বুধবার, ১৩ মে, ২০২০

প্রভাত চৌধুরী || সৌমিত্র রায়- এর জন্য গদ্য- ১১ || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায়-এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী

১১.
গতকাল  বলেছিলাম আজ সমান্তরাল প্রতিষ্ঠান দিয়ে লেখা শুরু করব। কিন্তু তার আগে প্রতিষ্ঠান বলতে আমরা ঠিক কী এবং কাকে বুঝতাম সেটা আজকের পাঠকের জেনে রাখাটা জরুরি।
তখন দৈনিক সংবাদপত্র-র সংখ্যা এত বেশি ছিল না।আনন্দবাজার , যুগান্তর , বসুমতী এবং স্বাধীনতা।স্বাধীনতা ছিল কমিউনিস্ট পার্টির দৈনিক। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির কথা বলছি। একসময় সবথেকে বেশি প্রচারিত পত্রিকা ছিল যুগান্তর। তখনো আমি লেখালেখিতে আসিনি। অর্থাৎ তখনো আমি কিশোর।আমি যখন থেকে জানতে-বুঝতে শিখলাম , তখন কিন্তু আনন্দবাজার অনেক এগিয়ে গেছে।এমন অবস্থা এসে গিয়েছিল , যখন মনে হত সাহিত্যের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা আনন্দবাজারের হাতে।
সন্তোষকুমার ঘোষ , গৌরকিশোর ঘোষ , অমিতাভ চৌধুরী-র যৌথ ব্যবস্থাপনায় আনন্দবাজার জয় করেছিল বৃহত্তর পাঠকসমাজকে।আর এদের সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা ছিল দেশ।
তখন একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল : দেশ-এ যাঁর কবিতা ছাপা হয় না , তিনি লেখক নন।আর এখান থেকেই অনেকেই দেশ-কে মনে করত প্রতিষ্ঠান। আর যাঁরা দেশ-এ সুযোগ-সুবিধা করতে পারলেন না তাঁরা বলতে শুরু করলেন তাঁরা প্রতিষ্ঠান বিরোধী। তাঁরাই মূল সাহিত্য-র উপাসক।
 একটা সময় প্রতিষ্ঠান বিরোধীও একটা তকমায় উপনীত হল। একধরনের পাঠকের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকল। তাঁরাও একটা ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে ফেললেন।
ছয়ের দশকের যেসব আন্দোলনগুলির কথা বলেছিলাম , তার সবগুলির উৎসে ছিল প্রতিষ্ঠানবিরোধী -ধ্বনি।
আমি সাহিত্য থেকে সরে গেলাম অনেকগুলো কারণে। তার মধ্যে প্রধান দুটি হল ---
১. যুগান্তর-অমৃত বন্ধ হয়ে যাওয়া।
২. আমাদের প্রকাশনা সংস্থা তিনসঙ্গীও
     বন্ধ হয়ে যাওয়া।
কবিপত্র-র সঙ্গে আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলাম অমৃত-যুগান্তর পর্বে।
যখন ফিরে আসলাম তখন দশ বছরের অনুপস্থিতিটাকে আমার মনে হয়েছিল  পেছিয়ে পড়া। শুরু করলাম দৌড়। মূলত দশ বছর মেকাপ করার জন্যই কবিতাপাক্ষিক।
আর প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা একটি হাস্যকর মনে হল । মনে হল ' আমিই এক প্রতিষ্ঠান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...