বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০

পূরবী~ ১৭ || অভিজিৎ চৌধুরী || ধারাবাহিক উপন্যাস

পূরবী~ ১৭
অভিজিৎ চৌধুরী











বিবেকানন্দ নিবেদিতাকেবলেছিলেন এই মঠে ভারতবর্ষ সীমাবদ্ধ নয়।ভারতবর্ষ অনেক বৃহৎ। সে পথ দেখাতে পারে পাশ্চাত্যকে দর্শন ও ধর্মের সহজাত ব্যাখ্যায়। ঠাকুর বলেছিলেন,নিজেকে যেদিন জানবি নরেন,আর তুই থাকবি না সেদিন।


নিজেকে জানা আমার ফুরালো না।গানে সুরে ঠাকুরবাড়ির রবি কলকাতা শহর মাতাচ্ছেন।আর তাঁর চেয়ে ২ বছরের ছোট নরেন পঞ্চবটীতে শোনাচ্ছেন গান।কে জানত সেই গান একদিন এতোটা মর্যাদা পাবে।তোমারেই করিয়াছি জীবনেরই ধ্রুবতারা।যুক্তিবাদী নরেনের হাজারো সংশয়।কে ইনি! সত্যি কালী মূর্তি হয় কি করে!

তীর্থ ভাবছিল, দিনলিপিতে যখনই রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ এসেছেন তাকে কিছু ভাবতেই হয়নি।ভাল মন্দ যাই হোক দুটো স্রোতস্বিনী নদী বহতা থেকেছে।বিপ্রতীপ দর্শনের সাদৃশ্য কোথায়! তার নাম ভারতবর্ষে।

আবার তিনি যখন হাত দিয়ে খান,ভারতবর্ষের আত্মীকরণ হয়ে যায়।প্লেগে যখন সেবা করেন বস্তির মানুষদের।রবীন্দ্রনাথ বক্তৃতা রাখা ছাড়া আর কিছু করছেন না।

জীবনকে বাইরে থেকে দেখা না অন্তঃস্থলে যাওয়া - কোনটা জরুরি!
যেতে হবে এবার।
 মৃত্যুর দিনও জমিয়ে ইলিশের নানা পদ খেলেন।জমিয়ে আড্ডা দিলেন।পড়াশুনা করলেন।তারপর গেলেন ঠাকুরের কাছে একান্তে।

তীর্থের হাসি পায়,দিব্য খোশগল্প করে বাড়িতে থেকে মানুষ যখন দোষারোপ করে।সময় কোথাও একি!
রইল বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন।

বাড়িতে ব্রাহ্মধর্মের চর্চা হয়।কিন্তু তিনি ব্রাহ্মদের সবটুকু মানেন না।প্রেম আর ঈশ্বর আলাদা কোথায়!
নিবেদিতা কথায় কথায় নম শিবায় বলছেন।ভাল লাগছে না রবির।ভদ্রমহিলা ম্যানিয়াক।

মৃত্যুভয়কে কতোবার বিনির্মাণ করছেন রবীন্দ্রনাথ। শেষের দিনগুলিতে এলে দেখা যায়,জয় তো করেননি!
বাইশে শ্রাবণে রবি রওনা দিয়েছিলেন অচিন দেশে।পাড়ে রইল ভগ্নতরী।

জানে না তীর্থ।

আর বিবেকানন্দ- স্বামীর নিবেদিতা।আর বেলুড় মঠ।সকাতরে কোথাও পিতা কাঁদছেন।ভুলক্রমেও কি আসবেন সেই অমৃতের পুত্ররা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...