বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য ৯৪ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী


৯৪.
পটলডাঙার বিক্রয়কেন্দ্র চালু হওয়াটা একটা মাইলস্টোন , আমাদের কাছে ।এটা যেমন ঠিক , ঠিক তেমনই আরো একটা ঠিককথা লুকিয়ে ছিল অনেকের মনের ভিতরে। যাঁরা চেয়েছিলেন কবিতাপাক্ষিক কেবলমাত্র একটা ছোটো পত্রিকা রূপেই টিকে থাক। আধুনিকতার বিরোধিতাকে প্রশ্রয় দেওয়াটা সঠিক কাজ হবে না।
এসব কথা লেখার আগে আরো কিছু 'আগের কথা' বলে রাখতে চাই বা জানিয়ে রাখতে চাই।
কবিতাপাক্ষিক-এর বেশ কয়েকটি পকেট ছিল বা এখনো আছে। সেইসব পকেটের কথা সঠিকভাবে বলা হয়নি। এটি আমার ব্যক্তিগত ভুল। যেমন আমাদের সব থেকে পুরোনো পকেটটির অবস্থান বেলিয়াতোড় ।
এই পকেট শব্দটিতে কারো আপত্তি থাকলে আমি পকেট-কে সরিয়ে লিখতে পারা ' চ্যাপ্টার '। আমি এই বেলিয়াতোড়ের মতো আরো কয়েকটি চ্যাপ্টারের কথা লিখে রাখতে চাই। সেগুলি হল : বর্ধমান , বহরমপুর , কাটোয়া , দুর্গাপুর , ঘাটাল , দশঘরা , সোনারপুর , মালদা , কোচবিহার , শিলিগুড়ি এইসব অঞ্চলে আমার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এইসবই আমার কাছে তীর্থস্থান। এই পুণ্যতীর্থগুলিই কবিতাপাক্ষিকের প্রথম পর্বে আমাকে তথা প্রতিষ্ঠান - কে লালন করেছে। একে অস্বীকার করার কোনো স্পেস নেই। যতদিন কবিতাপাক্ষিক থাকবে , কবিতা থাকবে , কবিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার সংকল্প থাকবে , ততদিন এই তীর্থকথা ঘুরেফিরে আসতেই থাকবে। আমি যতটা লিখে যেতে সক্ষম হব , আমি না থাকলে আমার ডায়রিগুলো সুরক্ষিত থাকবে , যেসব ডায়রিতে আমার ট্রেনের টিকিট , বাসের টিকিট সব ফেভিকল দিয়ে আটকানো আছে।এক এক বছরের এক একটা ডায়রি। আর আছে কয়েক হাজার ফটোগ্রাফ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। এসব থেকে যাবে। মনে রাখবেন আমি উইকএন্ডে পিকনিক করতে আসিনি , এসেছি বাংলাকবিতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
আজ এই মুহূর্তে আমি যেতে চাইছি বেলিয়াতোড় চ্যাপ্টারে। আমার দেশের বাড়ির সিং-দরোজাটার অবস্থান বেলেতোড়। এটা সকলে দেখতে পান না।কিন্তু আমি পাই।
এই বেলেতোড়ের যাবতীয় প্রাপ্তি রাজকল্যাণ চেল -এর কল্যাণে। এ-কথাটা আগেও লিখেছি ।এখন আবার লিখলাম। পরেও আরো অনেকবার লিখবো। আমার এই লেখাটিতে আমি মূলত ' নয়ের দশক এবং কবিতাপাক্ষিক ' - এই পরিসরেই বেধে রাখতে চাইছি। একারণেই রাজকল্যাণ সত্যসাধন বা সুব্রত চেল -দের অবদান বা ওদের কবিতা সম্পর্কে কিছুই বললাম না। বললাম না প্রণব চট্টোপাধ্যায় কিংবা মোহন সিংহ-র কথা। কবিতাপাক্ষিক প্রকাশের পর যারা লেখালেখি শুরু করার পর কবিতাপাক্ষিক-কে অবলম্বন করে কবিতাচর্চা চালিয়ে গিয়েছিল তাদের কথাই লিখবো। সেই সঙ্গে এ-কথাও জোরের সঙ্গে উল্লেখ করব , কেবলমাত্র কবিতাপাক্ষিকই নয় , এই টিম বেলিয়াতোড়-কে প্রেরণা দিয়েছে ' কবিতা দশদিনে ' পত্রিকাও। কবিতা দশদিনে রাজকল্যাণের তৈরি একটি সুদৃঢ় একটি প্ল্যাটফর্ম । এই প্ল্যাটফর্মের কথাও কবিতাপাক্ষিকের পাশাপাশি উচ্চারিত হওয়া উচিত।
আমি এখন যাদের কথা  আলোচনায় আনতে সেই নামধামগুলি জানিয়ে আজকের পর্ব শেষ করব। আগামীকাল এদের কবিতার কথা।
 ১॥ নয়ন রায় ॥ নিত্যানন্দপুর , বাঁকুড়া।
২॥ প্রদীপ হালদার ॥  বনগাঁ , বাঁকুড়া।
৩॥ প্রলয় মুখোপাধ্যায় ॥ খেড়োশোল , বাঁকুড়া ।
৪॥ আশিসকুমার রায় ॥ বেলিয়াতোড় , বাঁকুড়া।
৫॥ আনন্দ দাস ॥ বনগাঁ , বাঁকুড়া।
এখান বলে রাখতে চাই বনগাঁ বেলেতোড়ের প্রায় লাগোয়া গ্রাম।আর খেড়োশোল হল মাকুরগ্রামের ভেতরের দিকের একটা গ্রাম।
মনে রাখতে হবে এরা সকলেই প্রকৃত গ্রামের মানুষ।খুব সহজ এবং সরল মনের মানুষ। এরা এদের সকলের মেরুদণ্ড দৃঢ়। আনুগত্য শব্দটি এদের অভিধানে নেই। এরা সোজা পথেই হাঁটতেই জানে।এদের কোনো বেপথ নেই। ধান্দাবাজি থেকে বহুদূরে এদের অবস্থান।
আগামীকাল থেকে এদের কবিতাকথা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...