রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

কবিতা ।। তুমি বুদ্ধ, তুমি যুদ্ধভূমি ।। মিষ্টিবৃষ্টি, Mistibristi

কবিতা

তুমি বুদ্ধ, তুমি যুদ্ধভূমি

মিষ্টিবৃষ্টি



তোমার অনুবাদ । তুমি ।

টুকরো কাগজ উড়ে গেছো  

ওতে রক্তাক্ষর ছিলো, হৃদ্ 

মানচিত্র পড়তে পারো নি ?

নিষেধ, ওয়ার্নিং রেড লাইট,

প্রত্যেক মোড়ে ব্যুহভেদ, নাদান অভিমন্যু আঠারো --

বেকার গেছে সমস্ত ম্যাপ-পয়েন্টিং, ভূগোলের ক্লাস, পড়া না-পারার বেত,

ক্ষতচিহ্ন শুষে-নেওয়া ঠোঁট, নির্জন রোদ,

হঠাৎই পায়রা উড়ে যাওয়া ..

সহস্র ডানার শব্দ ছারখার বুকের ভেতর --

হঠাৎ কৈশোর শেষ ।

ডিউস্ বল, ভুলভাল মাঠ, তারপর ..


.. তুমি বুদ্ধ, তুমি যুদ্ধভূমি ।।

                            

কবিতা ।। গুড়ের মুড়কি ।। চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী, Chiranjit Bhandari

 কবিতা 

গুড়ের মুড়কি

চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী



লাল কিংবা সাদা সে যাই হোক

শালুক ফুটলে

আঘণের ইঁদুরেের মতো মেতে উঠত

আমার কিশোর বেলা।


সাঁতার দিতে দিতে প্রতিদিন চোখ রাখি

অপেক্ষার শেষ চাঁদের নাম পূর্ণিমা

তুলে আনি ঘরে

ভালো করে ছাড়িয়ে

শুকায় দু চারটা রোদ্দুরে।


তর সইতোনা 

কখন হাতে পাব কখন হাতে পাব

তাড়া করে বেড়াত বিমুগ্ধ নেশায়।


মা,হলার তপ্ত বালিতে কুঁচি বুলোতেই যেন

টগর ফুলের মেলা।


আহা কত সাদের ভেঁটকনার খৈ

পরিতৃপ্তির গুড়ের মুড়কি 

মুখে তুলতেই ওমের প্রসাদ। 


এমন সোনালি দিন আর কি পাব ফিরে

সেই ভেঁটকনা তুলতে নামা ভাইয়ে ভাইয়ে প্রীতি সম্ভাষণ

চোখ খুলতেই দেখি

উঠোন ভেঙে চৌচির 

এখন সুখের নাম অসুখ ভরছি কেবলি।

আটপৌরে ৬৮২|| সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 682 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৬৮২|| সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 682 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৬৮২


জীবনকথক


আজীবন। অটুট। সিঁদুরে।


আশ্রয় 


নেয় ইতিহাসের না-বলা কথা।

শব্দব্রাউজ- ১০১২ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1012, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০১২ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1012, Nilanjan Kumar






শব্দব্রাউজ- ১০১২ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়ার মেন রোড কলকাতা থেকে ৩।১২। ২০২৩ সকাল ৯টা ৫মিনিট ।


শব্দসূত্র: বিরোধ অন্তরে বাইরে



বিরোধ সারাক্ষণ

অন্তরে বাইরে


বিরোধের ভেতর

জীবন্ত হওয়া


অন্তর্মুখী দিন

আমার সঙ্গে


বিরোধীতায় অন্য

আনন্দ বুকে


ছুঁয়ে থাকি ছুঁয়ে থাকি .....

শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩

আটপৌরে ৬৮১|| সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 681 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৬৮১|| সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 681 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৬৮১

অরুণাভ 


পরিষদের। অনুষ্ঠানে। বরাবরই। 


লাজুকলতা 


বেগমধুলি লালিত্যকে উসকে দেয়।

শব্দব্রাউজ- ১০১১ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1011, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০১১ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1011, Nilanjan Kumar






শব্দব্রাউজ- ১০১১ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়ার মেন রোড কলকাতা থেকে ২। ১২। ২০২৩। সকাল সাতটা পঞ্চাশ ।


শব্দসূত্র:  আকাশ ঠিকানাতে চিঠি লিখো

এই বিপুল আকাশ
তার ভেতর
কোন ঠিকানাতে
চিঠি লিখবো?

