রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

হোমেন বরগোহাঞি মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ -বাসুদেব দাসbasudeb das

 

বই

হোমেন বরগোহাঞি

মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ -বাসুদেব দাস




মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ-বাসুদেব দাস 

(১)

মানুষ ভাবে যে আমি অনেক বই পড়েছি। কিন্তু সেই ধারণা পুরোপুরি ভুল। আমার সম্পর্কে এরকম একটি ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে থাকার প্রধান কারণটি হল এই যে বেশিরভাগ শিক্ষিত অসমিয়া খুব কম বই পড়ে, এবং অনেকে একেবারেই পড়ে না। নিজের সঙ্গে তুলনা করে তারা আমাকে অনেক বই পড়া মানুষ বলে মনে করে। কিন্তু আসলে সর্বসাধারণ শিক্ষিত অসমিয়াদের চেয়ে আমি বেশি বই পড়েছি যদিও প্রকৃত বই পড়া বা বইয়ের অনিবার্য প্রয়োজন অনুভব করা মানুষদের চেয়ে  আমি বই পড়েছি খুব কম।

অবশ্য এখানে সামান্য শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন রয়েছে। অক্ষরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার দিন থেকে কলেজে পড়ে থাকার সময় পর্যন্ত আমি গো-গ্রাসে বই পড়েছিলাম। কটন কলেজের লাইব্রেরিতে আমি এমন কিছু বই পড়েছিলাম- যে সমস্ত বইয়ের মধ্যে বহু বছর ধরে পুঞ্জিভূত হয়ে থাকা ধুলো আমিই প্রথম সরিয়ে  ছিলাম। আমি বেছে বেছে কেবল সেই সমস্ত বই পড়েছিলাম– সেই সমস্ত বই থেকে আহরণ করা শিক্ষা বা চিন্তার খোরাক আমার সারা জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে বলে আমি অনুভব করেছিলাম। গরু যেমন সারা দিন ঘাস খেয়ে পেটের মধ্যে জমিয়ে রাখে, আর রাতের বেলা পেট থেকে মুখে আনে সেইসব জাবর কাটে, আমিও প্রায় ঠিক সেভাবেই কৈশোর এবং যৌবন কালে গোগ্ৰাসে পড়া  বইগুলির সারাংশ এখন ও জাবর কাটছি।

অবশ্য তার অর্থ এই নয় যে আমি তারপরে বই পড়া একেবারে ছেড়ে দিয়েছি। এখনও আমি বই না পড়ে থাকতে পারিনা। কাজের ফাঁকে ফাঁকে  যখনই সময় পাই , তখনই বই নিয়ে বসি। উদরের  চাহিদা মেটানোর জন্য আমাকে যেভাবে প্রতিদিন আহার গ্রহণ করতে হয় ঠিক সেভাবেই মনের চাহিদা মেটানোর জন্য আমাকে প্রতিদিন বই  পড়তে হয়। বইবিহীন  কোনো একটি দিনের কথা আমি ভাবতেই পারি না। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে উদরের চাহিদা হ্রাস পেতে  শুরু করে , কিছু বিশেষ খাদ্যের প্রয়োজন একেবারে নাই হয়ে যায়,(যেমন– মাংস), ঠিক তেমনই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বইয়ের প্রয়োজনও হ্রাস পেতে শুরু করে। বা হ্রাস পাওয়া উচিত। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরে দেওয়ার একটা সাক্ষাৎকারে আইজাক বশ্বেভিক সিঙ্গার বলেছিলেন–' আজকাল আমি বই পড়া কমিয়ে দিয়েছি। বই পড়া থেকে আমি এখন চিন্তা করতে বেশি ভালোবাসি। অনেক মানুষ চিন্তা করার বিকল্প হিসেবে অনবরত বই পড়ে থাকে।তাঁরা বইটির ব্যবহার করে নেশার জিনিস হিসেবে। বইয়ের অসংযত নেশা মানসিক দৈন্য এবং চিন্তা বিমুখতার পরিচায়ক । বই মানুষকে চিন্তা করা শেখানো উচিত চিন্তা করা থেকে পালিয়ে যাওয়া নয়। সাধারণ মানুষ যে কাজটি করতে সবচেয়ে বেশি ভয় করে, তাহল চিন্তা করার কাজ।

(২)

আমার নিজের অভিজ্ঞতায় বলে যে মানুষ সবচেয়ে বেশি বই পড়ে অক্ষরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার দিন থেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করার দিন পর্যন্ত। অর্থাৎ সমগ্র শৈশব, কৈশোর এবং যৌবন কাল ধরে। বৃত্তিগত প্রয়োজনে শিক্ষকদের অবসর না নেওয়া পর্যন্ত বই পড়ে থাকতে হয়। বইকে নেশা হিসেবে ব্যবহার করা মানুষও সারা জীবন ধরে বই পড়ে থাকে। কিন্তু বাকি অন্য মানুষদের বই পড়ার সময় ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। জীবনের প্রথম বয়সে– বিশেষ করে কৈশোর এবং যৌবনে– মানুষ কবিতা পড়ে হৃদয়ের আবেগ শানিত  করার জন্য এবং পৃথিবীর রূপ এবং রহস‍্যকে নতুন আলোতে আবিষ্কার করার জন্য, গল্প এবং উপন্যাস পড়ে জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য এবং সঙ্গে নিজের দিবাস্বপ্নের খোরাক জোগাড়  করার জন্য , জ্ঞান বিজ্ঞানের বই পড়ে জীবন আর জগত সম্পর্কে নিজের বিচিত্র কৌতূহল পূরণ করার জন্য। যে সমস্ত মানুষ এই বয়সে প্রচুর পরিমাণে বই পড়ে না, তারা পরবর্তী জীবনে বইয়ের জগতে প্রবেশ করতে পারে না। কিছুদিন আগে আমি' প্রথম কলামে' হ্যারল্ড ব্লুমের Where Shall Wisdom Be Found নামের একটি বইয়ের কথা কয়েকবার লিখেছিলাম । একদিন একজন অপরিচিত ভদ্রলোক আমাকে টেলিফোন করে বললেন যে কতগুলো ধারণার বশবর্তী হয়ে তিনি বইটা অশেষ কষ্ট করে সংগ্রহ করেছেন যদিও বইটি পড়তে আরম্ভ করে তিনি ভীষণ হতাশ হন কারণ বইটির 'মাথামুণ্ডু ' তিনি কিছুই  বুঝতে পারছেন না। আফসোস করে তিনি বললেন যে তার কয়েক শত টাকা জলে গেল । আমি তাকে বললাম যে কিছু বই পড়ার জন্য সারা জীবনের প্রস্তুতির প্রয়োজন অর্থাৎ-পরম মনোযোগ দিয়ে আগে শত শত বা হাজার হাজার বই পড়ে নেবার পরে Where Shall Wisdom Be Found জাতীয় বইয়ে দন্তস্ফুট  করা যায়। বীজগণিত পড়ে বুঝতে চাওয়া মানুষ ধারাপাত এবং পাটিগণিত পড়েই শিক্ষা জীবন আরম্ভ করতে হবে।

বই পড়ার অভ্যাস বা আসক্তি আয়ত্ত করার  প্রথম পদক্ষেপটি হল বই কেনার আনন্দ উপভোগ করার শিক্ষা। যে সমস্ত ছেলে মেয়ে বইয়ের মধ্যে বড় হয় তারা জন্ম থেকে বই দেখে দেখে বইয়ের প্রতি  বেশি পরিমাণে আগ্রহ এবং কৌতূহল  অনুভব করে। জীবনের যে বয়সে মানুষের মনে বইয়ের প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি হওয়া উচিত, এই বয়সে যদি ছেলে মেয়েরা নিজেদের ঘরে একটিও বই দেখতে না পায় তাহলে বড় হয়ে সেই ছেলে মেয়েরা কখনও বইয়ের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে পারে না। আজকাল আমাদের মতো অনুন্নত দেশেও একশ্রেণির মানুষ যথেষ্ট ধনী হয়েছে। কিন্তু তারা ধন খরচ করে শপিং মলে, হোটেল রেস্তোরায়, নানা আমোদ-প্রমোদ এবং বিলাস সামগ্রীর দোকানে। ভুলেও  তারা  বইয়ের দোকানে পা রাখে না। যে সমস্ত ধনী মানুষের ঘরে একটিও  ভালো বই নেই, তাদের চেয়ে বেশি দুঃখী মানুষ আর কে আছে? যে সমস্ত পিতা-মাতা বইয়ের অন্তহীন ঐশ্বর্যের জগতের রুপোর কাঠি নিজের সন্তানকে দিয়ে না যায়, তাদের চেয়ে মূর্খ পিতা-মাতা আর কে হতে পারে?

আমার নিজের বই পড়ার সময় এবং প্রয়োজন আগের চেয়ে কমে এসেছে যদিও বই কেনার নেশা আমি এখনও ছাড়তে পারিনি। আমার আর্থিক সামর্থ্য সীমাবদ্ধ। কিন্তু তার ভেতরে আমি সাধ্য অনুসারে বই কিনি। নতুন করে কেনা বইটি ঘরে বহন করে আনা বা ডাকযোগে আসা বইটি পিয়নের হাত থেকে নিয়ে আমি যে আনন্দের উত্তেজনা অনুভব করি, তার সঙ্গে কোটিপতি ধনী হীরা মুক্তা কেনার আনন্দের তুলনা হতে পারে না। সেভাবে কেনা অনেক বইয়ের  সঙ্গে, সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় হয়ে উঠে না বা কয়েক বছর পরেই পড়া হয়। কিন্তু জানা লোকেরা জানে যে Books aren't so much made to be read, as they are to be lived with.

(৩)

১৯৭৮ সনের কথা। কোনো একটি সেমিনারে যোগ দেবার জন্য পুরী গিয়েছিলাম। একই সেমিনারে যোগ দেবার জন্য কলকাতা থেকে এসেছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিএন রেলওয়ে হোটেলে। দুজন লেখক কয়েকদিন একসঙ্গে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই একে অপরের মনের কথা জানার চেষ্টা করবেই। তার মধ্যে প্রথম দর্শনেই আমরা আবিষ্কার করেছিলাম যে আমাদের দুজনের মধ্যে নানান কথায় যথেষ্ট মিল রয়েছে। অর্থাৎ আমরা দুজন বন্ধু হতে পারি। পুরীতে  একসঙ্গে থাকা দিনগুলি আমরা মনের আশ মিটিয়ে কথা বললাম। অবশ্য তার অর্থ এই নয় যে কেবল ভদ্রতা করার জন্য বা সময় কাটানোর জন্য আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বকবক করছিলাম। আসলে আমরা দুজনেই এতটাই মিতভাষী ছিলাম যে এক ঘন্টায় কখনও আমাদের মধ্যে চারটা কি পাঁচটা বাক্যবিনিময় হয়েছিল। বাক্যগুলির মাঝে  বিরাজ করছিল গহীন দীর্ঘ নীরবতা। সেই নীরবতার অবকাশে আমরা পরস্পরের অভিজ্ঞতার তাৎপর্য অনুধাবন করার চেষ্টা করেছিলাম।

একটা উদাহরণ দেই।

একদিন সুনীল আমাকে জিজ্ঞেস করল–' সাগর এবং পর্বত– এই দুটির মধ্যে কোনটি তোমার বেশি প্রিয়?'

আমি বললাম–' সাগর আমার বেশি প্রিয়। পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের মধ্যে নদীই আমার সবচেয়ে প্রিয়। নদীর মধ্যেও আমি সবচেয়ে ভালোবাসি আমাদের গ্রামের নদীটাকে–চারিকড়িয়া– যার অপরূপ প্রেমের স্মৃতি আমার সারা জীবন ভরিয়ে রেখেছে।'

সুনীল কয়েক মুহূর্ত নীরব হয়ে রইল। তারপর সে আত্মমগ্ন ভাবে বলল–' আমাকে চারিকড়িয়ার কথা বল।'

আমি বললাম।

সুনীল এবার অনেক সময় চুপ করে রইল। তারপর সে বলল–' নদী আমারও খুব প্রিয়। আমি একদিন তোমার চারিকড়িয়া কে দেখতে যাব। জান হোমেন, Once I made love to a river। 

এরপরে এক বিশাল নীরবতা আমাদের দুজনকে গ্ৰাস করে ফেলল। 

ওপরের কথাগুলি কেবল ভূমিকা। আসলে যে প্রসঙ্গটা বলতে চাইছি তা একেবারে আলাদা।

একদিন কথা প্রসঙ্গে আমি সুনীলকে জিজ্ঞেস করলাম–' তুমি সারা জীবন ধরে যত বই পড়েছ তার মাঝখান থেকে এমন একটি বইয়ের নাম করতে পার কি– যে বইটির একটি বিশেষ বাক্য বা প্যারাগ্রাফ তোমার মনে চিরকালের জন্য গেঁথে গেছে? ইংরেজিতে বলতে গেলে যে বাক্য বা বাক্য সমষ্টি তোমাকে haunt করে থাকে?'

ভাবার জন্য এক মিনিটও সময় না নিয়ে সুনীল বলল,– 'পুতুল নাচের ইতিকথা' নিশ্চয়ই পড়েছ? শশী যে একদিন  বিকেলবেলা গ্রামের এক প্রান্তে একটি টিলায় উঠে সূর্যাস্ত দেখেছিল– মনে আছে সেই প্যারাগ্রাফটা?' পুতুল নাচের ইতিকথা' যে পড়েছে আর জীবনে ভুলতে পারবে না সেই বাক্যগুলি?'

সুনীলের কথা শুনে আমি মনে মনে শিহরিত হয়ে উঠলাম। বহু বছর আগে' পুতুল নাচের ইতিকথা' প্রথমবার পড়ার দিনটির কথা মনে পড়ল। সুনীল বইটির যে প্যারাগ্রাফটির   কথা বলছে সেই প্যারাগ্রাফটা পড়ে আমিও সেদিন এক প্রবল আবেগের আকস্মিক আঘাতে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। পথ দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ একটি সুন্দর বা আশ্চর্য দৃশ্য দেখে কিছুক্ষণ থমকে দাঁড়ানোর মতো আমিও বইটির ঠিক সেই জায়গাটিতে কিছুক্ষণ সময় নয়– অনেক সময় থমকে দাঁড়িয়ে ছিলাম। শশীর চোখে দেখা সেই অনিবর্চনীয় সূর্যাস্ত এবং জীবনের ওপরে তার গভীর অর্থবহ আলোকপাত ঠিক সেই মুহূর্তে আমার মনের আকাশে চিরকালের জন্য অঙ্কিত হয়ে রইল।

ঠিক এই কারণেই আমি বই পড়ি। জীবনের অন্তহীন বৈচিত্র‍্য এবং পরম রহস্য কোনো একজন মানুষের পক্ষে জেনে শেষ করা সম্ভব নয়। বই পড়ে আমরা জীবন সম্পর্কে বিভিন্ন মানুষের অভিজ্ঞতা জানতে পারি এবং তা করে জীবনকে নিত্য- নব রূপে আবিষ্কার করে থাকি। আমরা যতই জীবনের নতুন নতুন রূপ আবিষ্কার করি ততই জীবনের প্রতি আমাদের আকর্ষণ বেড়ে যায়। সাহিত্য এবং শিল্পকলা এভাবেই জীবনটাকে আমাদের জন্য অধিক উপভোগ্য এবং অর্থপূর্ণ করে তোলে।

সেদিন সুনীলের সঙ্গে হওয়া কথাবার্তার কথা মনে পড়লেই আমি নিজেকে প্রশ্ন করি–' জীবনে এতগুলি অসমিয়া বই পড়লাম, শৈশবের মধ্যে এরকম একটি বাক্য বা প্যারাগ্রাফ কি নেই যা আমার মনের কোনো একটি কোণে এখনও গাঁথা হয়ে রয়েছে?( আমি এখানে কেবল গদ্য রচনার কথাই বলছি)। একেবারে নেই বলে বলতে পারি না।' জীবনর বাটত' উপন্যাসে অঙ্কিত কয়েকটি দৃশ্য, লক্ষ্মীধর   শর্মার গল্প এবং একাঙ্কিকার কোনো কোনো বাক্য ; রমা দাশের' বর্ষা যেতিয়া নামে' এবং কৃষ্ণ ভূঁইয়ার ' বুকুর ছবি' নামের গল্পটির কয়েকটি প্যারাগ্রাফ– এইসব ছিল যৌবনকালে আমাদের আত্মার আহার। যে সমস্ত উপাদানে একটি কিশোর বা সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত যুবক তার অলোকিক দিবাস্বপ্নের নিজস্ব ভুবন সৃষ্টি করে নেয়, সেই সমস্ত উপাদান আমি সংগ্রহ করেছিলাম এইসব লেখকের কাছ থেকে। সেই সমস্ত লেখা আবার পড়লে আমি এখনও যৌবন ফিরে পাওয়ার মতো অনুভব করি। তাছাড়া যৌবন হল প্রধানত a state of mind , মনের একটি  অবস্থা মাত্র। পাবলো পিকাসোর ৯০ বছরের জন্মদিনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে একজন সাংবাদিক বললেন,' মহাশয়, আপনার ৯০ বছরের জন্মদিন উপলক্ষে অভিনন্দন জানাচ্ছি । উত্তরে পিকাসো   বললেন ––' আমার তো ৯০ বছর হয়নি। আমার যখন ত্রিশ বছর বয়স, আমি তখনই ঠিক করেছিলাম যে আমি সারা জীবন ৩০ বছরের হয়ে থাকব। তাই আজ আমার ত্রিশ বছর বয়স।' 

------


 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...