মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

নীলাক্ষর পত্রিকার সাহিত্যে সম্মেলন ।। দিপালী মাইতি ।। কলকাতা ।। সংস্কৃতি সংবাদ, Kolkata

নীলাক্ষর পত্রিকার সাহিত্যে সম্মেলন 

দিপালী মাইতি



কলকাতা ।। ২০ এপ্রিল কলকাতার কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ  মেমোরিয়াল সভাঘরে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হল নীলাক্ষর পত্রিকার সাহিত্যের সম্মেলন।‌অনুষ্ঠানেসভাপতি প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  যথাক্রমে কবি দুর্গাদাস মিদ্যা , চলচ্চিত্র‌ চিন্তক অধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও কবি অজয় নাগ। প্রথম পর্বে বর্ষীয়ান দুই কবি গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় ও দীপঙ্কর বিশ্বাস কে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।

   ‌‌‌‌‌‌‌‌      অনুষ্ঠানে কবি দেবারতি মিত্র , অমিতাভ গুপ্ত,  কালী কৃষ্ণ গুহ, অরণি বসুর কবিতার বিশ্লেষণ করেন কবি অদীপ ঘোষ,  দেবজ্যোতি রায়, অনীক রুদ্র ও ফটিক চৌধুরী । কবি পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলালের কবিতার কবি বিশ্বজিৎ রায়ের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবি নীলাঞ্জন কুমার ।

    ‌‌‌কবিতাপাঠে অংশ নেন রবীন বসু,  অমিত কাশ্যপ, খগেশ্বর দাস, স্বপন পাঁজা, গৌতম হাজরা , স্বপন শর্মা ,‌পার্থপ্রতিম মজুমদার, প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায়, শকুন্তলা সান্যাল ,


মধুমঙ্গল বিশ্বাস, দীপঙ্কর সরকার, গৌতম ব্রহ্মর্ষি , অলোক বিশ্বাস,  শ্যামলজিৎ সাহা, অভিজিৎ বিশ্বাস , সত্যবান বিশ্বাস,মিন্টু বাড়ৈ, নীলিমা সরকার, তাপসকুমার রায়,  কানাইলাল জানা , পঙ্কজ মন্ডল ও নীলাঞ্জন কুমার ।

    ‌‌‌   অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সময়ে আধুনিক কবিতা গীতিরূপায়ণ পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন কবি সমালোচক সঙ্গীতজ্ঞ নীলাঞ্জন কুমার ও কবি তাপসকুমার রায় । সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন কবি নীলাঞ্জন কুমার ।

আটপৌরে ৭২১ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 721 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭২১ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 721 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭২১

চিরঞ্জীব 


অখ্যাত। গবেষকের। ঠিকানা। 


গল্পগাছা


বিরক্তিকর বুড়োদের আহ্লাদী চেনাজানা।

শব্দব্রাউজ- ১০৯২ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1092, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৯২ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1092, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৯২ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে ২৪. ৩.২৪. তারিখ দুপুর বারোটা দশ ।


শব্দসূত্র: বাঁধন ছিঁড়ে আয়োজন


বাঁধন‌ ছেঁড়ার গানে

এই যে আমি

উন্মনা মন প্রাণে

তুমি তুমি।


আয় আয় আয়

বাঁধন ছিঁড়ে আয়

সময় বয়ে যায় ‌।


আবির আবির মন

সঙ্গে সারাক্ষণ ।


রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

আটপৌরে ৭২০ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 720 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭২০ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 720 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭২০

স্যালুট


একদিন। না-দিন। শব্দমালা।


 জল-সমাধি 


ঘুমন্ত তক্ষকের ছায়াময় এলোকেশ।

শব্দব্রাউজ- ১০৯১ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1091, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৯১ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1091, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৯১ ।। নীলাঞ্জন কুমার

উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেন । কোচবিহার থেকে কলকাতার পথে। সময় বিকাল‌৪-২০।১৫ এপ্রিল ২০২৪‌‌।


শব্দসূত্র : হাজারো হট্টগোলের সঙ্গে


আমার সঙ্গে এখন‌

হাজারো হট্টগোল

তাদের সঙ্গে সন্ধি করি।


আমার ভেতর এখন

তুলকালাম ।


রক্তে নেশা ধরায়।


বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন হোমেন বরগোহাঞি মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ– বাসুদেব দাস, Basudev Das

 বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন

হোমেন বরগোহাঞি

মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ– বাসুদেব দাস





দুই 

 সাহিত্যের একটি প্রধান শাখা হল জীবনী।মহৎ এবং প্রসিদ্ধ লোকদের জীবন কাহিনি জানার জন্য সমস্ত জ্ঞানপিপাসু মানুষ আগ্রহ অনুভব করে কারণ মানুষের সভ্যতা-সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে প্রধানত এই সমস্ত মানুষেরাই। রালফ ওয়াল্ডো এমারসন ( ১৮০৩–৮২) নামে প্রসিদ্ধ আমেরিকান দার্শনিক একজন এমনকি এ কথাও বলতে চান যে ইতিহাস বলে কোনো জিনিস নেই আছে কেবল জীবনী। মানুষের সভ্যতা সংস্কৃতিতে যতগুলি মূল্যবান এবং যুগজয়ী সম্পদ আছে সেই সমস্ত কিছুই সৃষ্টি করেছে প্রতিভাবান এবং চরিত্রবান লোকেরা তাদের জীবন জোড়া সাধনার দ্বারা। তাদের জীবন কাহিনি হল ক্রমোৎকর্ষের  পথে এগিয়ে চলা মানুষের যুগ যুগের সাধনার কাহিনি।

  কিন্তু কেবল জ্ঞান অর্জন করাটাই জীবনচরিত পড়ার একমাত্র বা প্রধান উদ্দেশ্য হতে পারে না। বেশিরভাগ মানুষই জীবনচরিত পড়ার জন্য আগ্রহ অনুভব করার একটি প্রধান কারণ হল এই যে মহৎ এবং বিখ্যাত লোকের জীবনী পড়ে মানুষ নিজের জীবনটা গড়ার জন্য নানা প্রকারের শিক্ষা আহরণ করতে পারে। অবশ্য একটা কথা ঠিক যে এলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী পড়ে কেউ তাকে আদর্শ হিসেবে নিয়ে দ্বিতীয় একজন আইনস্টাইন হওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারেনা কারণ আইনস্টাইনের সমকক্ষ মহাবিজ্ঞানী হওয়ার বিধিদত্ত অসামান্য প্রতিভার প্রয়োজন। একজন মহান চিত্রকর দার্শনিক শিল্পীর জীবনী পড়ে কেউ সেই রকম উচ্চ স্তরের চিত্রকর দার্শনিক বা সুরকার হওয়ার আশা করতে পারে না।তার জন্য বিরাট প্রতিভার প্রয়োজন। খুব কম মানুষই সেরকম প্রতিভা নিয়ে জন্মায়।কিন্তু প্রতিভাবান লোকের জীবনী পড়ে সাধারণ মানুষ নিজের সাধারণ জীবন গড়ার জন্য নানা মূল্যবান শিক্ষা আহরণ করতে পারে কারণ যে কোনো মহৎ কর্ম সম্পাদন করার জন্য বা বিপুল খ্যাতি অর্জন করার জন্য কেবল প্রতিভাই যথেষ্ট নয়,প্রতিভার সঙ্গে প্রয়োজন হয় পরিশ্রম, শক্তি, আত্মসংগ্রাম,‌ অধ্যবসায় এবং সংকল্প ইত্যাদি অন্যান্য নানা গুণের।জীবনের যেকোনো কর্ম ক্ষেত্রে কৃতকার্যতা অর্জন করার জন্য এই গুণগুলির প্রয়োজন হয়। বড়ো মানুষের লক্ষ্য বড়ো এবং ছোটো মানুষের লক্ষ্য ছোটো হতে পারে কিন্তু ওপরে উল্লেখ করা সহজ গুণগুলি আয়ত্ত  না করা পর্যন্ত কেউ নিজের লক্ষ্যে উপনীত হতে পারে না। সেই জন্য সমস্ত ধরনের মহৎ এবং প্রসিদ্ধ লোকের জীবনী পড়েই সাধারণ মানুষও নানা প্রকারে উপকৃত হতে পারে।

  কিন্তু এরকম একজন মানুষের জীবনী যদি ছাত্র-ছাত্রীরা কম বয়সে পড়ার সুযোগ পায় যে মানুষটির জন্ম হয়েছিল তোমার আমার মতো খুবই সাধারণ দুঃখী পরিবারে, যে মানুষটি স্কুলের শিক্ষা সমাপ্ত করার সুযোগ পেল না, যে মানুষটিকে পথ দেখানোর মতো কেউ ছিল না, যে মানুষটিকে যুবক বয়স থেকেই নিজের পায়ের ওপরে দাঁড়াতে হয়েছিল, যে নিজের জীবন কালে তিনি সমগ্র পৃথিবীর ভেতরে একজন অতি বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী মানুষ হয়ে উঠেছিলেন এমনকি তার মৃত্যুর দুশো বছর পরেও আমরা প্রত্যেকেই তার নৈতিক প্রভাব অনুভব করছি তাহলে এরকম একজন মানুষের জীবনী পড়ে কম বয়সের ছেলে মেয়েরা নিজের জীবনগুলিকে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় শিক্ষা এবং প্রেরণা আহরণ করাটা অনেক গুনে বেশি সহজ হবে না কি?

  এরকম একজন মানুষ ছিলেন বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।

  বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন নিজেকে কীভাবে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন তার একটি উদাহরণ এখানে দিয়ে রাখি।

  নিজের স্বভাব চরিত্র এবং বুদ্ধিবৃত্তির ক্রমে ক্রমে বিকাশ সাধন করে নিজেকে একজন আদর্শ এবং সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাটাই ছিল জীবনের একটি প্রধান সাধনা। এর জন্য তিনি কারও সাহায্য চাননি। তিনি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করেছিলেন কেবল নিজের ওপরে অর্থাৎ নিজের সৎ উদ্দেশ্য এবং দৃঢ় সংকল্পের ওপরে। যুবক বয়সে একবার তিনি ঠিক করলেন যে তিনি সুপরিকল্পিত এবং প্রণালীবদ্ধভাবে নিজের নৈতিক চরিত্র নিখুঁতভাবে গড়ে তুলবেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি একটি বিশেষ নৈতিক গুণ বা সহজ অভ্যাসের অনুশীলন করার জন্য এক একটি সপ্তাহ ঠিক করে নিলেন। অর্থাৎ একটি সপ্তাহে তিনি কেবল একটি সহজ গুণের অনুসরণ করে সেটি নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করবেন। সঙ্গে তিনি নিজের স্বভাবে থাকা দোষগুলির শোধন করার জন্য বা সেই সব দূর করার জন্য চেষ্টা করবেন। সপ্তাহের শেষে তিনি নিজেই নিজের পরীক্ষা নেবেন অর্থাৎ তিনি নিজের সাধনায় কতটা সিদ্ধিলাভ করেছেন তার একটি খতিয়ান নেবেন।। উদাহরণস্বরূপ তিনি ঠিক করলেন যে একটি সপ্তাহে তিনি সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার অভ্যাস করবেন। আলস্যের বশবর্তী হয়ে তিনি কোনো একটা কাজই ফেলে রাখবেন না। পরীক্ষক যেভাবে অংকের উত্তরের খাতা পরীক্ষা করে শুদ্ধ উত্তরের জন্য পুরো নাম্বার এবং অশুদ্ধ উত্তরের জন্য শূন্য দেয় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনও ঠিক তেমনই সময়ে করা প্রতিটি কাজের জন্য নিজেকে পুরো নাম্বার এবং আলস্যের বশবর্তী হয়ে ফেলে রাখা প্রতিটি কাজের জন্য শূন্য দিলেন। এভাবে সপ্তাহের পরে সপ্তাহ ধরে চলতে থাকল নৈতিক উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা।

  এতটা পড়ার পরে কারও মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকতে পারে না যে আমরা প্রত্যেকেই নিজের জীবনটা গড়ার  জন্য আদর্শ হিসেবে নিতে পারা একজন অতি  উপযুক্ত মানুষ হলেন বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ছিলেন তার যুগের একজন শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রনেতা, কূটনীতিবিদ, বৈজ্ঞানিক, সাংবাদিক, সমাজ সংস্কারক এবং লেখক। এতগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হওয়া বা খ্যাতি অর্জন করা মানুষ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ছাড়া আরও অনেক নিশ্চয়ই আছেন কিন্তু বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যুর দুশো বছর পরেও তার নৈতিক প্রভাব আজও যত জীবন্ত হয়ে রয়েছে তার সমতুল্য দ্বিতীয় একটি উদাহরণ সত্যি খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমেরিকার প্রতিটি ছেলে-মেয়ের নয়-দশ বছর বয়সে পা দেওয়ার সময় থেকেই বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি জানা হয়ে যায়। অসমিয়া মানুষ যেভাবে কথায় কথায় ডাকের বচন আওড়ায় ঠিক সেভাবে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন আজ থেকে দুশো বছর আগে লিখে রেখে যাওয়া অনেক নীতি উপদেশ আমেরিকার মানুষের মুখেমুখে ঘুরে বেড়ায়। অনুবাদের মাধ্যমে সেই নীতি উপদেশ গুলি পৃথিবীর অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরাও অনেকেই হয়তো নিজের অজান্তেই  তার অনেক নীতি উপদেশ মেনে চলেছি। তার মহৎ জীবনের পরিচিতি আজও কীভাবে অগণন মানুষকে পথ দেখিয়ে চলেছে তার প্রমাণ হিসেবে আর মাত্র একটা উদাহরণ দিলেই বোধহয় যথেষ্ট হবে। ওয়াল্ট ডিজনির অমর সৃষ্টি মিকি মাউসের নাম না শোনা বা কার্টুন ছবি না দেখা মানুষ আজকের পৃথিবীতে খুব কমই পাওয়া যাবে। মিকি মাউসের নামটাই বলে যে সে হল একটি ইঁদুর। সেই ইঁদুরটিকে মুখ্য চরিত্র হিসেবে নিয়ে ওয়ার্ল্ড ডিজনি এরকম অনেক কার্টুন কথা ছবি নির্মাণ করেছিলেন, সেই চরিত্রগুলি দেখে সমগ্র পৃথিবীর ছেলে বুড়ো প্রত্যেকেই নির্মল আনন্দ এবং নৈতিক শিক্ষা লাভ করে। আজ থেকে প্রায় দুই কুড়ি বছর আগে এরকম একটি কার্টুন ছবি নির্মাণ করেছিলেন-- যার নাম ছিল ‘বেন এন্ড মী’(Ben and Me)। ছবিটিতে মিকি মাউস নিজের চারপাশে এক ঝাঁক ইঁদুরের বাচ্চা বসিয়ে নিয়ে ওদেরকে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জীবনের কাহিনি বলে চলেছে।উঠে আসা ছেলেমেয়েদের চোখের সামনে আদর্শ জীবনের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরার জন্য আজও এভাবে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কিনের জীবনের কাহিনি বলা হয়ে থাকে। জীবনে সৎ এবং সফল হওয়ার  আকাঙ্ক্ষা করা সমস্ত মানুষের কাছেই বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন আদর্শ হতে পারার একটি প্রধান কারণ হল এটাই যে দুঃখী পরিবারে একটি সাধারণ ছেলে হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু তিনি কেবল নিজের চেষ্টা এবং দৃঢ় সংকল্পের দ্বারাই নিজেকে তিল তিল করে গড়ে অসাধারণ মানুষ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। 

  হ্যারল্ড উইলসন  নামের একজন ইংরেজ লেখক  তার The Age of Reason নামের বইয়ের আঠারো শতকের  পাশ্চাত্য জগতে নেতৃস্থানীয় দার্শনিক রাষ্ট্রনেতা এবং লেখকদের জীবন এবং কর্মের পরিচয় দিয়েছেন। তার নির্বাচনে আঠারো শতকের  নেতৃ স্থানীয়  ব্যক্তিদের ভেতরে  একজন হলেন বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন। বইটিতে  বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের  বিষয়ে  লেখা প্রবন্ধটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে The Simple Man   অর্থাৎ সহজ সরল মানুষ।। কিন্তু লেখক প্রবন্ধটি শেষ করেছেন এরকম একটি বাক্যে –‘তিনি যে কেবল একজন মহান নাগরিক ছিলেন তা নয় তিনি ছিলেন একজন অতি মহৎ মানুষ।’

  একজন সহজ সরল মানুষ কীভাবে নিজের চেষ্টা এবং সাধনার বলে অতি মহৎ মানুষে পরিণত হল সেই কাহিনিটি আমি এখানে সংক্ষিপ্ত করে বলতে চাইছি। 










শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

আটপৌরে ৭১৯ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 719 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭১৯ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 719 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭১৯

গল্প 


শোনার। জন্য। রাতের।


 খরচ 

উপাদেয় মহার্জন যৌথ জীবন

শব্দব্রাউজ- ১০৯০ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1090, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৯০ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1090, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৯০ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে ২০.৩.২৪. তারিখে সকাল আটটা।


