পূরবী- ৩৪
অভিজিৎ চৌধুরী।
আমরা যদি এই বাংলাদেশের জল হাওয়ায় একজন পূর্ণ পুরুষ ও নারীর বিকাশ দেখতে চাই তবে রবি ঠাকুরের কাছে আসতে হবে কিন্তু কেন!
রথীন্দ্রনাথ বলতেন,বাবা তখন অনায়াসে পদ্মা পার করতেন।
তাঁর গানের গলারও অনেকে প্রশংসা করেছেন।বউঠান বলতেন,রবি তোমার গলা অতি কর্কশ।
তাকে মিহি করতে গিয়ে সামান্য মেয়েলি হয়েছিল কি!
কিন্তু তাঁর আসল আসন শিক্ষায়।সেখানে তিনি চির আধুনিক।মুখস্থবিদ্যায় তাঁর ছিল চিরকালের বিরাগ।শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী
সাজটাও তো অদ্ভুত, মেয়েলি চুল।
ছেলে এসে বলল,তোমার জন্য ফাউন্টেন পেন আনলাম।ফাউন্টেন পেনে লেখো তুমি!
তীর্থ ভোরে উঠলে তার দিনলিপিতে প্রকৃতি যেন উজাড় করে দিত।রাতেও হয় কিন্তু গভীর হলে যখন সেই একক পাখিটা বিরহে কেঁদে ওঠে কোন অজানা কারণে।
একটা সময় তীর্থ কবিতা লিখত।আর কবিতার সঙ্গে যোগ আছে বর্ষণসিক্ত কলেজ স্ট্রীটের।আর নিবিড়ভাবে বললে ৪৯; পটলডাঙার।এই গলিটি বিখ্যাত।এক সময় বিদ্যাসাগর মশাইও থাকতেন।কলেজ স্ট্রীট মোড়ে পাতিরাম বলে একটি স্টল রয়েছে যেখানে কবিরা জড়ো হন।তীর্থও প্রথম দেখে কবিতা পাক্ষিক।আলাপ হয় কবিতা পাক্ষিকের প্রাণপুরুষ প্রভাত চৌধুরীর সঙ্গে।বাংলা কবিতা নিয়ে তাঁর পথচলা একটি একক ইতিহাস।
তীর্থের খুব আরাম হল দেখে।এ তো পেন নয় ঝরনা স্মৃতিবহ হয়ে যেন তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
কখনও কখনও মাটির বাড়ি শ্যামলীতেও থাকতেন রবীন্দ্রনাথ। একবার ভেবেছিলেন খাট টেবিল সব যদি সিমেন্টে করা যায় তবে ভঙ্গুর হবে না।
কল্লোল কালি কলাম কৃত্তিবাসের চেয়েও চিরায়ু মনে হয় কবিতা পাক্ষিককে।
অবশ্য নিজেরই ভাল লাগেনি তাঁর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন