পূরবী~৩৯
অভিজিৎ চৌধুরী
ইউরোপে গিয়ে গান তেমন লেখা হতো না।জার্মানিতে একবার হয়েছিল।ঠিক লেখা নয় গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন। সংশোধিত হয়ে তা দাঁড়ায় - মধুর,তোমার শেষ যে নাহি পাই,প্রহর হল শেষ।
মুহূর্ত সহজে বিনষ্ট হয়ে আগামীকাল রচনা করে।কাল যতো এগোয় মুহূর্তের বোঝা বাড়ে যাত্রীরা নেমে যায়,তাদের পালা শেষ হয়।আবার নতুন যাত্রীরা আসে।চেনাশোনা খানিকটা হয়,খানিকটা হয় না।
সেই নৈঃশব্দ যেন কিশোরবেলার।লাজুক পৃথিবীর অবগুণ্ঠন প্রকাশিত হয়েছিল যখন।মুখগুলি সারি সারি আসে যায়। তারপর বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে খানিকটা অলমতি চান যেন।
যা থাকে,তা হল ঢেউ গুণে একা একা পথ চলা।ক্রমশ কথা বন্ধ হয়।কোলাহল থাকে না।নৈঃশব্দ আসে।
ভোরের কথা মনে পড়ে।মনে পড়ে মধ্যরাত।আবার কখনও নির্জন দুপুর।কখনও পাহাড়ি একটা স্টেশন।কখনওবা নদীর চর।
ব্যক্তি বলতে মা বাবা থাকেন।দাহকার্যের স্মৃতি থাকে কিন্তু সবটাই নিরাবয়ব।তখন বোঝা যায় সময়ের সঙ্গে খেলা হারবো বলেই শুরু হয়েছিল।
খেলার পুতুল ভেঙে গেছে প্রলয় ঝড়েতে।আলাদা কোন পুতুল নয়।আলাদা কোন ঝড়ও নয়।প্রতীক্ষা।সেই সাগরটা কেমন যেখানে দুলতে দুলতে জীবন থেকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এলাম।
সীতাচটি অরণ্যের দিকে একবার,একবার শিলাবতীর দিকে তাকায় তীর্থ। না,কোন উত্তর নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন