সৌমিত্র রায় --এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১২৪.
পরিকল্পনা থাকে এক রকম , আর হয়ে যায় অন্যরকম।এর জন্য কেবলমাত্র আঙুল-কে দোষারোপ করে কোনো লাভ হবে না। ভুল = ভুল।দ্বিতীয় সংখ্যায় এই পক্ষের ভাবনা লিখেছিলেন পবিত্র মুখোপাধ্যায়।শতভিষা সম্পাদনা নিয়ে আলোক সরকার বলেছিলেন :
কবিতা নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত দায়িত্ববান ছিলুম , হয়য একটু বেশি। বানান-ছন্দ বিষয়ে দীপঙ্কর ছিল অত্যন্ত খুঁতখুতে। কবিতা নির্বাচনের দায়িত্ব আমি আর দীপঙ্কর পালন করতুম।এবং এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি আমরা আমাদের বোধবুদ্ধি মতো সৎ ছিলাম --- নির্বাচনে কোনো রকম পক্ষপাতিত্ব প্রশ্রয় পেত না । '
এই বক্তব্য আলোক সরকারের ব্যক্তিগত । এ ব্যাপারে আগ বাড়িয়ে কিছু বলা শোভন নয়। তবে আমি তো বলি আমার কথা। তার কোনটা শোভন আর কোনটাই বা জল- শোভন তা বিচার করে বলি না। বলার ইচ্ছে হলে বলি। এখন যেমন বলার ইচ্ছে হচ্ছে। আমি মনে করি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব থাকবেই। তাকে প্রশ্রয় দেবার জন্য পত্রিকা করতে হয়।
কবিতার স্কুলিং-এ বিশ্বাস করি আমি।সে-বিশ্বাসের কথা বিভিন্ন গদ্যে লিখেছি। এখন কপা প্রথম পর্বের কথা , স্মৃতিকথা।
দীপক মজুমদার সম্পর্কিত গদ্যটিতে সুনেত্রা ঘটক অনেক গভীর গভীর কথা লিখেছিলেন। আমি তার থেকে এক অংশ নিলাম : বাতিল গানের দর্শকমণ্ডলী বিষয়ে বলতে গিয়ে দীপকদা একবার বলেছিলেন , 'ক্রাউড ফর্মেশন স্টাডি করা একটা দারুণ ব্যাপার। কীভাবে মাইক্রো কাজকে কেন্দ্র করে এক একটা সুষ্ঠ ক্লাস্টার হয় --- অথচ প্রত্যেকটাই একটা লারজার ক্লাস্টার--এর সঙ্গে জড়িত। আরও মজার ব্যাপার হল কীভাবে ক্রাউড অত্যন্ত হার্মোনিয়াসলি এবং ইকোলজিকালি মুভ করে এক জায়গা থেকে অন্যত্র সেটা লক্ষ করা। '
দীপকদার এই কথাটা বারবার পড়তে হবে , তাহলেই বক্তব্যটি উপলব্ধি করা সম্ভব।
দীপক মজুমদার একটিও হালকা কথা বলেননি। দীপক মজুমদার-চর্চা এখনো বাকি আছে।
নেলি সাকস - এর দুটি কবিতা অনুবাদ করেছিল শান্তিময় মুখোপাধ্যায়। অবতার সিংহ 'পাশ ' এবং অমরজীত চন্দন , পাঞ্জাবের দুই কবির কবিতা অনুবাদ করেছিলেন কমলেশ সেন।
সমীরণ মজুমদার -এর কবিতার বই দেবীপার্বণ -এর আলোচনা করেছিল কাননকুমার ভৌমিক।
দ্বিতীয় সংখ্যার ব্যাক-কভারে একটি ঘোষণা ছিল আর সেই ঘোষণাটি ছিল বিনীত :
কবিতাপাক্ষিক -এর প্রথম সংখ্যার বিক্রয়যোগ্য কোনো কপি অবশিষ্ট নেই। কয়েকজন কবিতাপ্রেমী কপি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁরা পত্রিকাস্টলে খোঁজ করতে পারেন। সেখানেও না পেলে অগ্রিম পাঁচ টাকা জমা দিলে প্রথম সংখ্যার জেরক্স কপি দিতে পারব।
এথেকে প্রমাণিত হচ্ছে কবিতাপাক্ষিকের প্রকাশ জরুরি ছিল। আমরা ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করেছিলাম।
আরো কী কী সঠিক কাজ করেছিলাম , তারও কিছু কিছু নমুনা পেশ করাটা অশোভন হবে না।
প্রভাত চৌধুরী
১২৪.
পরিকল্পনা থাকে এক রকম , আর হয়ে যায় অন্যরকম।এর জন্য কেবলমাত্র আঙুল-কে দোষারোপ করে কোনো লাভ হবে না। ভুল = ভুল।দ্বিতীয় সংখ্যায় এই পক্ষের ভাবনা লিখেছিলেন পবিত্র মুখোপাধ্যায়।শতভিষা সম্পাদনা নিয়ে আলোক সরকার বলেছিলেন :
কবিতা নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত দায়িত্ববান ছিলুম , হয়য একটু বেশি। বানান-ছন্দ বিষয়ে দীপঙ্কর ছিল অত্যন্ত খুঁতখুতে। কবিতা নির্বাচনের দায়িত্ব আমি আর দীপঙ্কর পালন করতুম।এবং এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি আমরা আমাদের বোধবুদ্ধি মতো সৎ ছিলাম --- নির্বাচনে কোনো রকম পক্ষপাতিত্ব প্রশ্রয় পেত না । '
এই বক্তব্য আলোক সরকারের ব্যক্তিগত । এ ব্যাপারে আগ বাড়িয়ে কিছু বলা শোভন নয়। তবে আমি তো বলি আমার কথা। তার কোনটা শোভন আর কোনটাই বা জল- শোভন তা বিচার করে বলি না। বলার ইচ্ছে হলে বলি। এখন যেমন বলার ইচ্ছে হচ্ছে। আমি মনে করি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব থাকবেই। তাকে প্রশ্রয় দেবার জন্য পত্রিকা করতে হয়।
কবিতার স্কুলিং-এ বিশ্বাস করি আমি।সে-বিশ্বাসের কথা বিভিন্ন গদ্যে লিখেছি। এখন কপা প্রথম পর্বের কথা , স্মৃতিকথা।
দীপক মজুমদার সম্পর্কিত গদ্যটিতে সুনেত্রা ঘটক অনেক গভীর গভীর কথা লিখেছিলেন। আমি তার থেকে এক অংশ নিলাম : বাতিল গানের দর্শকমণ্ডলী বিষয়ে বলতে গিয়ে দীপকদা একবার বলেছিলেন , 'ক্রাউড ফর্মেশন স্টাডি করা একটা দারুণ ব্যাপার। কীভাবে মাইক্রো কাজকে কেন্দ্র করে এক একটা সুষ্ঠ ক্লাস্টার হয় --- অথচ প্রত্যেকটাই একটা লারজার ক্লাস্টার--এর সঙ্গে জড়িত। আরও মজার ব্যাপার হল কীভাবে ক্রাউড অত্যন্ত হার্মোনিয়াসলি এবং ইকোলজিকালি মুভ করে এক জায়গা থেকে অন্যত্র সেটা লক্ষ করা। '
দীপকদার এই কথাটা বারবার পড়তে হবে , তাহলেই বক্তব্যটি উপলব্ধি করা সম্ভব।
দীপক মজুমদার একটিও হালকা কথা বলেননি। দীপক মজুমদার-চর্চা এখনো বাকি আছে।
নেলি সাকস - এর দুটি কবিতা অনুবাদ করেছিল শান্তিময় মুখোপাধ্যায়। অবতার সিংহ 'পাশ ' এবং অমরজীত চন্দন , পাঞ্জাবের দুই কবির কবিতা অনুবাদ করেছিলেন কমলেশ সেন।
সমীরণ মজুমদার -এর কবিতার বই দেবীপার্বণ -এর আলোচনা করেছিল কাননকুমার ভৌমিক।
দ্বিতীয় সংখ্যার ব্যাক-কভারে একটি ঘোষণা ছিল আর সেই ঘোষণাটি ছিল বিনীত :
কবিতাপাক্ষিক -এর প্রথম সংখ্যার বিক্রয়যোগ্য কোনো কপি অবশিষ্ট নেই। কয়েকজন কবিতাপ্রেমী কপি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁরা পত্রিকাস্টলে খোঁজ করতে পারেন। সেখানেও না পেলে অগ্রিম পাঁচ টাকা জমা দিলে প্রথম সংখ্যার জেরক্স কপি দিতে পারব।
এথেকে প্রমাণিত হচ্ছে কবিতাপাক্ষিকের প্রকাশ জরুরি ছিল। আমরা ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করেছিলাম।
আরো কী কী সঠিক কাজ করেছিলাম , তারও কিছু কিছু নমুনা পেশ করাটা অশোভন হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন