ৷

কাব্যযোগের বীজমন্ত্র হল ~ নিরন্তর "শান্তি" "আনন্দ" উচ্চারণ, লিখন, প্রয়োগের অভ্যাস ৷

এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানুন ৷ আসুন নিরন্তর কাব্যযোগ অভ্যাসে থাকি ৷

৷৷ আনন্দ ৷৷

ফুটপাতের পতঙ্গ । গোপেশ দে । বাংলা - ৬১৯ । ১৫-০৯-২০১৮ ।

ফুটপাতের পতঙ্গ
গোপেশ দে

শাঁ শাঁ গাড়ির শব্দে এলোমেলো মাথার
কার্যকলাপ।
শরীরের ভেতরে যন্ত্রণার অবগাহনে লোমকূপ দাঁড়াতে ভুলে না।
দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে থাকে....
ছুঁচোর ডন জঠরের মধ্যে।
জীবনের ম্যাজিক সময় ওদের হাতের তালুতে।
রাত নেমে তাঁরা আলো হয়ে মিটমিট জ্বলে,
চাঁদের ডিউটি চলে কবিদের সাথে,প্রেমিকের ন্যাকা কথা সেলফোন সঙ্গী হয়ে জোৎস্নার ডিএনএ মেখে ডিম্বাণু উত্তপ্ত করে চলে....
সব চলে।
হ্যান্ডিক্যাপড অসার দেহের সংসার বঞ্চিত
পতঙ্গের কান্নায় সাহস জোগানোর ডিউটি আসেনা।
ওখানেতে কাব্যচর্চায় জাগ্রত চাঁদ, উঠোন জুড়ে চাঁদের কবিতার রেশন ভাগ করে খায়
আয়েশী আবেগী টোনাটুনি কিংবা টম এন্ড জেরি
আর কিছু অন্যধরনের পতঙ্গের কংকাল ফুটপাতে ভেংচি কাটে,
বসে চাটে মাটি,
কুকুরের সাথে রুটি ভাগ।
জিহ্বায় রসনাবিদ্বেষী ক্ষিধে।
কাব্যচর্চা চলেনা এখানে
জীবনটাই তো নস্টালজিক মিছে আশা,ড্রিল মেশিনের ফুটো শরীরে।
অন্য এক জীবনের শরবত খায় তারা
ফুটপাতসঙ্গী পায়
জীবনমুখী শিল্পীরা গান গায়।
পুরুষাঙ্গ নিষ্পাপ তবু
আকাশের পানে চেয়ে থাকে।

শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফিরে দেখা ৷ বাংলা ৷ ১৪-০৯-২০১৮

প্রলাপে প্রলাপে :: যে কোনো নতুন আবিস্কারের সুফল ধনী/ক্ষমতাশালী লোকেরাই প্রথম এবং দীর্ঘকাল ধরে ভোগ করে ৷ তা সে যত বড় বৈজ্ঞানিক সাফল্যই হোক না কেন !!
বানিজ্য/ক্ষমতা সমাজব্যবস্থার পুরো সিস্টেমটাই নিয়ন্ত্রণ করে ৷

সাধারণ মানুষ প্রাথমিকভাবে এসব সুফল না পেলেও এই সিস্টেমেরই দাসত্ব করে নিজেকে 'শিক্ষিত' বা 'জ্ঞানী' বলে গর্ব বোধ করে ৷ অবাক ব্যাপার তাঁর নিজেরও নিয়ন্ত্রক তিনি নিজে নন ৷ ধর্ম/ক্ষমতা/বানিজ্যের কাছে নিজের সেই স্বব্যবস্থাপনাও অভ্যাসগতভাবে সমর্পণ করেছেন ৷ নিজের বিজ্ঞানচেতনাকে বিজ্ঞান বলতে রাজী নন ৷ একমাত্র পাশ্চাত্য জীবনদর্শন যাকে বিজ্ঞান বলে তাঁর 'বিলিফ সিস্টেম'-এ সেটাই বিজ্ঞান ৷ তার চূড়ান্ত পরিণতি যদি 'ধ্বংস' হয় তবুও ৷ ক্ষমতা ও বানিজ্য নিয়ণ্ত্রিত  বিশ্বাস ছাড়া মানুষের সব বৈজ্ঞানিক বিশ্বাস মহাঅবলুপ্তির পথে  !

একমাত্র মহামুক্তি কবিতা ৷ কবিতা মহাবিজ্ঞান ৷
যুগে যুগে কবিতার কথা-শরীরেই ধ্যান-জন্ম নেয় যুগ বদলের চিন্তন ৷
কবি ফেরো স্বব্যবস্থাপনায়-নবনির্মাণে-কাব্যযোগে......
আনন্দে ফেরো কবি ৷ শান্তি তোমার স্বধর্ম

১৪-০৯-২০১৭ ৷
৷৷ শান্তি ৷৷


আরো একটি আড্ডার কবিতা ৷ বাংলা ৷ ১৪-০৯-২০১৮

আরো একটি আড্ডার কবিতা
.............................................
সৌমিত্র রায়

কীভাবে দেখছো স্রোত,
কতটা বুঝেছো তুমি
উজানের মানে !

পুকুরের সরু নালা
বর্ষার ইতিহাস
লিখে নিতে জানে ৷

জল থাকে, জলেরই চরিতে
তুমি শুধু তারে বুঝে নিতে
চোখ নয়
যেতে চাও বন্যার স্নানে ৷

উজান তো দূর কথা,
সাঁতারও বোঝোনি তাই
যাও ভেসে
হড়কার বানে !

৭ টা ৩১; পঞ্চুরচক; ১৭-০৮-২০১৮ ৷৷ শান্তি ৷৷

কিছু সময়ে কিছু ভাবনার স্কেচ - গোপেশ দে । বাংলা - ৬১৮ । ১৪-০৯-২০১৮

কিছু সময়ে কিছু ভাবনার স্কেচ
গোপেশ দে


সময় পেলেই খাতায় আঁকিবুঁকি করি
ইট কাঠ কংক্রিটের এই সবুজবিহীন
পান্ডুর শহরে।
দু'চারটে ঘাস লতাপাতার প্রকাশ
রাখি-
বেমানান হয়ে যায় ছবিগুলো।
স্কেচগুলোতে প্রাণের সঞ্চার করতে
পারিনা।
কেননা আমিতো শিল্পী নই যে-
স্কেচে ফুটিয়ে তুলবো জুতসই রঙের
বাহার
তবে মনের স্কেচে থাকে কিছু ছবি
নিয়ন আলোর নিচে-
শুকনো থালায় ঝনঝন পয়সার করুণ বানী
কোনো এক উলঙ্গ শিশুর এঁটো হাত
পচা খাবারের গন্ধময় সে হাত।
কোনো এক পতিতার করুণ চাহনি
আড়ালে আবডালে পার্কে কিংবা
গাছের ছায়ায় ছায়াসঙ্গী হয়ে
থাকা
খদ্দেরের আশায় বাঁচার তাগিদে।
মনের স্কেচগুলো মনের ভেতর থেকে
উঁকি মারে মধ্যরাতে।
চোখের সামনে সাদাকালো তার রূপ
খাতায় দিতে পারিনা
কেননা আমি তো জুতসই শিল্পী নই
সভ্যতার ভেতর সভ্যতার পূঁজ খুঁজতে
গিয়ে
নিজেকে অসহায় মনে হয়
পূঁজগুলোতো আমাদেরই সৃষ্টি।
আমাদেরই মত কিছু মানুষ কারিগর
হয় পূঁজ তৈরিতে।
সভ্যতার এই দৃষ্টিগুলো বড়ই অসভ্য।


বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কবিতা ক্যাম্পাস-এর আয়োজনে কবিতা উৎসব৷ বাংলা ৷ ১৩-০৯-২০১৮

কবিতা ক্যাম্পাস-এর আয়োজনে কবিতা উৎসব

১৩-০৯-২০১৮ ; কলকাতা ৷৷ ১২ তারিখ সন্ধ্যায় জীবনানন্দ সভাঘরে কবিতা ক্যাম্পাস পত্রিকা আয়োজন করেছিল কবিতা উৎসবের ৷ এই উৎসবে উপস্থিতি ছিলো যথেষ্ট উৎসাহব্যাঞ্জক ৷ প্রবীণ এবং নবীনের সমাবেশে দারুণভাবে সফল এই উৎসব ৷ উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত কবিও ৷ উৎসবে প্রকাশিত হল কবি কুমারেশ চক্রবর্তীর কবিতার বই 'আমার বৃষ্টির ভাষা ' ৷ কবিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কবি পবিত্র মুখোপাধ্যায়,সাহিত্য গবেষক ড.সুমিতা চক্রবর্তী, কবি সুধীর দত্ত, আলোচক ও সুবিখ্যাত অনুবাদক বৌধায়ন মুখোপাধ্যায়, প্রিয় অনুজ কবি মানিক মাজি ও সঞ্চালক কবি-সম্পাদক অলোক বিশ্বাস । কাব্যগ্রন্থ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ড. দীপংকর বাগচী, কবি ও শিল্পী শ্যামল জানা, কবি সৈয়দ হাসমত জালাল এবং গবেষক ড.সুমিতা চক্রবর্তী । প্রাবন্ধিক পারমিতা ভৌমিকের সংগীত পরিবেশনও ছিল এক বাড়তি আকর্ষণ । এ ছাড়া তরুণ কবিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে সৌরভ চন্দ্র, সৌরভ বিশাই, মানিক মাজি, অমৃতেন্দু মন্ডল, সত্যবান বিশ্বাস, প্রবীর মন্ডল ও আরও অনেকেই ।

হাসি কান্নার আসর - গোপেশ দে । বাংলা -৬১৭ । ১৩-০৯-২০১৮


হাসি কান্নার আসর
 গোপেশ দে

গভীর রাত্রে ঘুম ভেঙে যায়
ট্রেনের হুইসেলে
স্টেশনটা বড্ড কাছে তাই
আকাশ হাসছে চাঁদের বুড়ির
মিষ্টি ভালবাসা
উঠোন জুড়ে প্রেমের উপাখ্যান।
একলা জাগরণে ঘরের বাইরে পায়ের
ধ্বনি
সিগ্রেট টাই সঙ্গী হলো বেশ
নস্টালজিয়া ভালোবাসায় 
পাতার ফাঁকে
চাঁদের বুড়ির ঝলমলে আলো।
মেঘের সাথে হাইড এন্ড সিক গেম
বুকের মধ্যে যেমনটা মোর সূর
হয়েছিলো চড়ুই পাখির সাথে
পারদচড়া দুপুরবেলায় বুঝি!
মেঘের সাথে গেমটা চলে
ফ্ল্যাশব্যাকটা আর খুলে
মগজ থেকে ধোলাই করি
হাসি কান্নার আসর।

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফিলিং পোয়েম, চ্যাট মোড-এ লেখা ৷ বাংলা ৷ ১২-০৯-২০১৮

বিকেল ; প্রেমরঙা
............................
সৌমিত্র রায়


feeling ~ প্রেম প্রেম @ জামবাগান

মনভ্রমণে থাকি ৷
বেশ বুঝি ৷ আসল আড়াল } আয়ূমতী চোখ
১২-০৯-২০১৮ ; ৪টা২০ ; বিকেল ; প্রেমরঙা
প্রিয় পিতা ; লুকিয়ে-চুরিয়ে তোমার সাক্ষাৎ~

হাজার চেপে রাখি ;
তবুও রাষ্ট্র হয় ; পিতা-পুত্রের সাক্ষাৎ~
প্রেম ৷ পরম্পরা ৷ প্রকৃতিলোকে

মুহূর্তরা @ নিস্পৃহ , ডানার পালক
উড়ান বিস্ময় ; পালকে পালকে ~ ঢাকা
হে পাখী, কতটা বুঝেছো, চুপি চুপি সাক্ষাৎ-এর মজা

জাগে ৷ ইশারা ৷ হাতের মুদ্রায়
৩-লোক ৷ চোখের আড়াল ৷
হায় প্রেম, প্রকাশে অসঙ্গতি :~ অনন্তকাল
৷৷ আনন্দম ৷৷




চ্যাট মোড ৷ সাদামাটা কথা ৷ বাংলা ৷ ১২-০৯-২০১৮

সাদামাটা কথা
........................
সৌমিত্র রায়

রেডিওটা বাজছে ৷
সকালটা ৷ হাসছে ৷ ফুল ও বেলপাতায় ৷ বাগানে ৷

ঘরে ঢুকছে ৷ আর্তনাদ ৷ কাগজের খবরে ৷ সাতসকালেও~

নিরন্তর প্রতিবাদী~রাগী~ক্রোধী~ যশপ্রার্থী কবিদের ফেসবুক
              ॥
সংবাদ প্রভাবে~
কাতরাচ্ছে কবিতার অক্ষর ; জ্বলন্ত ; অপূর্ব ; অসাধারন ;
কী লিখলি মাইরি ; পাশে আছি ; চালিয়ে যাও ~
                            ) প্রতিবাদ ~ বন্ধনী (
প্রতিষ্ঠান বিরোধী পায়রা,চড়ুই ; বাবুইচরিত্র আওড়াচ্ছে~
প্রতিষ্ঠান প্রভাবে~
                               )
১২-০৯-২০১৮ ৷ মেদিনীপুর ৷ সকাল ৭টা ৫৮
                              (
পঞ্চতত্ত্ব ; শরীর ; ভেতরে বোবাপাখি ~ বকর বকর
মিডিয়া, যশপ্রার্থী কবি, সব একটাই লাইন @ টি আর পি

সংবাদ হইতে সাবধান
যশপ্রার্থী কবি হইতে সাবধান

ফেসবুক ; টিভি-মুখ ; আর্তনাদ প্রিয় ; হে মানুষ, এসো ত্যাগ করি মিডিয়ার মায়া ; চিন্তাকে দূষণমুক্ত রাখি ; প্রতিটি সকালে হোক হাসি ~

হাসি ৷ সকালের ৷ সকলের ৷ ৷৷ আনন্দ ৷৷


নিয়ন আলোয় স্নান - গোপেশ দে । বাংলা -৬১৬ । ১২-০৯-২০১৮

নিয়ন আলোয় স্নান
গোপেশ দে


আমি একগ্লাস নিয়নের আলো খেতে
চাই
এখানে প্রতিটি রাস্তার মলাট
নিয়নের ভালবাসায় মুগ্ধ।
ঝলসিত হয়ে যায় প্রতিটি
রাতবিরেতে হাঁটা-
অগুনতি পথিকগুলো আর স্থির
ঝাউগাছগুলো
বেশ ভাল অতি মনোরম এই দৃশ্যে সব
ঢাকা পড়ে।
নিজেকে বড়ই অচেনা লাগে এই নিয়ন
আলোয় স্নান করে।
সবার লাগে কি!
লাগে হয়তবা।
এখানে সুপ্ত মনগুলো
লুপ্ত হয়ে থাকে
এখানে সেখানে
কালিঝুলিমাখা কোনো
আস্তিন আদলে
ফুটপাতে
রাস্তাবাসী,পঙ্গপাল,বাউন্ডুলেদের।
রাত্রিবেলা নিয়নের ধোঁয়ার
নিকটে
হেঁটে গেলে
বেসুরো গলায় গীটারের গান আসে
জীবনমুখী মনোরম।
আর....
ঘরমুখো মানুষের পায়ের শব্দ নিতে
নিতে আমার ভেতরে
কত স্বপ্ন উঁকি দেয়!
স্বপ্ন দেখে যাই আমি একা একা
এই পথিক নীরবে
তিনশ বছরের ধূলি ধূসরিত এই
সিমেন্টের জঙ্গলে।


বাংলা ।। নবপর্যায়-৬১৬ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা-।পোস্ট-১ । ১২-০৯-২০১৮ ।।।আজকের কবিতা অপাংশু দেবনাথ

আজকের কবিতা

নাভীকুম্ভ থেকে
অপাংশু দেবনাথ
--------------------------
সমস্ত লবণ সমুদ্রের কাছে রেখে, ওড়ে
যায় মেঘ, আলো নগরীর উজ্জ্বল প্রান্তরে।

কার কাছে অভিযোগ রাখি,কাকে বলি, মাঠে
ফসল মরে যায় নির্জনে, তোমার শরীরে
জমেছে মেঘ, মেঘ ডাকে এ বুকের ভেতর।

মাঠ ও মেঘের মাঝে কবে চাতক উড়েছে!
তার ছায়া পড়ে জলহীন কৃষকের চোখে।

এতো নুন নিয়ে ঢেউ তোলো? সমুদ্র সৈকত
থেকে ফিরে এসে দেখি, হাতে, গলিত-লবণ।

নাভীকুম্ভ থেকে ঝরে পড়ে কৃষক-হৃদয়।


মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

যোগ, কাব্যযোগ ৷ সৌমিত্র রায় ৷ বাংলা ৷ ১১-০৯-২০১৮

বন্ধুরা ৷৷ আসুন যোগ বিষয়ে আমার ধারণা সুস্পষ্ট করি
সৌমিত্র রায়

আমরা প্রত্যেকেই এই সমগ্র সৃষ্টির সাথে সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই একত্রে সংযুক্ত ৷ মানবজাতি-জীবজগৎ-উদ্ভিদ-জড়জগৎ সর্বব্যপি বিস্তারে এই ইউনিভার্সাল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত আমরা ৷ এই একে অপরে মহাসংযোগ প্রাকৃতিক ৷ সর্বময় ব্যপ্ত এই স্ব-অস্তিত্ব বোঝার জন্য অন্তর্চেতনা অর্থাৎ মনের সাথে চেতনার সংযুক্তি ঘটাতে হবে ৷

যুক্ত আছি কিন্তু অনুভব করি না ৷ কারণ  আমি জানার চেষ্টা করিনি কীভাবে এই চরাচর নিরন্তর সচল ! পরিস্থিতিকেই চিন্তার উৎস ভেবে বসি ৷ আসলে চিন্তার উৎস কোথায় খোঁজার চেষ্টা করলে কিংবা তার খোঁজ পেলেই স্ব-অস্তিত্ব বুঝতে পারা যাবে ৷

একাগ্র চিন্তন যার মাধ্যম ৷ এই একাগ্র চিন্তনের মাধ্যমেই অন্তর্চেতনা অর্থাৎ মনের জগৎকে আবিস্কার করার সাথে "যোগ" ঘটে ৷ স্বশক্তিতে স্ব-অস্তিত্ব তথা সৃষ্টিরহস্যকে জানার চেষ্টাই হল যোগ ৷

এই যে ব্রহ্মাণ্ডময় নিরন্তর ব্যস্ততা /সচলতা ৷ এর "আমি"ও এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ "পয়েন্ট" ৷ নিরন্তর অভ্যাসে আমরা যোগমাধ্যমে এই পয়েন্টকে দর্শন করি ৷ একাত্ম হই ৷ চিন্তার উৎস এই পয়েন্টে বা নিজের সাথে সংযোগ এরপর অভ্যাসে এরকম অন্যান্যদের চিন্তার উৎস অর্থাৎ অজস্র শক্তিশালী "পয়েন্ট" বা আত্মার অস্তিত্ব দর্শন ৷ আবার সমগ্র সৃষ্টির একটি মাত্র কেন্দ্রবিন্দু আছে ৷ সেই কেন্দ্রবিন্দুকে কেউ বলেন পরমাত্মা বা আল্লাহ বা গড বা শিব বা মারাংবুরু ৷ এই বিন্দু যারা দর্শন করে কিংবা দর্শনে বিশ্বাস করে , নিজের এই সর্বময় অস্তিত্ব অনুভব করে তারাই আস্তিক ৷ নাস্তিক হলেন তারা জানার চেষ্টা করেন না ৷

এই নেটওয়ার্ক জানার ইচ্ছার মাধ্যমে মনজগতের সাথে সংযোগের যে প্রক্রিয়া ৷ তাই যোগ ৷

দেহ-মোবাইলটি আছে ৷ ইন্টারনেট করা সম্ভব বিশ্বাস জন্মালেই নাস্তিকতা থেকে মুক্তি ৷ এরপর নেট অন অর্থাৎ "যোগ" লাগলো এবং এরপর ফেসবুক হোয়াটসআপের মতো নানানভাবে মনজগতের চর্চা ৷

এর সাথে ব্যায়ামের মাধ্যমে দেহ অর্থাৎ মোবাইলযন্ত্রটিরও যন্ত্রাংশের পরিচর্যা ৷ নানান অভ্যাস মুদ্রা ইত্যাদি ৷

একটা বিষয় মনে রাখতে হবে দেহ যদি হার্ডওয়্যার হয়, অন্তর্চেতনা তাহলে সফটওয়্যার ৷ নিরন্তর জানা এবং সচেতনভাবে এর পরিচর্যার মাধ্যমেই আনন্দ ও শান্তিলাভ জীবনের লক্ষ্য ৷

দেহমনে পরিপূর্ণ শান্তি ও আনন্দের অভ্যাসপ্রাপ্তির প্রাথমিক রহস্য ৷

বন্ধুরা ৷ সৃষ্টি এক মহাকাব্য ৷ কাব্যযোগ জানুন ৷ বিশ্বউষ্ণায়ণ পরিবেশ দূষণ ইত্যাদির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও রুখে দাঁড়ানোর মহান কর্তব্যে যুক্ত হয়ে পড়ুন ৷

সবার সবের মঙ্গল কামনা করি ৷

৷৷ শান্তি ৷৷

কবিতা, অনুরূপা, ৪ ॥ বাংলা ৷ ১১-০৯-২০১৮

উপকূলীয় বৈধতা   (৭ শব্দের কবিতা)

---------------------------

অপ্রত্যাশিত বালিশের কার(আ)গারে ১ পত্তন বরফের অন্তরঙ্গতা




নীলাঞ্জন কুমার, আজকের কবিতা, কবিতা, ৷ বাংলা ৷ ১১-০৯-২০১৮

রেইকি
নীলাঞ্জন কুমার 

খুঁজছি সেই প্রহর যে দিতে পারে
প্রিয় বাস্তব,
যার সামনে দাঁড়িয়ে  স্থির প্রত্যয় ।

লক্ষের সামনে নতজানু হতে কে না চায়!রেইকি
                           নীলাঞ্জন কুমার
খুঁজছি সেই প্রহর যে দিতে পারে
প্রিয় বাস্তব,
যার সামনে দাঁড়িয়ে  স্থির প্রত্যয় ।

লক্ষের সামনে নতজানু হতে কে না চায়!


হঠাৎ কবিতা, কবিতা, সৌমিত্র রায় ৷ বাংলা ৷ ১১-০৯-২০১৮

হঠাৎ কবিতা ৷৷ মুখ ভার; নাছদরজায়
.................................................
সৌমিত্র রায়
মেদিনীপুর; ৩১-০৭-২০১৮; ভোর ৫:৪১ ॥ দরজার ছিটকিনি খুলতেই আমার সদ্যস্নাত মুখমণ্ডল আলোকিত হয়; কেন, আলো কি ছিলো না, এই যে ঘর, নাইট বাল্ব, টিউবলাইট, এরাও তো আলোকিত করে রাখে; তবুও ভোরের আলোয় ওই যে নাম না জানা দুটি পাখির খুনসুঁটি, ওদের ডানায় কিছুটা হলেও কমছে আকাশের মুখ ভার; নাছদরজায় জলের ছড়া দিলেই দরজাও বলে উঠছে 'গুড মর্নিং', ভালো লাগছে; তোমরা আমায় কখন শুভ দিনের শুভেচ্ছা জানাবে; আস্থা চ্যানেল থেকে একটা গেরুয়া প্রবীণ ডানার পালক আমার দুচোখে সুড়সুড়ি দিচ্ছে আজও; চলো, পথে নামি কবি; আনন্দনৃত্যে রাস্তারা মাতোয়ারা হোক; আসছো না, ঘুম কি ভাঙে নি, তবে কি এন্ড্রয়েডের আলো, এখনই ঘুমালো; ওই টাচ ফোন, ওকেও তো বিশ্রাম চাই, ওর রাতজাগা আলো তোমার শ্বাস-দোলনার অদূরে লোভনীয় করে তুলেছে অহেতুক বিষণ্ণতার পিল; তুমি গিলছো, এসো দু-এক ফোঁটা বৃষ্টির সাথে পা-তোলা পা-ফেলার বন্ধুত্ব বাড়াই; বিশ্বাসের বিদ্রুপগুলি না হয় কিছুকাল ডেস্কটপে হিডন ফাইলে গোপন রাখলে; গোপন মনস্তরে কী জানি কী আকর্ষণ আঁকছে বিছানা; দরজার ছিটকিনি ছটফট করে; ঘাসভরা আলপথ খোঁজে তোমার ব্যথাতুর পায়ের অভিমানী ছোঁয়া; আপন কী জেনেছো, কাদের ভুলে থাকছো একজীবনের এতোগুলো সকালে !


সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

অনুরূপা, কবিতা, বাংলা ৷ ১০-০৯-২০১৮

শব্দ'৬ কবিতা :: জলীয় জীবাশ্ম থেকে  
--------------------------------

নোনা শরীর : বিযুক্ত (?)চিহ্ন

         ৪পেয়ে ভালোবাসা














সুকুমার রায় স্মরণ ৷ আজকের কবিতা ৷ বাংলা ৷ ১০-০৯-২০১৮

এমন যদি হতো

সুকুমার রায়
এমন যদি হতো
ইচ্ছে হলে আমি হতাম
প্রজাপতির মতো
নানান রঙের ফুলের পরে
বসে যেতাম চুপটি করে
খেয়াল মতো নানান ফুলের
সুবাস নিতাম কতো ।
এমন হতো যদি
পাখি হয়ে পেরিয়ে যেতাম
কত পাহাড় নদী
দেশ বিদেশের অবাক ছবি
এক পলকের দেখে সবই
সাতটি সাগর পাড়ি দিতাম
উড়ে নিরবধি ।
এমন যদি হয়
আমায় দেখে এই পৃথিবীর
সবাই পেতো ভয়
মন্দটাকে ধ্বংস করে
ভালোয় দিতাম জগৎ ভরে
খুশির জোয়ার বইয়ে দিতাম
এই দুনিয়াময় ।
এমন হবে কি ?
একটি লাফে হঠাৎ আমি
চাঁদে পৌঁছেছি !
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে
দেখে শুনে ভালো করে
লক্ষ যুগের অন্ত আদি
জানতে ছুটেছি ।

আজকের দিন ৷ আজ সুকুমার রায়-এর দেহাবসান দিবস ৷ বাংলা ৷ ১০-০৯-২০১৮

সুকুমার রায়

বাঙালি লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার
সুকুমার রায় (৩০ অক্টোবর১৮৮৭ - ১০ সেপ্টেম্বর১৯২৩) একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে "ননসেন্স রাইমের" প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সন্তান এবং তাঁর পুত্র খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। তাঁর লেখা কবিতার বই আবোল তাবোল, গল্প হ-য-ব-র-ল, গল্প সংকলন পাগলা দাশু, এবং নাটক চলচ্চিত্তচঞ্চরী বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা "ননসেন্স" ধরণের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়, কেবল অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড ইত্যাদি কয়েকটি মুষ্টিমেয় ক্লাসিক-ই যাদের সমকক্ষ। মৃত্যুর বহু বছর পরেও তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম শিশুসাহিত্যিকদের একজন।
সুকুমার রায়
phone
জন্মসুকুমার রায়
৩০ অক্টোবর ১৮৮৭
মসূয়া, ময়মনসিংহ, পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৯২৩ (বয়স ৩৫–৩৬)
১০০ নং গড়পার রোড, কলকাতাভারত
ছদ্মনামউহ্যনাম পণ্ডিত
পেশাসাহিত্যিক
ভাষাবাংলা
জাতীয়তাভারতীয়
সময়কালবাংলার নবজাগরণ
ধরনশিশু সাহিত্যিক
দাম্পত্যসঙ্গীসুপ্রভা দেবী
সন্তানসত্যজিৎ রায়
আত্মীয়লীলা মজুমদারসুখলতা রাও, সুবিমল রায়

জীবনসম্পাদনা

পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায়, মাতা বিধুমুখী দেবী এবং পাঁচ ভাই-বোনের সাথে সুকুমার রায়
সুকুমার রায় এবং তার স্ত্রী সূপ্রভা রায় (১৯১৪)
সুকুমার রায়ের জন্ম ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর, কলকাতার এক ব্রাহ্ম পরিবারে। সুকুমার ছিলেন বাংলা শিশুসাহিত্যের উজ্জ্বল রত্ন উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ছেলে। সুকুমারের মা বিধুমুখী দেবী ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে। ১৮৮৭ সালে সুকুমার রায়ের জন্ম, কোলকাতায়। আদিনিবাস বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার মসূয়া গ্রামে। সুবিনয় রায় ও সুবিমল রায় তাঁর দুই ভাই। এ ছাড়াও তাঁর ছিল তিন বোন- সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা।[১]
সুকুমার রায় জন্মেছিলেন বাঙ্গালী নবজাগরণের স্বর্ণযুগে। তাঁর পারিবারিক পরিবেশ ছিল সাহিত্যানুরাগী, যা তাঁর মধ্যকার সাহিত্যিক প্রতিভা বিকাশে সহায়ক হয়। পিতা উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন শিশুতোষ গল্প ও জনপ্রিয়-বিজ্ঞান লেখক, চিত্রশিল্পী, সুরকার ও শৌখিন জ্যোতির্বিদ। উপেন্দ্রকিশোরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি সুকুমারকে সরাসরি প্রভাবিত করেছিলেন। এছাড়াও রায় পরিবারের সাথে জগদীশ চন্দ্র বসুআচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখের সম্পর্ক ছিল। উপেন্দ্রকিশোর ছাপার ব্লক তৈরির কৌশল নিয়ে গবেষণা করেন, এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান এবং মানসম্পন্ন ব্লক তৈরির একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মেসার্স ইউ. রয় এন্ড সন্স নামে ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে সুকুমার যুক্ত ছিলেন।

শিক্ষাজীবনসম্পাদনা

কলকাতার সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাশ করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এস.সি.(অনার্স) করার পর সুকুমার মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে বিলেতে যান।[২] সেখানে তিনি আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং কালক্রমে তিনি ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯১৩ সালে সুকুমার কলকাতাতে ফিরে আসেন।
সুকুমার ইংল্যান্ডে পড়াকালীন, উপেন্দ্রকিশোর জমি ক্রয় করে, উন্নত-মানের রঙিন হাফটোন ব্লক তৈরি ও মুদ্রণক্ষম একটি ছাপাখানা স্থাপন করেছিলেন। তিনি ছোটদের একটি মাসিক পত্রিকা, 'সন্দেশ', এই সময় প্রকাশনা শুরু করেন। সুকুমারের বিলেত থেকে ফেরার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যু হয়। উপেন্দ্রকিশোর জীবিত থাকতে সুকুমার লেখার সংখ্যা কম থাকলেও উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যুর পর সন্দেশ পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব সুকুমার নিজের কাঁধে তুলে নেন। শুরু হয় বাংলা শিশুসাহিত্যের এক নতুন অধ্যায়। পিতার মৃত্যুর পর আট বছর ধরে তিনি সন্দেশ ও পারিবারিক ছাপাখানা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর ছোটভাই এই কাজে তাঁর সহায়ক ছিলেন এবং পরিবারের অনেক সদস্য 'সন্দেশ'-এর জন্য নানাবিধ রচনা করে তাঁদের পাশে দাড়ান।

কর্ম জীবনসম্পাদনা

সুকুমার রায়ের স্বল্পস্থায়ী জীবনে তাঁর প্রতিভার শ্রেষ্ঠ বিকাশ লক্ষ্য করা যায়। সন্দেশের সম্পাদক থাকাকালীন তাঁর লেখা ছড়া, গল্প ও প্রবন্ধ আজও বাংলা শিশুসাহিত্যে মাইলফলক হয়ে আছে। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার অনন্য প্রকাশ তাঁর অসাধারণ ননসেন্স ছড়াগুলোতে। তাঁর প্রথম ও একমাত্র ননসেন্স ছড়ার বই আবোল তাবোল শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে নিজস্ব জায়গার দাবিদার।

“সাগর যেথা লুটিয়ে পড়ে নতুন মেঘের দেশে
আকাশ-ধোয়া নীল যেখানে সাগর জলে মেশে।
মেঘের শিশু ঘুমায় সেথা আকাশ-দোলায় শুয়ে-
ভোরের রবি জাগায় তারে সোনার কাঠি ছুঁয়ে।”
—সুকুমার রায় রচিত ছড়ার অংশবিশেষ।[৩]
প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়বার সময় তিনি ননসেন্স ক্লাব নামে একটি সংঘ গড়ে তুলেছিলেন। এর মুখপাত্র ছিল সাড়ে বত্রিশ ভাজা নামের একটি পত্রিকা। সেখানেই তাঁর আবোল-তাবোল ছড়ার চর্চা শুরু। পরবর্তীতে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর মনডে ক্লাব (ইংরেজি ভাষা: Monday Club) নামে একই ধরণের আরেকটি ক্লাব খুলেছিলেন তিনি। মন্ডা ক্লাবের সাপ্তাহিক সমাবেশে সদস্যরা 'জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ' পর্যন্ত সব বিষয়েই আলোচনা করতেন। সুকুমার রায় মজার ছড়ার আকারে এই সাপ্তাহিক সভার কয়েকটি আমন্ত্রণপত্র করেছিলেন সেগুলোর বিষয়বস্তু ছিল মুখ্যত উপস্থিতির অনুরোধ এবং বিশেষ সভার ঘোষণা ইত্যাদি।
ইংলান্ডে থাকাকালীন তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের বিষয়ে কয়েকটি বক্তৃতাও দিয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথ তখনও নোবেল পুরস্কার পাননি। ইতিমধ্যে সুকুমার লেখচিত্রী/প্রচ্ছদশিল্পীরূপেও সুনাম অর্জন করেছিলেন। তাঁর প্রযুক্তিবিদের পরিচয় মেলে, নতুন পদ্ধতিতে হাফটোন ব্লক তৈরি আর ইংল্যান্ডের কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর প্রযুক্তি বিষয়ক রচনাগুলো থেকে।
সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল কার্য ছাড়াও সুকুমার ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সংস্কারপন্থী গোষ্ঠির এক তরুণ নেতা। ব্রাহ্ম সমাজ, রাজা রামমোহন রায় প্রবর্তিত একেশ্বরবাদী, অদ্বৈতে বিশ্বাসী হিন্দুধর্মের এক শাখা যারা ৭ম শতকের অদ্বৈতবাদী হিন্দু পুরান ঈশ-উপনিষদ মতাদর্শে বিশ্বাসী। সুকুমার রায় 'অতীতের কথা' নামক একটি কাব্য রচনা করেছিলেন, যা ব্রাহ্ম সমাজের ইতিহাসকে সরল ভাষায় ব্যক্ত করে - ছোটদের মধ্যে ব্রাহ্ম সমাজের মতাদর্শের উপস্থপনা করার লক্ষে এই কাব্যটি একটি পুস্তিকার আকারে প্রকাশ করা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি ওই সময়ের সবথেকে প্রসিদ্ধ ব্রাহ্ম ছিলেন, তাঁর ব্রাহ্মসমাজের সভাপতিত্বের প্রস্তাবের পৃষ্ঠপোষকতা সুকুমার করেছিলেন।

গ্রন্থাবলীসম্পাদনা

মৃত্যুসম্পাদনা

১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কালাজ্বরে (লেইশ্মানিয়াসিস) আক্রান্ত হয়ে মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সে সুকুমার রায় মৃত্যুবরণ করেন, সেই সময় এই রোগের কোনো চিকিৎসা ছিল না। তাঁর মৃত্যু হয় একমাত্র পুত্র সত্যজিত এবং স্ত্রীকে রেখে। সত্যজিত রায় ভবিষ্যতে একজন ভারতের অন্যতম চলচ্চিত্র পরিচালকরূপে খ্যাতি অর্জন করেন ও নিজের মৃত্যুর ৫ বছর আগে ১৯৮৭ সালে সুকুমার রায়ের উপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রযোজনা করেন।

পাদটীকাসম্পাদনা

  1.  সুকুমার সমগ্র, সম্পাদক: সুনীল জানা, দশম সংস্করণ:জ্যৈষ্ঠ ১৪২১, প্রকাশক: সুধাংশুশেখর দে, দে'জ পাবলিশিং, ১৩ বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০৭৩। ISBN 978-81-295-1328-1
  2. ↑   সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ৪০৫। উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ অবৈধ; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "ReferenceA" নাম একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  3.  দৈনিক কালেরকণ্ঠ, মুদ্রিত সংস্করণ, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১০ইং
1।সুকুমার সমগ্র, সম্পাদক: সুনীল জানা, দশম সংস্করণ:জ্যৈষ্ঠ ১৪২১, প্রকাশক: সুধাংশুশেখর দে, দে'জ পাবলিশিং, ১৩ বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০৭৩। ISBN 978-81-295-1328-1

বহিঃসূত্রাবলীসম্পাদনা

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...