সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২০৯.
দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পর শুরু হল উৎসবের পরবর্তী পর্যায়। সঞ্চালনা নাসের হোসেন। সহায়তা মুরারি সিংহ ।
প্রথমে বাউল গান।গেয়েছিলেন লাল মহম্মদ দিলীপ দাস সুনীতা দাস।
এরপর উপস্থিত কবিদের কবিতাপাঠ। যাঁরা কবিতা পাঠ করেছিলেন তাঁদের কারো নাম প্রভৃতিতে রাখলাম না । এটাকে আমি ইতিহাসের দলিল মনে করছি। কাজেই কারো নাম বাদ দেওয়ার অধিকার আমার নেই। নামগুলি :দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় অমিত কাশ্যপ বিশাল ভদ্র গৌরাঙ্গ মিত্র ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায় মবিনুল হক রীণা কংসবণিক নীলিমা সাহা গীতা কর্মকার স্বপন দত্ত তমাল মুখোপাধ্যায় ভগবাহাদুর সিং তাপসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সমরেন্দ্র রায় সুপ্রীতি বিশ্বাস এমদাদ-উল-হক নুরুল আমিন বিশ্বাস রাজকুমার শেখ শ্যামল রায় কমলেন্দু ভট্টাচার্য জয় সিংহ মুরারি সিংহ সুশান্ত বিশ্বাস অজয়কুমার সাহা রাজন গঙ্গোপাধ্যায় দেবাশিস সাহা অমিতাভ বিশ্বাস এবাদুল হক তপন দাস মুজিবুর রহমান সৈয়দ খালেদ নৌমান শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় সৌমিত্র রায় এবং জাহিদ হাসান মাহমুদ।
আমার লেখা ' উডল্যান্ড থেকে ফিরে / বাবার জন্য পায়রা-ডাক ' কবিতাটি পাঠ করেছিল নাসের হোসেন।দু-জন আবৃত্তিকার ছিলেন শুক্লা ঠাকুর এবং সন্দীপ সেনগুপ্ত , তাঁরা পাঠ করেছিলেন সন্দীপ বিশ্বাস অমিতাভ মৈত্র এবং নিখিলকুমার সরকারের কবিতা।
শেষের দিকে প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের লৌকিক গান ছিল। শেষে মঞ্চে শক্তিনাথ ঝা-র সঞ্চালনায় শুরু হয় লৌকিক গানের দ্বিতীয় পর্ব। সঞ্চালনা সহায়তায় মুরারি সিংহ।
বাউল গান গেয়েছিলেন : শেফালি দাস আলপনা হাজরা সোমা বারিক খ্যাপাফকির মল্লিকা। মুসলিম বিয়ের গান গেয়েছিলেন : সায়েরা মজেদা ওলিমা। কাপ-এ গেয়েছিলেন : গোপাল মণ্ডল এবং জয়দেব মণ্ডল।
উৎসবে কবিতাপাক্ষিক কিয়ক্স-এর বা বই বিক্রির মূল দায়িত্ব পালন করেছিল সৌমিত্র রায়।
রাতের খাবারও বহরমপুর ক্লাবে। খাবার পর ফিরে যাবার পালা। রান্না যে চমৎকার হয়েছিল এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সন্দীপ -এর প্রিয় ক্যাটারার - এর দায়িত্বে ছিল সেটা।
আমাদের ক-জনের বাসের টিকিট সময় মতো পৌঁছে দিয়েছিল সমরমাস্টার।
রাত ১১টার বাস ধরেছিলাম আমরা। আর নাসের থেকে গিয়েছিল ওর মায়ের চিকিৎসার প্রয়োজনে। ফিরেছিল পরের দিন ভাগীরথী-তে।
আমরা ভোর চারটেয় নেমে পড়লাম। বাসে থেকে গেল গৌরাঙ্গ শিখা ও রতন। অন্ধকার কেটে গেলে তারা যাবে।
আমরা ট্যাক্সিতে প্রথমে কালীঘাট। আমার বাড়ির কাছে চা-দোকান থেকে চা-পান।তারপর ট্যাক্সিতে বিশাল নমিতা এবং ইন্দ্রাণী তাদের বাড়ি ফিরেছিল।
পরদিন সকালে নাসেরের ফেরা হয়নি। আর জাহিদদের লালবাগের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছিল সমরমাস্টার।ওরা বেড়ানোর পর উঠেছিল সমরের বাড়িতে । সমরের রান্না খেয়ে ওরা রাতের ট্রেনে উঠিছিল। নাসের তার পরের দিন সকালের ভাগীরথী ধরেছিল।
সেদিন সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে দাওয়াত দিয়েছিলাম জাহিদ এবং কানিজকে। মেনু ছিল : গরম লুচি পনির পরমান্ন এবং মিষ্টান্ন। নাসেরও হাজির হয়েছিল। আর ছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। জাহিদ-কে নিয়ে আমাদের কিছু জরুরি কথাবার্তা হয়েছিল। সেসব নোট করেছিল নাসের ।
কবিতাপাক্ষিক ৩০০ সংখ্যাটি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই বলা হয়নি। বলব আগামীকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন