মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য ৩৭ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী


৩৭.
এই পর্বও শুরু করছি ভূমেন্দ্র গুহ -র আরো একটি ঘটনা দিয়ে।
আমার ছেলে রাজা বা গৌরব সেবার কুলু মানালি রোটাং পাশ গিয়েছিল ট্রেক করতে। শরীর অসুস্থ হওয়ায় মাঝপথে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। আমার মামা ডাক্তার চিত্তরঞ্জন ঘোষের এক সিনিয়র ডাক্তারবাবুর অধীনে চিকিৎসা চলছিল। ম্যালিগন্টান ম্যালেরিয়া। ট্রিটমেন্ট শুরু হয়েছিল দেরিতে।
ডাক্তারবাবু অর্থাৎ ভূমেন্দ্র গুহ আমার ছেলের চিকিৎসক ছিলেন না। আমার বাড়িতে আসতেন আমাকে সঙ্গ দিতে , ভরসা দিতে।
সেই সময় উনি আমার ছেলে এবং আমাকে বাইপাস সার্জারির ক্লাস নিয়েছিলেন। রীতিমতো খাতাতে ছবি এঁকে বুঝিয়ে ছিলেন এই জটিলতম সার্জারি। আমি আবিষ্কার করেছিলাম একজন প্রকৃত ডাক্তার-চিকিৎসককে। উনি জানতেন আমি কিংবা আমার ছেলে কেউই ওনার ছাত্র কিংবা হাউসস্টাফ নই। তা জানা সত্ত্বেও ওনার শেখানোর ব্যাপারে কোনো ত্রুটি ছিল না।

আবার ফিরে যাই 1993 -তে ।বা কবিতাপাক্ষিক শুরুর দিনগুলিতে ।আর রাতগুলির কথা তো অনুপম কাহিনি-তে বলাই আছে।
প্রথম সংখ্যা থেকেই শুরু হয়েছিল অনুবাদ কবিতা।বিদেশি এবং ভারতীয় ভাষার কবিতা। এই অনুবাদ-কর্মে যুক্ত ছিলেন কমলেশ সেন রবিশংকর বল ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী শান্তিময় মুখোপাধ্যায় অসীম ঘোষ সমীরণ মজুমদার তুষার চৌধুরী প্রমুখ কবিজনেরা। 
কবিতাপাক্ষিক ১১- ১২ সংখ্যা থেকে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের কবিদের কবিতা। এই বিভাগের একক দায়িত্ব ছিল নাসের হোসেন-এর।
এই ১১ - ১২ সংখ্যাটিতে ছিল ৪৩ জন মহিলা কবির কবিতা। তার মধ্যে ১২ জন ছিলেন বাংলাদেশের। নামগুলিও উল্লেখ করছি :
নাসিমা সুলতানা দিলারা মেসবাহ সুহিতা সুলতানা সামিম আরা লীসা অতন্দ্রিলা দেলওয়ারা বেগম লাভলী তসলিমা নাসরিন বিলোরা চৌধুরী কাজী রোজী দিলারা হাফিজ অলকা নন্দিতা নুরুন্নাহার শিরীন।
 কবিতাপাক্ষিক ১৩ সংখ্যা থেকে শুরু হয়েছিল 
' এই পক্ষের কবি ' এই শিরোনামে গুচ্ছকবিতা প্রকাশ এবং  পুনর্মুদ্রণ বিভাগ।এই বিভাগে সত্তরের কবিতা পুনর্মুদ্রণ করা হত। বিভাগটির অলিখিত দায়িত্ব ছিল প্রমোদ বসু-র। প্রথমে ছাপা হয়েছিল অলোকনাথ মুখোপাধ্যায় - ফুটো আলোয়ান।
আর এই পক্ষের কবি : বিদ্যুৎ পরামাণিক এবং মানসকুমার চিনি।
ইচ্ছে ছিল ' এই পক্ষের কবি ' - র তালিকা প্রকাশের। কিন্তু এখন লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
আরো একটি উল্লেখযোগ্য কাজ আমরা করেছিলাম প্রথম সংখ্যা থেকেই।
' দীপক মজুমদার : আঁচড়ের সন্ধান ' শিরোনামে পরপর চারটি সংখ্যায় ধারাবাহিক লিখেছিলেন সুনেত্রা ঘটক।
পঞ্চম থেকে  অষ্টম সংখ্যায়  ছিল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় - এর লেখা ' অনন্য রায় : নাশকতার দেবদূত ' ।
এসব কথা লিখলাম কবিতাপাক্ষিক-এর ইতিহাস জানাবার জন্য । এখনকার নবাগতদের কাছে এসব তথ্য গোপনে রাখা হয়েছে। ঐতিহ্য-ই একটি পত্রিকার মূল আইটেম।
একটি পত্রিকাকে কেন্দ্র করে একটা দশকের কবিদের উঠে আসার ঘটনাকে অস্বীকার করাটা একটা ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি চেষ্টা করছে নয়ের দশকের ইজারা নিতে। তারা প্রমাণ করুক নয়ের দশকে তাদের কর্মকাণ্ড। তাহলে প্রমাণ হয়ে যাবে এই বালখিল্য সুলদশকের কবিদের উঠে আসার ঘটনাকে অস্বীকার করাটা একটা ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিভ দাবিসমূহের অন্তঃসারশূন্যতা।
আমামীকাল আরো কিছু

1 টি মন্তব্য:

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...