পূরবী~ ৩ || ধারাবাহিক উপন্যাস
অভিজিৎ চৌধুরী।
কলকাতায়ও প্লেগ চলে এলো।তার কয়েকদিন আগে ছিল রথীর জন্মদিন।রথীর জন্মদিন পালন করে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে কলকাতা ছাড়লেন।
বোম্বাই শহরে প্লেগ মহামারীর আকার নিলে শাসক অত্যাচারই প্রতিরোধ হিসেবে বেছে নিলো।রবীন্দ্রনাথ প্রতিবাদ করলেন।সিডিশন অ্যাক্ট চালু হয়েছে, কবিকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হল।
অমিতকে মেয়েটি বলল,রূপশ্রীর টাকা হবে!
অমিত বলল,এখন কোন বিয়ে হবে না।সোস্যাল গেদারিং নিষিদ্ধ।
মেয়েটি বলল,তাহলে উপায়!
বড় বউ, স্বপ্নে দেখলুম তুমি আমায় খুব বকছো।মাত্র দুটো চিঠি লিখেছিলেন ছুটিকে সাজাদপুর থেকে।তার মধ্য এটি ছিল একটি।
ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অন লাইন বন্ধ রয়েছে।
অপেক্ষা করুন।লক ডাউন তো চিরকাল থাকবে না।রেজিস্ট্রি করে রাখতে পারেন।
সময় এখানে থমকে থাকে।রথী সাঁতার শিখল পদ্মায়।তখন রবীন্দ্রনাথ পদ্মা পার হতে পারতেন সাঁতরে।
ওদের সঙ্গ দিতে অমলা এলো কলকাতা থেকে।দিনে ছুটির কাজে সাহায্য করা আর অবাক হন কি চমৎকার অনুবাদ করতে পারেন মৃণালিনী।অমলা একদিন বললেন,এগুলি কিন্তু ভারতীতে ছাপা হতে পারে।
কাজ হলো চিঠির উত্তর না এলেও।জোড়াসাঁকোর বাড়ি থেকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে এলেন মৃণালিনী।
লাজুক কণ্ঠে ছুটি বলেন,হ্যা।তিনিই তো লরেটো হাউসের ম্যাডামদের ঘরে ডেকে এনে আমায় পড়াশুনা শেখালেন।
ছুটি রাজী হন না।বলেন,এসব পিতৃদেবকে দেখায়।অমলা বলেন,মহর্ষি!
ছুটি মাথা নেড়ে বলেন,হ্যা।
পুব বাংলার মেয়ে বলে কথায় একদম চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার নেই।
অমলা বলল,তিনি খুব মহান তাই না!
অভিজিৎ চৌধুরী।
কলকাতায়ও প্লেগ চলে এলো।তার কয়েকদিন আগে ছিল রথীর জন্মদিন।রথীর জন্মদিন পালন করে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে কলকাতা ছাড়লেন।
বোম্বাই শহরে প্লেগ মহামারীর আকার নিলে শাসক অত্যাচারই প্রতিরোধ হিসেবে বেছে নিলো।রবীন্দ্রনাথ প্রতিবাদ করলেন।সিডিশন অ্যাক্ট চালু হয়েছে, কবিকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হল।
অমিতকে মেয়েটি বলল,রূপশ্রীর টাকা হবে!
অমিত বলল,এখন কোন বিয়ে হবে না।সোস্যাল গেদারিং নিষিদ্ধ।
মেয়েটি বলল,তাহলে উপায়!
বড় বউ, স্বপ্নে দেখলুম তুমি আমায় খুব বকছো।মাত্র দুটো চিঠি লিখেছিলেন ছুটিকে সাজাদপুর থেকে।তার মধ্য এটি ছিল একটি।
ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অন লাইন বন্ধ রয়েছে।
অপেক্ষা করুন।লক ডাউন তো চিরকাল থাকবে না।রেজিস্ট্রি করে রাখতে পারেন।
সময় এখানে থমকে থাকে।রথী সাঁতার শিখল পদ্মায়।তখন রবীন্দ্রনাথ পদ্মা পার হতে পারতেন সাঁতরে।
ওদের সঙ্গ দিতে অমলা এলো কলকাতা থেকে।দিনে ছুটির কাজে সাহায্য করা আর অবাক হন কি চমৎকার অনুবাদ করতে পারেন মৃণালিনী।অমলা একদিন বললেন,এগুলি কিন্তু ভারতীতে ছাপা হতে পারে।
কাজ হলো চিঠির উত্তর না এলেও।জোড়াসাঁকোর বাড়ি থেকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে এলেন মৃণালিনী।
লাজুক কণ্ঠে ছুটি বলেন,হ্যা।তিনিই তো লরেটো হাউসের ম্যাডামদের ঘরে ডেকে এনে আমায় পড়াশুনা শেখালেন।
ছুটি রাজী হন না।বলেন,এসব পিতৃদেবকে দেখায়।অমলা বলেন,মহর্ষি!
ছুটি মাথা নেড়ে বলেন,হ্যা।
পুব বাংলার মেয়ে বলে কথায় একদম চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার নেই।
অমলা বলল,তিনি খুব মহান তাই না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন