শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য ১০৩ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক বিভাগ

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী


১০৩.
আমি শুরুতে দশটি কবিতা থেকে দু-এক লাইন তুলে এনে দেখাতে চাইছি কবিতার নতুন চলাচল।
১॥ ডায়ালটোন থেকে বুঝতে পারি কোনো বস্তুই অচল নয় ,
২॥ একটি ফিঙে উড়তে উড়তে স্যাটেলাইট স্পর্শ করলেই ড্রইংরুমের টেলিফোনটির রিং বাজতে থাকে।
৩॥ স্টিললাইফের দিকে তাকিয়ে জেনে গেছি দু-ঠোঁটের ফাঁক/ দিয়ে ঢুকে যায় লোকালয় সবুজের শব্দরা
৪॥ একটি বৃত্তের ভেতরে চক্ষুস্থির করে থাকলে দেখতে পাব অনন্ত শূন্য ,
৫॥ প্রশ্ন-চিহ্নের মধ্যে যারা অরুন্ধতীকে খোঁজে --- তাদের কথা ঘুঙুর-পরা সকাল মনে রাখে ?
৬॥  সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য একটি রাত্রি দরজা খুলতে আরম্ভ করে/ তখনই গণনা করতে শুরু এক একটি রাত প্রহরের,
৭॥ সারারাতের/ ধারাবাহিক ঘটনাগুলো ভয় ক্লান্তি দূর করে দেয় মাউথঅর্গানটি,
৮॥যে ভাষা লোহার পেরেক / খুলে প্রেমনিবেদন করে,সমস্ত শুনি বুঝি/ তবুও নিঃসঙ্গতা পাখনায় আলো চায় ,
৯॥ নিদ্রাহীনতা/ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় রাত্রির মনিটর তারকাদের মুখ আর/ মুখোশ,
১০॥ তুমি যাও বা না যাও কুয়োর মুখে একটু ঝুঁকলে দেখতে পাবে/ তোমার মুখ। আর ঝাঁপ দিলেই গল্প।
এই লাইনগুলি কবি ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা থেকে তুলে আনলাম।
কবিতাপাক্ষিকের তখন নতুন দপ্তর ৪৯ পটলডাঙা স্ট্রিটের ছাদঘরে। প্রতি শনিবার চলছে কবিতাপাঠের আসর। এই সময় প্রতি শনিবার আসছো ঠাকুরদাস। পরিচয় হল। জানতে পারলাম কয়েকটি তথ্য :
ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক।
কামারডাঙা এবং বড়োবাজার - দুটি চেম্বার।
দেশের বাড়ি উদয়নারায়ণপুর , হাওড়া ।
বড়দা জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
মেজদা উল্লাস চট্টোপাধ্যায়।
বামপন্থায় বিশ্বাসী।ছাত্র-আন্দোলন থেকে উঠে আসা।

কেউ যদি প্রশ্ন করেন কবিতালেখার সঙ্গে এসবের সম্পর্ক কী ? আমি সবিনয়ে জানাবো এটা আমার নিজস্ব একটা পদ্ধতি।
এখন ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায়ের ১০ টি উদ্ধৃতির পাশে পরিচিতিকে পাশাপাশি রেখে একটা প্রোজেক্ট করার কথা ভাবা যেতে পারে। এই ভাবনাটিকে একটি নাম দিয়ে সেভ করে রাখলাম।
কবিতাপাক্ষিকের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে লাড্ডুর এক সুনীবিড় সম্পর্ক আছে। সেই লাড্ডু আনার দায়িত্ব স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছিল ঠাকুরদাস।
ঠাকুরদাসের মেজদা উল্লাস চট্টোপাধ্যায় তখন রানিবাঁধ-এর বিডিও।ওখানে একটা নতুন পান্থশালা সবে নির্মিত হয়েছে। ঠাকুরদাসের উদ্যোগে সেই নতুন গেস্টহাউস ' রিমিল ' - এ কবিতাপাক্ষিকের এক বড়ো অনুষ্ঠান হয়েছিল। 
এসব কর্মকাণ্ড কবিতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিশে থাকে। ওখান থেকেই উঠে আসে :
ডায়ালটোন  কিংবা সেই মাউথঅর্গানটি, যা ঠাকুরদাস লিখেছিল।
ঠাকুরদাস যে কবিতায় নিজের মতো করে 'গীতা ' রচনা করে চলেছে , একথাটাই তো বলা হয়নি।

1 টি মন্তব্য:

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...