শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০

পূরবী~ ৭ || অভিজিৎ চৌধুরী || ধারাবাহিক উপন্যাস

পূরবী~ ৭ 
অভিজিৎ চৌধুরী

কলকাতায়ও শেষমেশ প্লেগ এলো।শুরু হয়েছিল বোম্বাই বা মুম্বাই থেকে।সেদিন কলকাতার বস্তিগুলিতে এক দয়াময়ী সেবিকার প্রোজ্বল মূর্তি অসহায় মানব মানবীর প্ধান ভরসাস্থল হয়ে উঠেছিল।তিনি ভগিনী নিবেদিতা।ঋষি অরবিন্দের শিখাময়ী।
 রবীন্দ্রনাথ বোম্বাই গিয়ে বক্তব্য রাখলেন।ইংরেজদের ভূমিকা নিয়ে মৃদু সমালোচনা করেন,তবে সিডিশন অ্যাক্টকে মাথায় রেখে।
তেলেবেগুণে জ্বলে উঠতেন আসলে অভিমান হতো যে রবীন্দ্রনাথের।
আমার কবিতার অনেক সুখ্যাতি হয়।তুমি শুনতে পাও না!
বউঠান গান গাইতে গাইতে বলতেন,কে শুনি!
 কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন,বুঝবেন একদিন।
তীর্থ ভাবছিল,রবীন্দ্রনাথ কলকাতা ত্যাগ করে ঠিক কাজই করেছিলেন কিন্তু নিবেদিতা অতুলনীয়া।এই বিদেশিনী হয়তো মনে মনে হেসেছিলেন ভারতবর্ষের বুদ্ধিজীবীদের কাণ্ডকারখানা দেখে।কি আশ্চর্য সমাপতন।
বাবামশাই কি বললেন!
কী? ফিক করে হাসলেন বউঠান।
তারপর বললেন,আহা বেচারা।
নতুন বউঠানের চোখ দুটো ছলছল করে উঠল।
আমি থাকবো সেদিন রবি!
মানে!
নিভে গেলো রবি।
কেন,শ্রীকণ্ঠবাবু।বাবামশাইকে তিনি বলেছেন।
মনে মনে একটু হেসে নিলো তীর্থ। কবিকে বাঁচতে হবে,লিখতেও হবে।নিবেদিতা তখনও আশা করছেন,অরবিন্দ বিপ্লবের হোমাগ্নি প্রজ্বলিত রাখবেন।
রবীন্দ্রনাথ এখানেও একজন সাধারণ  মানুষ।কিছু ভুল করেই চলেছেন।নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট বয়ের সঙ্গে।প্রচুর পণ দিয়ে।কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর ছেলের সঙ্গে।
নতুন বউঠান বলতেন,রবি তুমি কোনদিন বিহারীলাল হতে পারবে!
সংগীত ভবনে মহড়া চলছে,ভাণুসিংহের পদাবলী।দিনু রয়েছে।
সজনী সজনী রাধিকা লো।


1 টি মন্তব্য:

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...