আত্ম পাঠপ্রতিক্রিয়া
অভিজিৎ চৌধুরী
এখন রাত আড়াইটা। ঘুম আসছে না। রাত জেগে বসে থাকা আমার একটা রোগ,অভ্যাস যা খুশী বলতে পারেন। ঘুম যখন আসছে না,ভাবলাম মন্দ৷ কি - মাথাটাকে সচল রাখা,ক্রিয়াশীল রাখা। এক সময় কবিতা লিখতাম।সবটাই ছাপা হতো প্রভাতদার সম্পাদনায় কবিতা পাক্ষিকে।তখন আমরা তরুণ, পোস্ট মডার্ন বাংলা কবিতার অনুগামী। উপজাত আলো কবিতা পাক্ষিক থেকে বের হয় বই হিসেবে।পোস্টমডার্ন বাংলা কবিতা সংকলন,২০+১ জায়গা হয়েছিল আমার। সৌমিত্রের সঙ্গে পরিচয় বাঁকুড়ায় প্রভাতদার বাড়ি এসে। একটা স্কুল বাড়িতে সারা রাত কাটে। পরদিন কবিতা পাক্ষিক সন্মাননা পায়। আমাকে হাতে তুলে দেন বন্ধুবর কবি গৌরাঙ্গ মিত্র। আর সৌমিত্রকে শ্রদ্ধাশীল শঙ্খ ঘোষ।
তারপর কবিতা লেখা একেবারেই ছাড়লাম।শুরু হল গদ্য।কবিতা পাক্ষিকে প্রথম উপন্যাস বের হয়- গোপা।শারদীয়া কবিতা পাক্ষিকে। তারপর অনেকগুলি উপন্যাস লেখা হলো।
গত কয়েকদিন হল কবিতা লিখছি আপন আনন্দে।মাঝখানে লিখেছি অনেকদিনের পরিচিত তাপস রায়ের সুইনহো স্ট্রিট শারদীয়ায় গদ্যকারের কবিতা বিভাগে।কথা সোপান শারদীয়ায় একবার লিখলাম। কৌশিকের রবিবারে দীর্ঘ কবিতা লিখেছি। সৌমিত্র দেখা হওয়ার পর থেকে বলে,লিখেছি।
কিন্তু এই কবিতাগুলি যা লিখছি,আত্মপাঠপ্রতিক্রিয়া যেন। কি তা! নিজের লেখার বিচার! না।
যাত্রাপথ এখন মৃত্যুমুখী। কোনটা সত্যি জীবন না মৃত্যু! আমার মনে হয় মৃত্যু।জীবনটা খেলনা। সকালে জাগলেই অকাজ।মৃত্যুর স্তব, আমার এখনকার কবিতা। সে যেন মৃত্যুর মন্ত্র রচনা করে চলেছে।এতোদিন আমি লিখেছি,এখন সে লিখছে। আমি পাঠপ্রতিক্রিয়ার কথা জানালাম মাত্র। সে লেখক,কবি আর আমি তার পাঠক।
এবার ঘুম আসুক। মশারা হিংস্র হয়ে উঠেছে।
অভিজিৎ চৌধুরী
এখন রাত আড়াইটা। ঘুম আসছে না। রাত জেগে বসে থাকা আমার একটা রোগ,অভ্যাস যা খুশী বলতে পারেন। ঘুম যখন আসছে না,ভাবলাম মন্দ৷ কি - মাথাটাকে সচল রাখা,ক্রিয়াশীল রাখা। এক সময় কবিতা লিখতাম।সবটাই ছাপা হতো প্রভাতদার সম্পাদনায় কবিতা পাক্ষিকে।তখন আমরা তরুণ, পোস্ট মডার্ন বাংলা কবিতার অনুগামী। উপজাত আলো কবিতা পাক্ষিক থেকে বের হয় বই হিসেবে।পোস্টমডার্ন বাংলা কবিতা সংকলন,২০+১ জায়গা হয়েছিল আমার। সৌমিত্রের সঙ্গে পরিচয় বাঁকুড়ায় প্রভাতদার বাড়ি এসে। একটা স্কুল বাড়িতে সারা রাত কাটে। পরদিন কবিতা পাক্ষিক সন্মাননা পায়। আমাকে হাতে তুলে দেন বন্ধুবর কবি গৌরাঙ্গ মিত্র। আর সৌমিত্রকে শ্রদ্ধাশীল শঙ্খ ঘোষ।
তারপর কবিতা লেখা একেবারেই ছাড়লাম।শুরু হল গদ্য।কবিতা পাক্ষিকে প্রথম উপন্যাস বের হয়- গোপা।শারদীয়া কবিতা পাক্ষিকে। তারপর অনেকগুলি উপন্যাস লেখা হলো।
গত কয়েকদিন হল কবিতা লিখছি আপন আনন্দে।মাঝখানে লিখেছি অনেকদিনের পরিচিত তাপস রায়ের সুইনহো স্ট্রিট শারদীয়ায় গদ্যকারের কবিতা বিভাগে।কথা সোপান শারদীয়ায় একবার লিখলাম। কৌশিকের রবিবারে দীর্ঘ কবিতা লিখেছি। সৌমিত্র দেখা হওয়ার পর থেকে বলে,লিখেছি।
কিন্তু এই কবিতাগুলি যা লিখছি,আত্মপাঠপ্রতিক্রিয়া যেন। কি তা! নিজের লেখার বিচার! না।
যাত্রাপথ এখন মৃত্যুমুখী। কোনটা সত্যি জীবন না মৃত্যু! আমার মনে হয় মৃত্যু।জীবনটা খেলনা। সকালে জাগলেই অকাজ।মৃত্যুর স্তব, আমার এখনকার কবিতা। সে যেন মৃত্যুর মন্ত্র রচনা করে চলেছে।এতোদিন আমি লিখেছি,এখন সে লিখছে। আমি পাঠপ্রতিক্রিয়ার কথা জানালাম মাত্র। সে লেখক,কবি আর আমি তার পাঠক।
এবার ঘুম আসুক। মশারা হিংস্র হয়ে উঠেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন