সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য ২০৩ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য

প্রভাত চৌধুরী



২০৩.

কাটোয়া লিটল ম্যাগাজিন মেলার দ্বিতীয় দিনে ছিল সেমিনার। বিষয় : বাংলা কবিতার ভবিষ্যৎ।

আলোচক ছিলেন : মুরারি সিংহ উজ্জ্বল সিংহ কমলকুমার দত্ত নিয়াজুল হক প্রমুখ।আলোচনাটি বেশ উপভোগ্য হয়েছিল। মুরারি বলেছিল :

' প্লেটো কবিদের নির্বাসন চাইলেও তা সম্ভব হয়নি কোনোকালে। হকিন্স কিছুদিন আগে বলেছিলেন কবিদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এক মহিলা সে-কথাটি হকিন্সকে ফেরত নিতে বাধ্য করেন। প্রতি যুগেই এই সংকট ছিল , থাকবে।আমাদের মনে রাখতে হবে প্রভাতদার কবিতার এই অবিস্মরণীয় লাইনটি :

মানুষ যতদান পর্যন্ত স্বপ্ন দেখবে ততদিন কবিতাও থাকবে ।'

অন্যান্য বক্তারাও একই রকম বা কবিতার ভবিষ্যৎ-কে উজ্জ্বল বলেছিলেন।

সময়ের স্বল্পতার কারণে প্রায় মাঝপথেই আলোচনাটি বন্ধ করে দিতে হয় , যা উপস্থিত অনেকের মনখারাপের কারণ হয়।

কাটোয়া লিটল ম্যাগাজিন মেলায় সেবার কাটোয়ার স্থানীয় কোনো সমান্তরাল পত্রিকার দ্যাখা পাওয়া যায়নি।  এমনকী ' অজয় ' ও অংশগ্রহণ করেনি।একারণে মতিউল্লাহ্ র মোটরবাইকে চেপে হাজির হয়েছিলাম অজয়- সম্পাদক তারকেশ্বর চট্টরাজের  বাড়িতে। সারা বাংলার সঙ্গে কাটোয়া কেন যুক্ত হতে পারলো না এই  জানার আগ্রহ থেকেই তারকেশ্বরের বাড়ি গিয়েছিলাম। অজয় সম্পাদক তার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছিলেন।

কাটোয়া-র একটা প্রধান দ্যাখার জায়গা হল অজয় নদ যেখানে ভাগীরথী-র সঙ্গে মিশেছে , সেই সংযোগস্থল । এই তীর্থের সন্ধান আমাকে দিয়েছিল মুহম্মদ মতিউল্লাহ্।কাজেই আমি এখন মতি এবং আমার সংযোগের অন্যতম একটি প্রধান সূত্র মনে করি এই শাঁখাইঘাট।

মতি তখন কাটোয়া পৌরসভার অতিথিনিবাস শ্রাবণী-র কাছাকাছি কাটোয়াপড়া এবং মনসাপাড়ার মাঝামাঝি একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতো। প্রথম প্রথম আমি শ্রাবণী-তেই উঠতাম। আর সকালে উঠি হাঁটাটা ছিল আবশ্যিক। মতি-ই প্রথমবার পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ভোর ভোর। আমরা কুয়াশা -পথে পৌঁছেছিলাম সেই তীর্থে। মোটর লাগানো  নৌকায় ওপাড়ে শাঁখাই। একটা  শীর্ণ পিচরাস্তা। দু-কিলোমিটার হাঁটা , ফিরে আসা। এটাই ছিল আমার রুটিং । যতবার কাটোয়া গেছি ততবার এই তীর্থে গেছি আমি। কেবলমাত্র শেষবার পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম। সঙ্গে মতি ছিল না বলেই।

আর ফেরার সময় বা হাঁটা শেষ করে একটা দোকানে চিনি ছাড়া চা। সঙ্গে লোকাল বিস্কুট। বাধা দোকান। চিনে গিয়েছিল। কুশল বিনিময় হত।

একবার মতি-র সঙ্গে বাইকে স্টেশনের কাছে চক্রবর্তী টি স্টলেও চা খেয়েছি। আর শাঁখাইঘাটে এক পানদোকানির কাছে গেলেই পেয়ে যেতাম পান ।কারণ চায়ের দোকানে ঢুকতে দেখেই সে পান রেডি করে রাখতো।

তো সেবারও পুরো টিম , নাসের মুরারি অম্বিকা অভিজিৎ সমরমাস্টার স্বপন দত্ত নিখিল সহ মতি এবং আমি পৌঁছে গিয়েছিলাম শাঁখাইঘাট। আর ২ মাইল হাঁটার পর নির্দিষ্ট চা-দোকান। দোকানির সঙ্গে কুশল বিনিময়। চা-পান। 

এখন একবার গেলে হয়। আমার নতুন নবীন বন্ধুদের সঙ্গে !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...