শব্দসূত্র: শব্দব্রহ্ম জাগিয়ে তোলে


শব্দ সোহাগ‌ পেলে

ছাড়তেই পারে না।


সে কবিতার জন্য

জোগান‌ দেয়

প্রিয় শব্দ।k


সে স্বপ্নে

বলে দিয়ে যায়

প্রিয়তার সংজ্ঞা।


জেগে উঠে তাকে‌ সাজাই

অক্ষরে অক্ষরে।

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

শাদ্বল-উন্মুখ-শব্দমাঝি পত্রিকার নববর্ষ বৈঠক ।। দিপালী মাইতি

শাদ্বল-উন্মুখ-শব্দমাঝি পত্রিকার নববর্ষ বৈঠক, সংস্কৃতি সংবাদ 

দিপালী মাইতি 



কোচবিহার ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ ।। কোচবিহার স্টুডেন্টস' হেলথ হোমের সভাকক্ষে ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ অনুষ্ঠিত হল' শাদ্বল-উন্মুখ-শব্দমাঝি' একত্রে এই তিনটি পত্রিকার নববর্ষ বৈঠক। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত ভাষণ রাখেন কবি আব্দুল মতিন আমেদ মহাশয়। গুণীজন বরণ অনুষ্ঠানে কবি নীলাঞ্জন কুমার, কবি গৌরাঙ্গ সিনহা, কবি শ্যামলেন্দ্র চক্রবর্তী ও কবি সুবীর সরকারকে অনুষ্ঠান মঞ্চে বরণ করে নেন কবি বিকাশ চক্রবর্তী, কবি শিউলি চক্রবর্তী ও সঙ্গীত শিল্পী রিমি বণিক। ' উন্মুখ' পত্রিকার সম্পাদক ও' শাদ্বল',' শব্দমাঝি',' শব্দনগর' ,' গুরুজী' ,' উত্তাপ' ,' ধা' পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা কবি, প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক  নীলাঞ্জন কুমারের সাহিত্য জীবনের পঞ্চাশ বর্ষে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুলেল শুভেচ্ছা ও শুভেচ্ছা স্মারক ও মানপত্র। কবি নীলাঞ্জন কুমারকে নিয়ে  আমরা শুনি কবি সুবীর সরকার ও' শব্দমাঝি'র সম্পাদক কবি হাবিবুর রহমানের ব্যক্তিঅভিজ্ঞতা, শুনি কবি নীলাঞ্জন কুমারের মুখে তাঁর পঞ্চাশ বছরের সাহিত্যজীবনের অভিজ্ঞতার কথা । সঙ্গীত শিল্পী রিমি বণিকের পরিবেশিত উদ্বোধনী সঙ্গীত ও কবি নাট্যকার কিশোর চক্রবর্তী, শিল্পী রাগেশ্রী চক্রবর্তী, শিল্পী জয়া সরকার ও আভিরী ভট্টাচার্যের গান ও বাচিক শিল্পী সুমন চক্রবর্তী, নির্মল দে ও অঞ্জনা ভট্টাচার্য্যের অবৃত্তি অনুষ্ঠানটিকে সুনন্দিত করে তোলে। মুগ্ধ কবিতার উচ্চারণে মাতিয়ে দেন আব্দুল মতিন আমেদ, গৌরাঙ্গ সিনহা, শ্যামলেন্দ্র চক্রবর্তী, সুবীর সরকার, নীলাঞ্জন কুমার, প্রহ্লাদ ভৌমিক, কিশোর নাথ চক্রবর্তী, শিপ্রা বিষ্ণু, যতীন বর্মা, হাবিবুর রহমান, প্রাণেশ পাল, অঞ্জনা ভট্টাচার্য, শিউলি চক্রবর্তী, সঞ্জয় সোম, বিকাশ চক্রবর্তী, মানস চক্রবর্তী, আজিজুল হক, বিদ্যুৎ পাল, অশোক কুমার ঠাকুর, শৈলেন দাস, মনামী সরকার, রাজা পাল চৌধুরী, সান্ত্বনা রায়, সঙ্গীতা সেনগুপ্ত, নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ কবিবৃন্দ। সঙ্গীতে সঙ্গত করেন তবলা শিল্পী দুলু দাস ও তপন বসাক। অনুষ্ঠানে কবি মনিমা মজুমদার ও কবি জয় দাস, গল্পকার সুনীল সাহা ও জয়দেব সাহাও উপস্থিত ছিলেন । সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন শাদ্বলের সম্পাদক নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভট্টাচার্য্য ও কবি প্রাবন্ধিক আব্দুল মতিন আমেদ মহাশয়:

শব্দব্রাউজ- ১০৮৯ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1089, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৮৯ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1089, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৮৯ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে ১৯. ৩. ২৪. তারিখ দুপুর সাড়ে বারোটা ।


শব্দসূত্র: আমার সঙ্গে আয়


আমার সঙ্গে

এ কূল‌‌ ও কূল দু কূল

ভাসিয়ে আয়।


তারপর ঠিক দেখবি

পাড়ে উঠবিই।


আমার সঙ্গে

সময় বিন্দু সমর্পন করে

আয়।


তোকে আর পেছন ফিরতে

হবে না।

আটপৌরে ৭১৮ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 718 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭১৮ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 718 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭১৮

কিছু


 মনে। না। করলে।


 আপনার


 ময়নাহল কুড়িয়ে নৈঋত গম্ভীর।

শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪

আটপৌরে ৭১৭ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 717 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭১৭ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 717 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭১৭

তক্ষক


অখ্যাত। গবেষণা। সম্পাদ্য। 


বিরক্তিকর 


আহ্লাদের যোগানদার যথেষ্ট ধৈর্য।

শব্দব্রাউজ- ১০৮৮ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1088, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৮৮ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1088, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৮৮ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে ১২.৩.২৪. দুপুর দুটো।


শব্দসূত্র: নেই হাহাকার বিন্দু



হাহাকার মন

চোখ রাঙিয়ে

দমিয়ে রাখা যায় না‌‌,


দেখো

সে‌ যেন

মন ছুঁতে না পারে।


হাহাকারের জন্য

সময় থাকে না‌-

উদয়াস্ত কবিতাআবীর

মেখে থাকলে ।

বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

সূচনা সংস্থার বসন্ত উৎসব । সংস্কৃতি সংবাদ । দিপালী মাইতি, Kolkata

সূচনা সংস্থার বসন্ত উৎসব  সংস্কৃতি সংবাদ 

দিপালী মাইতি




৩ এপ্রিল, কলকাতা ।। আবীর রঙে রাঙিয়ে অত্যন্ত জমজমাট বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছিল সূচনা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ কলকাতার শিয়ালদহের কৃষ্ণচন্দ্র মেমোরিয়াল হলে ।

       ‌উৎসব মঞ্চে প্রথম পর্বে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে কবি বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায়, সভাপতি কবি কমল দে সিকদার , প্রধান অতিথি কবি সাংবাদিক সাকিল আহমেদ , বিশেষ অতিথি হিসেবে কবি প্রাবন্ধিক

নীলাঞ্জন কুমার ও কবি প্রভাস মজুমদার । উক্ত গুণীজন সূচনা পত্রিকার বসন্ত সংখ্যার আবরণ উন্মোচন করেন ।স্বাগত ভাষনে সূচনা পত্রিকা ও সংস্থার সম্পাদক কবি ও বাচিক শিল্পী নিপা চক্রবর্তী এই সংস্থার উদ্দেশ্য ও আদর্শ ব্যাখ্যা করেন।‌ 

       নিটোল এই অনুষ্ঠানে কবিতা গান বক্তব্যে অংশ নেন উক্ত গুণীজন ছাড়াও তাপস সাহা , পিনাকী বসু,কাজল চক্রবর্তী, বরুণ চক্রবর্তী, মানস মুখোপাধ্যায়, সব্যসাচী মল্লিক, নিপা চক্রবর্তী, মৃণাল কান্তি সাহা সহ সংস্থার অন্যান্য সদস্য সদস্যগণ ।‌

   ‌‌‌‌ ত্রুটিহীন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি তপতী চট্টোপাধ্যায়, মানস মুখোপাধ্যায় , নিপা চক্রবর্তী ‌। পরিপূ্র্ণ সভাঘরে সংস্থার সমৃদ্ধি কামনা করেন উপস্থিত শ্রোতৃমন্ডলী।

আটপৌরে ৭১৬ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 716 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭১৬ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 716 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭১৬

ফুল 


যে। ফুল।ফোটেনি। 


এপ্রিলে 


তাকে ফাঁকি দিয়েছো নিজেই।

শব্দব্রাউজ- ১০৮৭ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1087, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৮৭ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1087, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৮৭ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন ।‌তেঘরিয়া মেন রোড ।‌ কলকাতা থেকে ১১. ৩. ২৪. সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট ।


শব্দসূত্র : মেঘ সঙ্গী মনে


মেঘ জীবন পেলে

মেঘ বাড়িতে বাসা বেঁধে

চাঁদ পালকি চেপে

ট্যুরিস্ট হয়ে ব্রহ্মান্ডে ....


মেঘ সঙ্গী মনে

তখন অবাক প্রেম ...


মেঘ স্বপ্নে ঢালে আবির

মেঘ প্রেমিকা ...... 

মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪

আটপৌরে ৭১৫ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 715 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭১৫ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 715 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭১৪

ভাব


পরজন্মে। ব্রিজ। হবো।


এজন্মে 


অলীক সেতুবন্ধ সাধ্যের বাহিরেই।

শব্দব্রাউজ- ১০৮৬ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1086, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৮৬ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1086, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৮৬ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন ।‌তেঘরিয়া মেন রোড ।‌ কলকাতা থেকে ১১. ৩. ২৪. সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট ।


শব্দসূত্র : মেঘ সঙ্গী মনে


মেঘ জীবন পেলে

মেঘ বাড়িতে বাসা বেঁধে

চাঁদ পালকি চেপে

ট্যুরিস্ট হয়ে ব্রহ্মান্ডে ....


মেঘ সঙ্গী মনে

তখন অবাক প্রেম ...


মেঘ স্বপ্নে ঢালে আবির

মেঘ প্রেমিকা ...... 

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

রম্যরচনা ।। "... বান্ধবী ললিতা..." ।। কাশীনাথ সাহা,Kashinath Saha

 রম্যরচনা

"... বান্ধবী ললিতা..."

কাশীনাথ সাহা 


আমাদের ব্যথা একজায়গায় নয়।নানান জায়গায় ব্যথা চড়বড়িয়ে উঠেছে। বাঙালির প্রেমে ব্যথা, বিরহে ব্যথা,প্রতিবেশীতে ব্যথা,নালিশে ব্যথা!পুলিশে ব্যথা,হেলমেট না থাকলেই দু'হাজার। চাকরিতে ব্যথা,নিয়োগে ব্যথা, ডি.এ তে ব্যথা।বউয়ে ব্যথা, পরকীয়ায় ব্যথা!আরও আরও গোপন অনেক ব্যথা আছে বাঙালিদের সেগুলো উল্লেখ করা সমীচীন নয়। বাঙালি এখন প্রেমে পড়তেও ভয় পাচ্ছে!  প্রেমে তো পড়বো। তারপর?  প্রেমিকা যখন বিয়ের বায়না ধরবে তখন কি হবে! চাকরির অবস্থা তো তথৈবচ!  চাকরি বিহীন প্রেম চলে বিবাহ চলে না। অতএব, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। ইদানিং সন্দেশখালি -র ব্যথাটাও বেশ চনমনিয়ে উঠেছে। বেশ তো গটগটিয়ে চলছিল রাজ্যটা। দু'চারটা নেতা-মন্ত্রীরা জেলে ঢুকলেও বাকীরা আগামী ভোটে জিতবেই জিতবে নিশ্চিন্ত হয়ে দখিনা বাতাস খাচ্ছিল। দিদিমণি ও লক্ষ্মী ভান্ডার ৫০০ থেকে হাজার। ডি এ আরও ফোর পার্সেন্ট। ব্যস বাঙালির আর কি চাই৷ সবই লাইন বরাবর চলছিল, কিন্তু কোথা থেকে বেআক্কেল ভাবে সন্দেশখালি ঢুকে সব গড়বড় করে দিল। এ ব্যথা কি যে ব্যথা বোঝে কি আনজনে সজনি আমি বুঝি মরেছি মনে মনে.... । বলা নেই কওয়া নেই এক্কেবারে সর্বাঙ্গে ব্যথা ধরিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালি! লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফায়দা এক্কেবারে মাঠে মারা গেল! কেন্দ্র সরকারও ঝোপ বুঝে কোপ মারতে ময়দানে নেমে পড়েছে। ইতনা সুনহারা মওকা কঁহা মিলে গা! বাম আর কংগ্রেসীরা এখনও ধরি মাছ না ছুঁই পানি... । কি করবে কোন পথে লড়াইটা চালাবে বুঝতে পারছে না। এটা হলো I.N.D.I.A  জোটের ব্যথা! পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে ব্যথা চেনা...!কিন্তু পথ কোথায়? এখন পেট ব্যথা,মাথা ব্যথা,হাঁটুতে ব্যথা,দাঁতে ব্যথা কোমরে ব্যথার মতো  অন্য শাশ্বত ব্যথা গুলো আর ঠিক টের পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ তো আবার ব্যথা বাড়িয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের সাইনবোর্ড সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কবিদেরও ব্যথা টনটনিয়ে উঠেছে! কবিদের কলম তো আগেই বেশ চড়া দামে বিক্রি হয়েই গেছে। অনেক শ্রী, উপাধি, উত্তরীয়, স্মারক আর মঞ্চে একটা নড়বড়ে চেয়ারের লোভে কবি আর কবিতার মেরুদণ্ড বেঁকেই গেছে। দু একজন যাঁরা এখনোও কবিতায় একটু  আলতো উষ্ণতা ছড়াবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারাও সচেতন।মেপে পা ফেলছে। পরের ব্যথা আঙুল টিপতে গিয়ে নিজেই না গাড্ডায় পড়ে! বুদ্ধিজীবীরা পথে নামবো নামবো করেও মোমবাতির অভাবে পথে নামতে পারছেন না। নামলেই ব্যথা...  দুয়ারে ব্যথা!সংগীত শিল্পীরা গলা ছেড়ে গান গাইছে,  তুমি অনেক যত্ন করে আমায় ব্যথা(দুঃখ)  দিতে চেয়েছো দিতে পারো নি।যদি বলি আমিও তো ডুবেছি তুমিও কি একটুও ডুবোনি...

