শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০

ইউরোপের টুকরো কথা ও রবীন্দ্রনাথ || অভিজিৎ চৌধুরী || পঁচিশে বৈশাখের বিশেষ গদ্য

ইউরোপের টুকরো কথা ও রবীন্দ্রনাথ।
অভিজিৎ চৌধুরী

বিলেত গেছিলেন প্রথম ১৭ বছর বয়সে।ব্যারিস্টার হবেন বলে।ফিরলেন পাশ্চাত্য সংগীতকে মর্মে ধারন করে।

জ্যোতিদাদা পিয়ানোতে বসাতেন সুর আর রবি কথা।বাল্মীকি প্রতিভা,মায়ার খেলায় পশ্চিমের সুর প্রবেশ করে ছিলই।তা আর নতুন রূপ পেল পুব বাংলার লালন, গগন হরকরাদের পেয়ে।তারপর ১৯১২ তে ইংল্যান্ড যাওয়া সেখান থেকে আমেরিকার প্রান্তিক অঞ্চল আরবানা।আলাপ হলো ইয়েটস,এজরা পাউন্ড,এমন কি সামান্য সময়ের জন্য বার্নাড শ।অবশ্য রোটেনস্টাইনের কথা বলতে হয়ই।তিনিই আয়োজন করেছিলেন সভার যেখানে পড়া হল Song Offerings. ইন্ডিয়ানা প্রেসে ছাপা হল,তারপর ১৯১৩ নোবেল।

এরপর স্থায়ী পশ্চিমের যাত্রী।বক্তৃতা।বিষয় বিচিত্র,তবে ঘুরেফিরে কোয়েস্ট ফর স্পিরিচ্যুয়ালিজম থাকতোই।গানের গলা হারাচ্ছিল অতিরিক্ত বক্তৃতায়।কিন্তু বিশ্বভারতী তখন গঠমান,শান্তিনিকেতন তো আছেই।শ্রীনিকেতন,রথীর সাহায্যে কৃষির নবায়ন,সমবায়ী ব্যবস্থা। অর্থভিক্ষা বারবার পশ্চিমের কাছে।

সামান্য শান্তি পেলেন আর্জেন্টিনা গিয়ে।দৈব দুর্বিপাকে চিলি যেতে গিয়ে প্লাতা নদীর তীর ও ওকাম্পোর কবিতায় ফেরা এবং গানেও।আর নিজের লেখার কাটাকুটি নিয়ে ড্যুডলিং।আর চিত্রকর রবীন্দ্রনাথের নতুন যাত্রাপথের নির্মাণ।

১৯২৫ অবধি নিরন্তর পশ্চিমে যাওয়া।রাশিয়ার কথা আলাদা বলব কখনও।বাকী রইল জাভা সুমাত্রা জাপান,চীন আর আরব দেশ।

ইংল্যান্ডে ব্লুমসবেরি হোটেল থেকে নিস্কৃতি পেয়ে যখন একটি ফার্ম হাউসে রয়েছেন,রোটেনস্টাইন বললেন,আপনার এখানে সময় কাটে কি করে! ভাষাও তো অচিন।হেসে বললেন,আমার যে পথ চাওয়াতে আনন্দ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...