মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

প্রভাত চৌধুরী || সৌমিত্র রায়-এর জন্য গদ্য || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায়-এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী

১০.
কথা হচ্ছিল ছয়ের দশকের সাহিত্য আন্দোলন নিয়ে।শাস্ত্রবিরোধী, হাংরি এবং ধ্বংসকালীন নিয়ে কিছু ইনফরমেশন পরিবেশন করেছি মাত্র। নিজস্ব মতামত কিছুই দেবার চেষ্টা করিনি।
প্রথমেই জানিয়ে রাখি এই ধরনের লেখা লিখতে যেসব ডকুমেন্ট হাতের কাছে থাকা আবশ্যক তা সবই আমার নাগালের বাইরে।
কবি-প্রাবন্ধিক সুজিত সরকার-কে সকালে ফোন করলাম।কিছু তথ্য পাওয়া গেল।
আমাদের ধ্বংসকালীনের সময়ে দুর্গাপুর থেকে মূলত মৃণাল বণিক-এর উদ্যোগে ' নিম সাহিত্য ' আন্দোলন শুরু হয়েছিল।এই আন্দোলনে অন্যতম একজন রবীন্দ্র গুহ। গল্পকার বিমান চট্টোপাধ্যায় যুক্ত ছিল।সম্ভবত সুধাংশু সেন , যিনি বয়সে মৃণালের থেকে বেশ কিছুটা বড়ো , পরামর্শদাতা রূপে যুক্ত ছিলেন।
প্রকল্পনা আন্দোলনে মূল ব্যক্তি ছিলেন ভট্টাচার্য চন্দন। নামেই বোঝা যাচ্ছে এরা পরিবর্তনকে সর্বান্তকরণে গ্রহণ করেছিলেন।
অনেক আগেই বলতে হত 'শ্রুতি ' -র কথা।শাস্ত্রবিরোধী গল্পকারদের সঙ্গে এদের আমরা এক শিবিরে রাখতাম। শ্রুতি একটি পত্রিকাকে কেন্দ্র করে পুষ্কর দাশগুপ্ত , পরেশ মণ্ডল , মৃণাল বসুচৌধুরী , সজল বন্দ্যোপাধ্যায়  প্রমুখ কবিজনেরা একত্রিত ছিলেন। এবং নিজেদের অস্তিত্ব আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন। রত্নেশ্বর হাজরাও শ্রুতির নিয়মিত লেখক ছিলেন।
কমল চক্রবর্তী লিখেছিল শতাব্দীর সবথেকে প্রজ্ঞাময় দশক হল ছয়ের দশক। আমি ছয়ের দশকের গুণগান গাইতে এখানে আসিনি। আমি আন্দোলন কথাগুলো মনে করার চেষ্টা করছিলাম।
এইসব আন্দোলন ছিল মূলত প্রতিষ্ঠান- বিরোধী আন্দোলন। যদিও বাংলাকবিতাকে ভিন্ন ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করার সংকল্প যে ছিল না , এমন কথা আমি বলতে চাই না।
আধুনিক কালপর্বে শিল্পসাহিত্যের আন্দোলন ছিল স্বাভাবিক প্রবণতা। কিন্তু এই পোস্টমডার্ন কালখণ্ডে আন্দোলন শব্দটি তার অবস্থান বদলেছে।
আর প্রতিষ্ঠান- বিরোধিতা এখন একটা হাস্যকর শব্দ , এটা ছয়ের দশকে আমি বুঝতে পারিনি। এজন্য এখন বলি প্যারালাল -প্রতিষ্ঠান।
আগামীকাল এই সমান্তরাল -চেতনা কথা বলব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...