রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

দুর্গাপূজার লোকাচার সুগত পাইন । বাংলা-৬৪৮ । ১৪-১০-২০১৮


দুর্গাপূজার লোকাচার
সুগত পাইন



(১)
দেবী দুর্গার পূজা  প্রবর্ত ও তার প্রচলন কাল সম্পর্কে  বিদ্বানমহলে  বহুমত  প্রচলিত  আছে।  সবচেয়ে  প্রতিষ্ঠিত  অভিমতটি  হল – ষোড়শ শতাব্দীতে  তাহিরপুরের  মহারাজা  কংসনারায়াণ  কর্তৃক দেবী পূজার  উদ্ভব।  দ্বিতীয়  জনপ্রিয় মতটি  নদীয়ার  রাজা  কৃষ্ণচন্দ্র  কর্তৃক  অষ্টাদশ  শতাব্দীতে দেবীপূজা  প্রচলনের কথা বলে।  এই প্রসঙ্গে দূর্গাপূজাবিধি সংক্রান্ত  কতকগুলি  প্রকরণগ্রন্থ ও তাদের  রচনাকালের  উল্লেখ  করা যেতে পারে।  বৈষ্ণবকবি  বিদ্যাপতি  তাঁর  ‘দুর্গাভক্তি তরঙ্গিণী  রচনা  করেছিলেন চতুর্দশ  শতকে। এই শতকেই রচিত  হয়েছিল শূলপাণির ‘দুর্গোৎসব  বিবেক’  , বাচস্পতি মিশ্রের  ‘বাসন্তী পূজা প্রকরণ’ এর মতো গ্রন্থ।  পঞ্চদশ ও ষোড়শ  শতাব্দীর মধ্যবর্তী  সময়ে  রচিত  হয়েছিল  স্মার্ত পণ্ডিত   রঘুনন্দনের  ‘দুর্গোপূজাতত্ত্ব’।  রঘুনন্দের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা  রামকৃষ্ণ রচনা হয়েছিল স্মার্ত পণ্ডিত  রঘুনন্দের ‘দুর্গাপূজাতত্ত্ব’ ও  ‘দূর্গোৎসবতত্ত্ব’।  রঘুনন্দের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রামকৃষ্ণ  রচনা  করেছিলেন -  দুর্গার্চন কৌমুদী। জীমূত বাহনের  দুর্গোৎসব নির্ণয়’ ও  দুর্গোৎসবতত্ত্ব’।  রঘুনন্দনের শতাব্দীতে। তবে  এই সমস্ত প্রকরণ গ্রন্থগুলির সর্বাপেক্ষা প্রাচীনতম  গ্রন্থ হল একাদশ শতকে রচিত  ভবদেব ভট্টের ‘দুর্গাপূজাপ্রকরণ’।  অর্থাৎ একাদশ শতাব্দী থেকেই   দুর্গাপূজাপ্রকরণ বিষয়ক গ্রন্থদি রচিত হতে শুরু করে।  সাধারণত পূজা প্রচলনের পরই  দত্বিষয়ক গ্রন্থাদির প্রয়োজন হয়।  অর্থাৎ  উপরোক্ত  আলোচনা থেকে আমরা দুর্গার পূজাকে একাদশ শতাব্দীর  পূর্ববর্তী বলতেই  পারি।  সালতামামি  অনুসারে  দুর্গার পূজার প্রাচীনতম  উল্লেখ পাওয়া যায়  সপ্তম  শতাব্দীর চৈনিক  পরিব্রাজক হিউএন চাঙের  জীবনী লেখক  শমন  হুইলির গ্রন্থ থেকে।
চলছে ...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...