মেঘ ক্যুরিয়ারে তা ঠিকমতো যাবে?


ঠিকানা দাও আকাশের
কোন পাড়ায়
কোন রাস্তায়
নাকি কোন মেঘদূত
পাঠাবো?

আকাশ ঠিকানা বড় জটিল
আর বিস্ময়ের
সে বিস্ময়ের  ঠিকানা
খোঁজা বড্ড প্রহসন ।

শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রচ্ছদের ভিতরে ।। কেতকী বসু, Ketaki

প্রচ্ছদের ভিতরে।

কেতকী বসু



গভীর ঘুম

রাতের অন্ধকারে

হেমন্তের শীতলতা

অবসন্ন শরীরে


সুখ সমুদ্র

সৈকতে রোহিঙ্গা 

অনুপ্রবেশ বন্ধ

দরবারী কানাড়া 


মাদলের জাগৃতি

ঠুং ঠাং আওয়াজে

পড়ে থাকে গুম ঘরে

চাদরের আড়ালে।

শব্দব্রাউজ- ১০১০ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1010, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০১০ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1010, Nilanjan Kumar






শব্দব্রাউজ- ১০১০ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়ার মেন রোড কলকাতা থেকে ১। ১২। ২৩। সময় সাড়ে আটটায় ।


শব্দসূত্র: ওড়ে পাখি, ওড়ে মন


পাখির ডানা ঝাপটানোর

সঙ্গে

আমার ওড়াউড়ি শুরু

মনে মনে ।



ওড়ে মন ওড়ে মুক্তি

তবু বায়ুমণ্ডলে

বন্দি হয়ে যায় ।



অন্তরীক্ষ ছোঁয়া হয় না ।

আটপৌরে ৬৮০|| সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 680 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৬৮০|| সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 680 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৬৮০

কেয়ারি


ভায়োলিন। ভায়োলেট। ভায়োলেন্স। 


চকমিলানো 


জীবনের কথা বুনন কৌশল।

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩

অদৃশ্য দশভুজ ।। অজয় বিশ্বাস ।। কবিতা, Ajay Biswas

অদৃশ্য দশভুজ 

অজয় বিশ্বাস 



কারও কারও হাত থাকে অদৃশ্য 


গভীর জলে মুক্তোর খোঁজে 

যে মাছ আছে ডুবুরির ভূমিকায় 

তাকে আমরা পারি না চিনতে 

কিন্তু তার কাজকে করতে পারি 

অনুভব 


এভাবেই নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে 

তার খুশি ওঠে ফুটে 

নক্ষত্র দেশের রাজধানীতে


মানুষের দুটি হাত আছে জানি 

তবে সময়কালে হতে পারে 

দশভুজ 


তেঘরিয়ার বাতাসে এখন 

ভাসছে সেই ছবি 


যদি হৃদয়কে রাখি পেতে 

পাঁজরে বাজবে সেই সুর...

কোনও একদিন, কখনও... l। শোভন মণ্ডল ।। কবিতা Shovan Mondal

 কোনও একদিন,  কখনও... 

                                   শোভন মণ্ডল 



 

নিভে যাওয়া মোমবাতির সামনে তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে 

কোনও অজুহাত নাই বা থাকলো চোখের ইশারায়

মাঝ রাস্তায় হারিয়ে যাওয়া আলোর খোঁজে 

                        আমাদের নেমে পড়া বিজন পথের মোরামে

মোমের গন্ধ এখানে ভালবাসার ইন্ধন যোগায় না

পথ দেখায় না 

বিভ্রমের হাতছানি আজও তাচ্ছিল্য করি

 

ভুলের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে ভান করি,  যে ভাবে করেছি 

                                               প্রতিদিন প্রতিনিয়ত 

 

সম্ভাবনার সংকীর্ণ পথে কোনও একদিন আলো জ্বলবেই 

                                               দেখো...

নির্ভয় ।। মানস মুখোপাধ্যায় ।। কবিতা, Manas Mukhopadhyay

 নির্ভয়

                মানস মুখোপাধ্যায়



   দিনটা আজ

       আকাশের বুক চিরে

            বিদ্যুতের ঝলকানির মতো

   ভয় ধরাতে পারেনি মনে।

যখন ব্যক্ত সূর্যটা

       এক টুকরো আলো ভেঙে

           আমার শরীরে জ্বালা ধরালো,

  তখন বুঝলাম

        এবার কাঠামোটা তুলতে হবে

                   বিছানা থেকে --------

    আমার না  হয়ে উঠা দিনটায়

             মেলে ধরতে হবে টানটান।

     বিরক্তিকর ------

 তবুও ভয় ধরাতে পারেনি মনে।

        

শব্দব্রাউজ- ১০০৯ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1009, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০০৯ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1009, Nilanjan Kumar






শব্দব্রাউজ- ১০০৯ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়ার মেন রোড কলকাতা থেকে ৩০। ১১। ২৩। সকাল- সাড়ে সাতটা ।



শব্দসূত্র: মনের অন্য ঘর সংসার



মনে মনে যে

ঘর সংসার

বাস্তব সামনে এলে

বৈপরীত্য দীর্ঘশ্বাস পড়ে ।


হা হা হতাশের

মনের সংসার

ঠাঁই নেই ।



শব্দ আসে সেখান থেকে

আসে শব্দব্রাউজ

আসে স্বর্গীয় সুখ

বাস্তব দূরে সরানোর শক্তি ...


আটপৌরে ৬৭৯ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 679 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৬৭৯ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 679 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৬৭৯

উপস্থিতি


গুরুত্ব। সহকারে। পুড়িয়ে। 


বিন্যাসের 


ফলাফল উপভোগ করেন মহাকাল।

বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩

রম্য রচনা ।। প্রেমের সাত কাহন ।। কাশীনাথ সাহা, Kashinath Saha

রম্য রচনা

প্রেমের সাত কাহন

কাশীনাথ সাহা 



সেই কবে শুনেছিলাম, প্রেম একবারই এসেছিল জীবনে.... 

না,এখন জীবনে প্রেম একবার আসে না। বারেবারেই আসে যায়।প্রেমের খেলা কে বুঝতে পারে! না পারারই কথা! প্রেম যখন আসে সাইক্লোনের মতো বেগবান হয়ে আসে। তখন সেই উজানে ভেসে যেতেই হয়। স্বয়ং কৃষ্ণ রাধিকার প্রেমে যমুনার নীল জলে ভেসে গিয়েছিল। আমরা তো তুচ্ছাতিতুচ্ছ মানুষ!  রাধাও তো তাই! কৃষ্ণ কদমের মগডালে বসে বাঁশিতে ফুঁ দিচ্ছে আর কলঙ্কিনী রাই রাত-বিরেতে ছুটে চলেছে সব লোকলাজ ভুলে।

আমাদের সেসময়ে প্রেম ছিল, একটু আড়ালে আবডালে। অভিভাবকরা সবাই কমল মিত্র। নয়তো মোগাম্বো! বাড়িতে কিশোরী মেয়ে থাকলে তাঁর ত্রি সীমানায় অলিখিত  ১৪৪ ধারা জারি থাকতো।চোখে চোখে তাকানো বহুৎ দূর কী বাত্ আড়চোখে তাকাতেও শরীর হিম হয়ে যেত। তবুও ওই সময়ে দাঁড়িয়ে কি করে যে শরৎ চন্দ্র দেবদাসের মতো মারকাটারি একখানা প্রেমের উপন্যাস নামিয়ে দিয়েছিল,ভাবলেই অবাক লাগে। তবে দেবদাস বাঙালিদের প্রেমের প্রাচীর ভাঙার প্রথম কাজটা করতে পেরেছিল। আর প্রেমে গাড্ডা খেলে মদ খাওয়াটা যে অপরাধ নয়, সেটাও বাঙালি প্রথম উপলব্ধি করতে পেরেছিল। ইংল্যান্ডের কোন এক যুবরাজ নাকি প্রেমের জন্য পুরো রাজ সিংহাসনটাই ত্যাগ করে দিয়েছেন। আমাদের সময়ে ভ্যালেন্সটাইন ডের মতো একটা গোটা প্রেমের দিন ছিল না। আমাদের প্রেম দিবস মানে সরস্বতী পূজা, স্বাধীনতা দিবস,২৬ শে জানুয়ারী। মানে যেদিন একটু খোলামেলা মেলামেশা করবার ১০% সুযোগ থাকতো।সেখানেই এক পলকে একটু দেখা, আরও একটু বেশি হলে ক্ষতি কি। ক্ষতি নেই!  কারণ ততোদিনে উত্তম সুচিত্রা-র নিরামিষ আমিষ প্রেম আমাদের তাতিয়ে দিয়েছে। এই পথ যদি না শেষ  হয়...  কানে কানে শুধু একবার বলো তুমি যে আমার... 

সেই সিন দেখে আমাদের পাড়ার রতনদা যে কতো মেয়ের কানে কানে বলেছিল, ওগো তুমি যে আমার...।সাথে সাথে মধুবালা দিলীপ কুমার কম যায় না! প্যার কিয়া কোয়ী চোরী নহী কিউ ছুপছুপ কা ইয়ে ডরনা ক্যায়া...। আহা প্রেম জমে ক্ষীর। প্রাণ যায়ে পর প্রেম না যায়ে। বহুদিন আসমুদ্রহিমাচল মজে ছিল সেই চোরাটানে।

তারপর এলো রাজেশ খান্নার যুগের প্রেম। সেই প্রেমকে টপকে দিয়ে ময়দানে নামলো অমিতাভ - রেখার মারকাটারি রসায়ন। এই প্রেম গাছের ডালে কিচিরমিচির প্রজাপতি প্রেম নয়। এক্কেবারে মারকাটারি প্রেম। লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান! তারপর দিলবালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে..

দিকে দিকে যতো প্রেম বাড়ছে ততো কমছে প্রেমের নিরিবিলি জায়গা। ভিক্টোরিয়া, গড়ের মাঠ,গঙ্গার পাড়ে যাদের জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়, ওরা সত্যিই মহাপুরুষ। একটা চার ফুট জায়গায়  চারজোড়া প্রেমিক প্রেমিকা। এক জোড়ার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিচ্ছে আর এক জোড়া প্রেমিক। কি করে পারে!

জানি না এই প্রেম হৃদয়  সর্বস্ব না শরীর সর্বস্ব!

কবি লিখেছেন না,

" তেমন করে ডাকতে পারো যদি

তবেই আমি শরীর জলে

গড়বো এক নদী"।

এখন ডাক তো আছে কিন্তু নদীতে যে চড়া পড়ে গেছে!

লেখকদের কথা শুনে মাঝে মাঝেই গুলিয়ে ফেলি, কোন প্যায় আসলি প্যার! সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তো বলেই দিয়েছেন, প্রেম মানেই পরকীয়া। ঘরের বউয়ের সাথে  সংসার করা যায়, কিন্তু প্রেম!  নৈব নৈব চ।ঘরকা মুরগি ডাল বরাবর।পেট ভরে মন ভরে না। প্রেমের জন্য পাশের বাড়ির শ্রীদেবী! আরে আরে আমাকে দোষ দিয়ে কি হবে, এখন সরকারও তো পরকীয়াকে আইনী সীলমোহর দিয়ে দিয়েছে। পরকীয়া আর আইনের চোখে অপরাধ নয়।  এতে জনসাধারণের লাভলোকসান কি হয়েছে জানি না। তবে পুলিশের উপরি রোজকারে একটু টান তো পড়েছেই। যখন তখন জলে জঙ্গলে, নদীর কিনারে আর চোখ রাঙিয়ে টাকা হড়পাতে পারছে না। 

প্রেম কোন কাঁটাতারের সীমানা মানে না। পাকিস্তানের প্রেমিকা প্রেমের টানে ইন্ডিয়ার কাঁটাতার টপকে এপারে চলে আসছে। এপারের প্রেমিকাও ছুটছে ওপারে। প্রেম সিগন্যাল মানে না... 

এপারে আমি আর ওই পারে তুমি, মাঝখানে নদী ওই বয়ে চলে যায়!  এখন সেই যুগ নেই। নদীতে ব্রীজ তৈরী হয়ে গেছে। সেই ব্রীজের উপর, দোলে দোদুল দোলনায় উড়ছে তাবৎ প্রেমিক যুগল!

সনাতনীদের যেমন রাধাকৃষ্ণ আছে। ওদেরও তেমন লায়লা- মজনু আছে৷ লায়লার টানে কতো মজনু যে, পাগলা হাওয়ায় বানভাসি হয়ে তলিয়ে গেছে তার ঠিকঠিকানা নাই।সিনেমাওয়ালারাও লায়লা মজনু, আর দেবদাস-এর দৌলতে কম কামায় নি।কোটি কোটি। আমাদের শ্রেয়া ঘোষালও তো ওরই জোরে উতরে গেছলো। ডোলা রে ডোলা রে.... 

প্রেমের যথার্থ বয়স কতো হওয়া উচিত?  এ বিষয়ে এখনও সম্ভবত কোন মাপকাঠি নেই। প্রেমের আবার বয়স কি। অমিতাভ যাঁহা সে খাড়া হোতা ওহিসে লাইন শুরু হোতা! প্রেমেও সেই অবস্থা। যে বয়সে পড়বে সেখানেই শুরু। গুরু গুরু...  শেষ বয়সে কি খেল দেখালে বস্!  মন্ত্রী, এম.এল. এ, কলকাতা পৌরসভার সবচেয়ে উঁচু পদটাকে এমন কি দিদিকেও বাইপাস সার্জারি করে বৈশালী - র হাত ধরে নিরুদ্দেশ হতে বুকের পাটা চাই ব্রাদার্স। হিম্মত লাগে। শোভন দা সেই হিম্মত দেখিয়েছেন। এরপর হয়তো লেখক নতুন উপন্যাস ফাঁদবেন " দেবদাস " এর মতো! শোভন - বৈশালীর ককটেল!  আমরা আম আঁটি চোষা পাবলিক শুধু দেখেই সার্থক। সাহস টা সৎ না অসৎ সেটা পরে বিবেচ্য,কিন্তু আমাদের সংসারী জনগণের সেই দুঃসাহসটাই নেই। 

পার্থদা অপার সম্পর্কটা জমবো জমবো করেও ঠিক জমলো না, কোথায় যেন একটা লক্ষ্মণের গন্ডীরেখায় আটকে আছে। কারামুক্তি হলে কি ঘটে সেটাও দেখার!

প্রেমে শক খেলে সবসময় সবাই দেবদাস হয়ে টালমাটাল হয়ে ভ্যাগাবন্ড হয়ে ফ্যা ফ্যা করে ঘুরতে ঘুরতে পার্বতীর বাড়ির সামনে শেষ নিঃশ্বাস ছাড়বে এমন কোনও কথা নেই। এখন যুগ পাল্টেছে। চরিত্রও বদলে গেছে। এই তো এক প্রেমিক প্রেমিকার পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে মাত্র বিয়াল্লিশ টা ছুরি মেরে প্রেমিকার জান খতম করে দিলো। তার মানে  প্রেমেও এখন আমিষ ঢুকে গেছে।  প্রেম আছে অথচ সন্দেহ নেই এমনটা সচরাচর চোখে পড়ে না। শিখা-র সাথে সুভাষের প্রেম তখন বেশ জমজমাট। বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন গনগনির লাল মাটিতে হাত ধরাধরি করে দুজনেই শিলাবতীর উপর সূর্যাস্ত দেখছে। দু'জনে দুজনের প্রেমে টইটম্বুর। সুভাষ বললো, তুমি আমার কল্পনার চেয়েও বেশি, অনেক অনেক বিউটিফুল। কথাটা শুনেই শিখা এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিল। সম্পর্কেও লালবাতি জ্বেলে দিল। সেদিন থেকেই শিখা খুঁজে চলেছে, কল্পনা টা কে? একবার তার খোঁজ পেলে হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিতাম! বোঝ ঠ্যালা।


আচ্ছা একটা জিনিস ঠিক মাথায় ঢুকে না। সিনেমার নায়ক নায়িকাদের যেমন হুড়দাড় প্রেম হয়। নেতা মন্ত্রীদের তেমন প্রেম হয়না কেন? আপত্তিটা কোথায়?  শাসক দলের নেতা নেত্রীর সাথে বিরোধী দলের নেতা নেত্রীর একটু আধটু প্রেম হলে, কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে!  বরং সেক্ষেত্রে নির্বাচনী সমঝোতা আরও গভীর হতো।লালের সাথে হলুদের, গেরুয়ার সাথে সবুজের একটু মাখোমাখো কিছু হলে বেশ জমতো কিন্তু। মোহব্বত কি নহী যাতা মোহাব্বত হো যাতি হ্যায়...

ঘটুক ঘটুক এমন অঘটন। আচ্ছা প্রেমের পরে বিবাহ নাকি বিবাহের পরে প্রেম কোনটা টেকসই? কোনটার স্থায়িত্ব বেশী? 

তবে এখন প্রেমেও অংক ঢুকে গেছে। মেয়েরা প্রেম করবার আগে ছেলের ঠিকুজি কুষ্ঠি মিলিয়ে দেখে নেয়ে। চাকরি যোগ কেমন!  হিসাব নিকেশ করে তবে ময়দানে নামে। অবশ্য একদিকে ঠিকই আছে। প্রেমের জোছনা সংসারের গাড্ডায় পড়লে সাঁতার না জানলে সলিল সমাধি। তোমার সমাধি ফুলে ফুলে ঢাকা....

প্রেমের পর রোজগার না থাকলে সে প্রেম ভোঁ কাট্টা। তবুও নিয়ম বহির্ভূত প্রেম কি হচ্ছে না। কিন্তু মাঝে মাঝে একই গাছের ডালে একই ওড়নায় দুজনেই ঝুলছে খবর পড়লেই, অমন নিয়ম বহির্ভূত প্রেমে আস্থা হারিয়ে ফেলি। 

প্রেমের কোনও জাতপাত নেই। কথায় প্রবচনে আছে, " পিরিতে মজিলে মন,কিবা হাঁড়ি কিবা ডোম"! প্রেমের চোরা স্রোতে পড়লে! তোর কোঁকড়া কোঁকড়া চুলে যেন সমুদ্র ঢেউ খেলে। ও তোর লাল লাল ঠোঁটে যে বিড়ির ধোঁয়া ওঠে,  আমি সেখানেই পাগল হয়ে যাই"! এই হচ্ছে প্রেমের আসল কথা। সেখানে ব্রাহ্মণ কায়স্থ, চন্ডাল হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান সব একাকার। কবির কথা তখনই সার্বিকভাবে সার্থক হয়। " আমরা একই বৃন্তে দুইটি কুসুম... ইত্যাদি ইত্যাদি... 

 খুব গোপনে একটা কথা বলছি, দয়া করে পাঁচকান করে কেস খাওয়াবেন না। এই বয়সে জেলে যেতে চাইছি না। আচ্ছা ভেবে দেখেছেন কখনো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একলা,মুখ্যমন্ত্রী একলা এমন কি বিরোধী দলের কেন্দ্র কিংবা রাজ্য প্রধান প্রতিপক্ষ দু'জনেই সিঙ্গেল!  এঁদের হাতে পড়ে দেশে প্রেম যে এখনও নিরাপদ আছে,  এটা ভেবেই আশ্চর্য হচ্ছেন নাকি? খুব কি ভুল বললাম।আপনারা একা থাকুন খেতি নাই, কিন্তু আমাদের অধম শ্রেণির প্রেমে কাঁটা বিছিয়ে দিবেন না, এটাই অনুরোধ। প্রেম ছাড়া বাঙালি বাঁচবে না, সিনেমা বাঁচবে না, সিরিয়াল বাঁচবে না, আর কবিদের বুক থেকে প্রেম ঝরে গেলে কবিতার কি হবে? কে লিখবেন... 

" তেমন করে ডাক দাও যদি

বসন্তে বসন্তে জলঝারি

সাড়া দিতে পারি আমি

অবিশ্বাস্য সাড়া দিতে পারি "!

 প্রেম না থাকলে তাজমহল ভিক্টোরিয়ার প্রত্যেকটা ইঁট খসে খসে পড়বে।দীঘার সী বিচ শুনসান হয়ে যাবে। গঙ্গার মিলেনিয়াম পার্ক ধূধূ মরুভূমির মতো ধুঁকবে।বইমেলা হারাবে তার জৌলুষ। মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল জনশূন্য হয়ে যাবে। ফুচকার স্টলে ভিড় থাকবে না।রেষ্টুরেন্ট খাঁ খাঁ করবে। সংগীত হারাবে সুর লয় তাল।সরস্বতী পূজা উঠে যাবে। পলাশ ফুলের রঙ ফিকে হয়ে যাবে।ভ্যালেন্সটাইন ডে ভ্যানিস হবেই হবে। গোলাপের চাহিদাই থাকবে না। রামধনু হারিয়ে ফেলবে তার সাত রঙের অহংকার! ধুসর হয়ে যাবে পৃথিবীর তাবৎ জৌলুষ!  সেজন্য প্রেম থাকুক দখিনা বাতাসের মতো বাঙালির পাঁজরে।শীতের একফালি রোদ্দুরের গরিমা নিয়ে আমাদের হৃদমাঝারে।

কিন্তু সমস্যা হলো 

" তকদীর হ্যায়, মগর কিসমত নেহী খুলতি

তাজমহল বনানা চাহাতা হুঁ

লেকিন মমতাজ নেহি মিলতি"!

শব্দব্রাউজ- ১০০৮ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1008, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০০৮ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1008, Nilanjan Kumar






শব্দব্রাউজ- ১০০৮ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়ার মেন রোড কলকাতা থেকে ২৯। ১১। ২০২৩। সকাল সাতটা পঞ্চাশ ।



শব্দসূত্র: আয় কাছে আয়



আয় কাছে আয়

বিশ্ব প্রেম

শব্দব্রহ্মের সঙ্গে ।


আয় কাছে আয়

সমস্ত উদ্ধার

প্রকৃত ব্যঞ্জনায় ।


আয় আয় আয় ....


আটপৌরে ৬৭৮ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 678by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৬৭৮ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 678by Sudip Biswas





আটপৌরে ৬৭৮

কার্যকারণ 


উন্মোচিত। সকাশে।পর্দাহীন।


ঝকমক 


গন্ধহীন ক্যামেলিয়া কাজের কথায়।

খুঁজে বেড়াই ।। সঞ্জয় ব্যানার্জী, Poetry

খুঁজে বেড়াই 

সঞ্জয় ব্যানার্জী



স্মৃতির শহর খুঁজে বেড়াই 

আমার শহর,কোলকাতাকে।

ধীর গতিতে চলে ট্রাম

টুং টুং ঘন্টি বাজিয়ে।


স্মৃতির শহরে খুঁজে বেড়াই আমি

ভীমনাগ,গাঙ্গুরাম,দারিক ঘোষের মিষ্টি।

খুঁজে বেড়াই আমি কলেজস্ট্রিটে 

পুরানো বইয়ের সাথে

কবি ও লেখকের সৃষ্টি।


ফুরিয়ে যাওয়ার আগে ।। পঙ্কজকুমার চট্টোপাধ্যায় ,Poetry

 ফুরিয়ে যাওয়ার আগে

পঙ্কজকুমার চট্টোপাধ্যায় 



যে কবিতা লিখবো ভেবেছি

তার শব্দগুলি অভিধানের পাতা থেকে

চলে গেছে হামাসের হাতে

ভূমির নিরাপদ জরায়ুতে

ওপরে হাসপাতালে নিরাপত্তা নেই

নবজাত শিশুর অকেজো ইনকিউবেটর

তার ওপরে ড্রোনের শকুনি চোখ


শ্মশানের নিরাপত্তায় বেঁচে আছে কিছু প্রাণ

নিঃস্বর পাখি হওয়ার অপেক্ষায়


আমিও অপেক্ষায় আছি

কবে অস্ত্র বিকিকিনির ফায়দার চূড়ান্ত হিসেব হবে


যুগান্তরের মতো সাময়িক শান্তি আসবে

ভূমির জরায়ু থেকে গর্ভপাত হয়ে আমার কাঙ্খিত শব্দগুলি

ফিরে আসবে আমার টেবিলে

রক্তাক্ত শব্দগুলি কর্কশ গলায় আমাকে শাসাবেঃ

কই লিখবে না কবিতা?


বে রঙা প্রকৃতি ।। মনোরঞ্জন ঘোষাল, Maroranjan Ghosal

বে রঙা প্রকৃতি

মনোরঞ্জন ঘোষাল



সাদা পাঞ্জাবি টা 

লাল রক্তে মাখামাখি 

পাল্টে গেছে শান্তির রং!

বিবস্ত্রা বিভীষিকা 

এলো কেশী কালী প্রকাশ্যে।

মেরুর মত মরু 

জ‍্যোতির ছটা বছরভর।

আড়ালের সাদাও তাই

আঁধারিতে কালো!

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...