ঘরের বউ বলে দিয়েছে, ওসব সন্দেশখালি না সন্দেশভর্তি তা জেনে তোমার লাভ নেই। ও বিষয় নিয়ে একটাও উচ্চবাচ্য চলবে না। মনে রেখো লক্ষ্মী ভান্ডার  একহাজার হো গয়া! এখন আমরা সবাই লক্ষ্মীশ্রী!কিছু ব্যাগড়বাই করেছো কি পিটিয়ে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেব! অতএব কোন কোন জায়গায় ব্যথা তা এখন নিজেই বুঝতে পারছি না। 

এদিকে দুদিন বাদেই ২১ শে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক স্বাধীনতা না কি একটা দিবস! ভাষা দিবস কি? ওটা আবার কি দিবস? ভ্যালেন্টাইন্স দিবসের মতোই কি? কি হবে ওইদিন?  একটু সাজুগুজু। একটু কবিতা গান বক্তৃতা নেকু নেকু মিছিলে, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...। একটা দুটো পত্রিকা প্রকাশ! সেই পত্রিকায় যার  কবিতা ছাপা হয় সেই কবি নিজের কবিতাটি বার দশেক পড়ে বইটি তাকে তুলে রাখে। উইকে খাওয়ানোর জন্য! এ ব্যথা বাঙালির নতুন ব্যথা!  স্যরি ব্যথা না হুজুগ!  চলুক এসব নিয়েই আমরা বেঁচেবর্তে থাকতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মমতা, মোদি,মা মাটি মানুষ, জয় শ্রীরাম,ইনকিলাব, বন্দেমাতরম, ভারতমাতা কি জয়।সবকিছুতে জড়িয়ে ব্যথা ভর্তি শরীর নিয়ে ভুবনেশ্বর এইমস্ নয়তো ভেলোর,চেন্নাই  ছুটছি। ছুটেই চলেছি..., 

আর মাঝে দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের সাথে তাল মেলাচ্ছি...  তোর কোন কোন জায়গায় ব্যথা গো বান্ধবী ললিতা!

শব্দব্রাউজ- ১০৮৫ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1085, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৮৫ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1085, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৮৫ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে ৩.৩.২৪. বিকাল তিনটে দশ।


শব্দসূত্র: তোলপাড় মনের সামনে দাঁড়িয়ে


তোলপাড় হচ্ছি মনে মনে

তার সামনে দা়ঁড়িয়ে

বুঝে নিচ্ছি নিজের ভাবগতিক।


বেখেয়াল মনে ঝিকিয়ে ওঠে

শব্দ ।


তোলপাড মনের সামনে দাঁড়িয়ে

যে আজন্ম।


 

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...