রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পূরবী~ ৬৪ অভিজিৎ চৌধুরী Purabi-64

 পূরবী~ ৬৪

অভিজিৎ চৌধুরী 




ছাতুবাবুদের বাগানবাড়ির এখনকার নাম গোবিন্দ ভবন।অনেকেই চেনেন না।রবীন্দ্রনাথের মর্মর- মূর্তি রয়েছে,তবে মালাটা শুকনো আর পুরোনো।তীর্থ৷ এর পরের দিন একটা টাটকা মালা নিয়ে যাবে,পরিয়ে দেবে কবির গলায়।
রাতে স্বপ্ন দেখল তীর্থ। সমুদ্রের জোয়ারে শুয়ে রয়েছে। অনেকটা দূরে চলে গেছে যেখান থেকে ফেরা কঠিন।তবু ভয় করছে না,মনে হচ্ছে এটাই তো স্বাভাবিক।পাশে একজন রয়েছেন,চেনাও নয় অচেনাও নয়।তিনি বললেন,আপনি সূর্য প।রণাম করছেন কিন্তু আকাশ তো মেঘলা করে রয়েছে।বজ্রপাতও হল কয়েকটা।সমুদ্রের জল নীল হয়ে উঠেছিল, একটা বিদ্যুৎ রেখা জলের বুকে খেলে গেছিল।
তীর্থ হেসে বলল,সূর্য না উঠলেও আমি কল্পনা করে নিলে দেখতে পাই।
ভদ্রলোক বললেন,একই রকম হয়!
অনেকটাই! আয়নায় যে নিজেকে দেখি সবটা তো সত্যি নয়।
ধর্মান্তর লেখার সময় থেকেই এরকম সব বিচিত্র ভাবনার শুরু।রাত আড়াইটায় বিবস্বানের আবির্ভাব। 
রবীন্দ্রনাথ বললেন,একটু আগের রবি আর এখন যিনি কথা বলছেন এক মানুষ নয়।দু-
জনের সত্তা আলাদা।
বিশ্বাস করতেন প্রশান্তচন্দ্র মহালনবিশ। 
কাল রাতে আপনি তো একদম ঘুমোননি! 
মনটা বিষণ্ণ ছিল।আজ ভোরে পরিশ্রুত হয়ে গেল রবির আবির্ভাবে।
সারা রাত গান করেছেন।
হ্যাঁ,হাসলেন রবীন্দ্রনাথ। 
গাইবেন একবার!
গাইলেন তিনি।জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে বন্ধু হে আমার...
পারিবারিক কারণে খুব অপমানিত হয়েছেন তিনি।শরিকি বিবাদ।
সব কিছু ছেড়ে দিয়েছেন।তবু সংসার তাঁকে ছাড়বে কেন!
কখনও চোখে জল দেখেনি কেউ।আজও নয়।অদ্ভুত এক প্রসন্নতা মুখমণ্ডলে।আশ্বিনের রোদে অপূর্ব দেখাচ্ছে তাঁকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...