পূরবী~ ১৯
অভিজিৎ চৌধুরী
বিয়ের পাত্রী পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।যদিও বরের সাজে দারুণ লেগেছিল তাঁকে।বিয়েতেও তেমন ধূমধাম হল না।নতুন বউঠান এলেন না।মেজ বউঠান ছিলেন বুম্বাইতে মেজদার কাছে।বাসরে গান গাইলেন কবি স্বয়ং।নিজের লেখা গান অবশ্য নয়।
ছোটু বিয়ের জন্য পাগল হয়েছে।সে কোন ছেলেবেলা থেকে বউয়ের স্বপ্ন দেখে আসছে।একটি বিয়ে তার হতে গিয়েও হল না তার।
বিয়ের পর জমিদারির কাজে যেতে হল পতিসর।বিজলি বাতির শহর কলকাতা ছেড়ে পোস্টমাস্টার গল্পের সেই অজগাঁ।
তীর্থও বিয়ের পর ভূমি বিভাগের চাকরি নিয়ে গেছিল উত্তরবঙ্গের ইসলামপুর।সেও ছিল বেশ পিছিয়ে পড়া মহকুমা শহর।কলকাতার কথা বেশ মনে পড়ত।
একদিন আশ্রমের সেই বিদ্যালয় বিশ্বভারতী হল।জাপান খুব প্রিয় ছিল কবির।আর ছিল জাপানি চা।পানও খেতেন তিনি।
সেই যে তিনি শিলাইদহ সাজাদপুর পতিসর গেলেন,জোড়াসাঁকোর বাড়িতে এলেও শহরে মন বসত না।শেষমেশ ঠাঁই হল শান্তিনিকেতনে। নিজের মতোন করে প্রকৃতির পাঠ শুরু করলেন শিক্ষার্থীদের জন্য।
ইদানীং তীর্থ পান খায়।চা তো তার নেশার বস্তু।পলাশিপাড়ায় সে খুঁজে পেয়েছিল বাংলার ঋতুগুলিকে।এই উত্তর আধুনিক সময়েও সে এক সাবেকি পল্লিগ্রাম।ভোরের পাখি থেকে রাতের শেয়াল- এক নতুন পরিচয়ের যাত্রা।
জোড়াসাঁকোর ৬ নম্বর বাড়িতে তিনি ক্লান্ত হতেন সহজে।এক মৃণালিনীর মৃত্যুর ক- দিন ছিলেন সেখানে।
আর শেষ এলেন শহরের কাছে অচিন দেশে হারাবেন বলেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন