সৌমিত্র রায়-এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৭.
প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে একটা তথ্য পরিবেশন করে রাখি, যে তথ্য সময়মতো দিতে পারিনি।কবিতাপাক্ষিক-এর পোস্টার ছাপা হয়েছিল অশোক লিথো থেকে।এবার অনুষ্ঠানকথা।
২৪ বৈশাখ ,১৪০০ বঙ্গাব্দ।
07 মে , 1993.
সময় নির্ধারিত ছিল সন্ধে ছ- টা ।
স্থান : কালীঘাট মিলন সংঘ ।
বিকেলের দিকে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত। আমাদের ঘরে কিছুটা সময় কাটিয়ে মিলন সংঘে।
চিত্রবাণী থেকে এসে গেলেন ফাদার গাঁস্ত রোবের্জ।পবিত্রদা সহ আরো সকলেই পৌঁছে গেলেন। তখনো সুনীলদা এসে পৌঁছাননি। ঠিক হল সুনীলদার পরিবর্তে ফাদারকে অনুরোধ করা হল কবিতাপাক্ষিক-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশের। প্রকাশের ঠিক পরেই উপস্থিত হয়েছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। মনে রাখবেন তখন হাতের ফোন চালু হয়নি।
প্রণবেন্দুদা ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ড: শ্যামলেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং নীতা দাশগুপ্ত।
নীতা দাশগুপ্ত ছিলেন তৎকালীন বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের সেক্রেটারির স্ত্রী তথা আমার ছাত্র-র মা।আর শ্যামল মুখার্জি ছিলেন পিজি-র শল্যচিকিৎসক , আমার বিশেষ বন্ধু । অতিথিদের পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করেছিল এক কিশোরী, কৃষ্ণা বসু।আমাদের পাড়ার নিমাই বসু-র কন্যা।
যাঁরা কবিতা পড়েছিলেন তাঁদের নাম জানানো আমার কর্তব্য।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত পবিত্র মুখোপাধ্যায় কাননকুমার ভৌমিক গোবিন্দ ভট্টাচার্য নমিতা চৌধুরী সমীরণ মজুমদার প্রশান্ত গুহমজুমদার সত্যসাধন চেল গৌতম চট্টোপাধ্যায় অরূপ পান্তী সোমনাথ রায় নাসের হোসেন রমেন আচার্য সুব্রত চেল মানসকুমার চিনি দিলীপ ভৌমিক সৌমিত বসু দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় তমিস্রাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় গোপাল আচার্য শান্তিময় মুখোপাধ্যায়। সুনীলদার নির্দেশে আমিও কবিতা পড়েছিলাম। তবে সবথেকে বেশি জমিয়ে দিয়েছিল দীপ মুখোপাধ্যায়। দীপ-এর সেদিনের সেই ছড়া এখনো আমি শুনতে পাাাই ৷ বলরাম বসাক প্রলয় শূর এবং স্বপন সেন উপস্থিত ছিলেন । আর ছিল স্বপন রায়, সুদক্ষিণা চৌধুরী-র গান ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন প্রণবেন্দুদা।
সব থেকে উল্লেখযোগ্য কথা হল আমার সমস্ত ভাই-বোনেদের উপস্থিতি এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া।
মূলত এই নেতৃত্বই সেদিনের সাফল্যের মূলশক্তি।মানে কবিতাপাক্ষিকের প্রকাশ ছিল আমাদের পারিবারিক একটি সামাজিক অনুষ্ঠান।
আমার তৃতীয় বোন দুর্গা বা শুক্লা আজ অনুপস্থিত , কিন্তু যখনই কবিতাপাক্ষিকের ইতিহাস লেখা হবে তখন ওর নাম স্মরণ করতেই হবে।
দুর্গা-র মৃত্যুর পর একটা বন্ধ-খাম আমি পেয়েছিলাম , যার ওপরে লেখা ছিল কবিতাপাক্ষিক। ওর সঞ্চয়ের একটা গল্প পাই ৷ একটা অংশ খাম বন্ধ করে রেখে গিয়েছিল মৃত্যুর ঠিক আগে।
প্রভাত চৌধুরী
১৭.
প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে একটা তথ্য পরিবেশন করে রাখি, যে তথ্য সময়মতো দিতে পারিনি।কবিতাপাক্ষিক-এর পোস্টার ছাপা হয়েছিল অশোক লিথো থেকে।এবার অনুষ্ঠানকথা।
২৪ বৈশাখ ,১৪০০ বঙ্গাব্দ।
07 মে , 1993.
সময় নির্ধারিত ছিল সন্ধে ছ- টা ।
স্থান : কালীঘাট মিলন সংঘ ।
বিকেলের দিকে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত। আমাদের ঘরে কিছুটা সময় কাটিয়ে মিলন সংঘে।
চিত্রবাণী থেকে এসে গেলেন ফাদার গাঁস্ত রোবের্জ।পবিত্রদা সহ আরো সকলেই পৌঁছে গেলেন। তখনো সুনীলদা এসে পৌঁছাননি। ঠিক হল সুনীলদার পরিবর্তে ফাদারকে অনুরোধ করা হল কবিতাপাক্ষিক-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশের। প্রকাশের ঠিক পরেই উপস্থিত হয়েছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। মনে রাখবেন তখন হাতের ফোন চালু হয়নি।
প্রণবেন্দুদা ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ড: শ্যামলেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং নীতা দাশগুপ্ত।
নীতা দাশগুপ্ত ছিলেন তৎকালীন বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের সেক্রেটারির স্ত্রী তথা আমার ছাত্র-র মা।আর শ্যামল মুখার্জি ছিলেন পিজি-র শল্যচিকিৎসক , আমার বিশেষ বন্ধু । অতিথিদের পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করেছিল এক কিশোরী, কৃষ্ণা বসু।আমাদের পাড়ার নিমাই বসু-র কন্যা।
যাঁরা কবিতা পড়েছিলেন তাঁদের নাম জানানো আমার কর্তব্য।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত পবিত্র মুখোপাধ্যায় কাননকুমার ভৌমিক গোবিন্দ ভট্টাচার্য নমিতা চৌধুরী সমীরণ মজুমদার প্রশান্ত গুহমজুমদার সত্যসাধন চেল গৌতম চট্টোপাধ্যায় অরূপ পান্তী সোমনাথ রায় নাসের হোসেন রমেন আচার্য সুব্রত চেল মানসকুমার চিনি দিলীপ ভৌমিক সৌমিত বসু দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় তমিস্রাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় গোপাল আচার্য শান্তিময় মুখোপাধ্যায়। সুনীলদার নির্দেশে আমিও কবিতা পড়েছিলাম। তবে সবথেকে বেশি জমিয়ে দিয়েছিল দীপ মুখোপাধ্যায়। দীপ-এর সেদিনের সেই ছড়া এখনো আমি শুনতে পাাাই ৷ বলরাম বসাক প্রলয় শূর এবং স্বপন সেন উপস্থিত ছিলেন । আর ছিল স্বপন রায়, সুদক্ষিণা চৌধুরী-র গান ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন প্রণবেন্দুদা।
সব থেকে উল্লেখযোগ্য কথা হল আমার সমস্ত ভাই-বোনেদের উপস্থিতি এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া।
মূলত এই নেতৃত্বই সেদিনের সাফল্যের মূলশক্তি।মানে কবিতাপাক্ষিকের প্রকাশ ছিল আমাদের পারিবারিক একটি সামাজিক অনুষ্ঠান।
আমার তৃতীয় বোন দুর্গা বা শুক্লা আজ অনুপস্থিত , কিন্তু যখনই কবিতাপাক্ষিকের ইতিহাস লেখা হবে তখন ওর নাম স্মরণ করতেই হবে।
দুর্গা-র মৃত্যুর পর একটা বন্ধ-খাম আমি পেয়েছিলাম , যার ওপরে লেখা ছিল কবিতাপাক্ষিক। ওর সঞ্চয়ের একটা গল্প পাই ৷ একটা অংশ খাম বন্ধ করে রেখে গিয়েছিল মৃত্যুর ঠিক আগে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন