পূরবী~ ২১
অভিজিৎ চৌধুরী
সত্যের লও সহজে।এর চেয়ে অসহজ জীবনে কিছু হয় না।তীর্থ তো তাই দেখল জীবনভর।স্তাবকেরা স্বার্থ নিয়ে ঘোরাফেরা করেন।চোখের পলকে সুখের পায়রার দল উড়ে যায় বহু দূরে।কিন্তু তাও কি শিখল কিছু তীর্থ জীবনের কাছে! একই ভুল৷ বয়ে নিয়ে যাওয়া।
বাবামশাই,আপনি কিন্তুএকেবারেই মানুষ চেনেন না।রথী প্রায় বলেন।বড় বউও তাই বলত।ছুটির কাছে এই নিয়ে বহু বকা খেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।
একা লাগে না আপনার! হ্যা।খুব একা মনে হয়।সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন মৃণাল সেনকে।
মহর্ষি প্রতিটি চিঠিতেই লিখতেন,প্রাণাধিক রবি।কি আত্মখণ্ডন।থাকা আর না থাকা পলকের হেরফের।এই তো ছেলেবেলার সকাল।কখনও বৃষ্টি কখনও রোদ।আবার শীতের সন্ধে যেন আড়াল থেকে দেখছে এক বালককে।
দেবলীনা,শীর্ষ দুজনেই বলে,মানুষ না চেনা স্তাবকতায় অন্ধ। ভয় হয় তীর্থের বারবার এমন হয় কেন! এটাই কি পূরবীর অস্তরাগ!
মা বলত,মনু আমরা চলে গেলে তুই তো খুব একা হয়ে যাবি, তাই না! তীর্থ তখন ভাবতেই পারত না,বাবা মা থাকবে না একদিন।
হারলে চলবে না।আছেন তো অনেকেই।যাঁদের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হবে না কোনদিন।মুসাফির তার সেই অদেখা বন্ধুর টানেই চলেছে ঘাট থেকে ঘাটে।একদিন আসবে চরম সত্য।আলো আলো আলো।তিনি ডাকবেন কাছে।।বলবেন,তুমি তো পাপী নও।শুধু ভুলেছিল আমায়।
ভুলেছিলে।
বিবেকানন্দ বলতেন,বক্তা নয় সন্ন্যাসী নয় এক সেই অবোধ বালক গুরুর পাদপদ্মে গিয়ে বসবে।তিনি বলবেন,তুই কোথায় ছিলি নরেন!
তাঁর কাছে আছে অপার ক্ষমা।পাপ নেই,পুণ্য নেই।আছে শুধু ভালোবাসা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন