সৌমিত্র রায় এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৯৩.
গতকাল প্রাপ্তিযোগ লিখেছিলাম। আজ লিখবো কর্মযোগ -এর কথা।বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধনের জন্য ছাপা আমন্ত্রণপত্রটি দেখে নেওয়া যাক :
কবিতাপাক্ষিক
কবিতার প্রতিষ্ঠান , কবিদের প্রতিষ্ঠান
বইপাড়ায় নতুন যোগাযোগ এবং বিক্রয়কেন্দ্র
শুভ উদ্বোধন
২৭ অক্টোবর '৯৮ মঙ্গলবার বিকেল ৪ টে
উদ্বোধক □শ্রীপরেশচন্দ্র দে
আপনার উপস্থিতিই আমাদের পাথেয়
নীচে আমার নাম ছিল।
এবার প্রস্তুতি-কথা। রাজা বা গৌরব তার বন্ধু গুন্ডু এই দুজন যাবতীয় ইলেকট্রিকের কাজ করেছিল।
আমি একা বড়োবাজার থেকে ছাদের মাপ মতো একটা শতরঞ্জি কিনে ট্রামের সেকেন্ড ক্লাসে চেপে নিয়ে এসেছিলাম। এর জন্য মাথাটিও যে ব্যবহৃত হয়েছিল , তাও জানিয়ে রাখলাম।
এবার অনুষ্ঠানের খবর।আমি নাসের হোসেন -এর কলমনাম অর্জুন মিশ্র-র রিপোর্ট সরাসরি তুলে দিচ্ছি :
কবিতাপাক্ষিক যুগ □
৪৯ পটলডাঙা স্ট্রিট।কবিতাপাক্ষিক-এর কলেজস্ট্রিট পাড়ার নতুন এবং স্থায়ী যোগাযোগ কেন্দ্র উদ্বোধিত হল ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার।এই সেই চত্বর যার অনতিদূরেই অবস্থান করছেন কল্লোলযুগের সহযোদ্ধারা, মনীশ ঘটক লিখেছেন পটলডাঙার পাঁচালি ,পূর্বাশা-র অন্তিমলগ্নে এসে বসতেন সত্যপ্রসন্ন দত্ত , এখানেই তো নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের আশ্চর্য কিছু গল্প-উপন্যাসের জন্ম , চিহ্ন রয়ে গেছে অধুনা-বিলুপ্ত অমি প্রেস ও বহমান সাহিত্যের অনেকানেক হৃদ- সম্ভারের।আজ একথা বলতেই পারি কল্লোলযুগের পর নানান ইতিহাস পেরিয়ে আমরা এখন এসে পৌঁছেছি কবিতাপাক্ষিক যুগে ,কবিতাপাক্ষিক-এর উদার উন্মুক্ত আঙিনায়। বই বিক্রির রসিদ কেটে যোগাযোগ কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন শ্রীপরেশচন্দ্র দে।মেজদা নামেই অধিক আদৃত তিনি সকলের কাছে।
প্রথম বই কিনলেন বাপন চক্রবর্তী ।এসেছেন ছাপাখানা ও প্রকাশনা জগতের বেশ কয়েকজন কবি সাহিত্যিক শুভানুধ্যায়ীরাও সংখ্যায় খুব কম নয়। এসেছেন শঙ্খ ঘোষ থেকে শুরু করে নব্বই-এর তরুণতম কবি পর্যন্ত। আসতে না পারলেও আশীর্বাদ জানিয়েছেন অরুণ মিত্র । কবিতাপাক্ষিক -এর পক্ষে বক্তব্য বলেন সুজিত সরকার এবং প্রভাত চৌধুরী। চারপাশের শত-কোলাহলের মাঝে কিছুটা ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে এই যোগাযোগকেন্দ্রটি, শব্দহীন ছাদে।এখানে যে কোনো মুহূর্তেই জমে উঠতে পারে তুমুল আড্ডা , হতে পারে নিরুপদ্রব কবিতার আসর। সমস্ত পাঠক গ্রাহক ও বন্ধুদের আহ্বান , আমরা বুক পেতে আছি আপনাদের প্রত্যেকের তীব্র সংক্রমণের জন্য।
নাসের হোসেন - এর এই আহ্বানটিকে শিরোধার্য করে ৪৯ পটলডাঙা স্ট্রিটের বিক্রয়কেন্দ্রের ছাপে শুরু হয়েছিল কবিতাপাঠের আসর এবং কবিতাকেন্দ্রিক আড্ডা । প্রতি শনিবার।বিকেল ৪ টেয়।
' আপনিও আমন্ত্রিত ' এই ঘোষণায় অনেকেই সাড়া দিয়েছিল । শুরু হয়েছিল কবিতাপাক্ষিক- এর দ্বিতীয় ইনিংস। এখান থেকেই পেয়েছিলাম ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায় , সৌমিত্র রায় পলাশ বর্মণ প্রমুখ নবীন প্রজন্মের কবিদের।
প্রভাত চৌধুরী
৯৩.
গতকাল প্রাপ্তিযোগ লিখেছিলাম। আজ লিখবো কর্মযোগ -এর কথা।বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধনের জন্য ছাপা আমন্ত্রণপত্রটি দেখে নেওয়া যাক :
কবিতাপাক্ষিক
কবিতার প্রতিষ্ঠান , কবিদের প্রতিষ্ঠান
বইপাড়ায় নতুন যোগাযোগ এবং বিক্রয়কেন্দ্র
শুভ উদ্বোধন
২৭ অক্টোবর '৯৮ মঙ্গলবার বিকেল ৪ টে
উদ্বোধক □শ্রীপরেশচন্দ্র দে
আপনার উপস্থিতিই আমাদের পাথেয়
নীচে আমার নাম ছিল।
এবার প্রস্তুতি-কথা। রাজা বা গৌরব তার বন্ধু গুন্ডু এই দুজন যাবতীয় ইলেকট্রিকের কাজ করেছিল।
আমি একা বড়োবাজার থেকে ছাদের মাপ মতো একটা শতরঞ্জি কিনে ট্রামের সেকেন্ড ক্লাসে চেপে নিয়ে এসেছিলাম। এর জন্য মাথাটিও যে ব্যবহৃত হয়েছিল , তাও জানিয়ে রাখলাম।
এবার অনুষ্ঠানের খবর।আমি নাসের হোসেন -এর কলমনাম অর্জুন মিশ্র-র রিপোর্ট সরাসরি তুলে দিচ্ছি :
কবিতাপাক্ষিক যুগ □
৪৯ পটলডাঙা স্ট্রিট।কবিতাপাক্ষিক-এর কলেজস্ট্রিট পাড়ার নতুন এবং স্থায়ী যোগাযোগ কেন্দ্র উদ্বোধিত হল ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার।এই সেই চত্বর যার অনতিদূরেই অবস্থান করছেন কল্লোলযুগের সহযোদ্ধারা, মনীশ ঘটক লিখেছেন পটলডাঙার পাঁচালি ,পূর্বাশা-র অন্তিমলগ্নে এসে বসতেন সত্যপ্রসন্ন দত্ত , এখানেই তো নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের আশ্চর্য কিছু গল্প-উপন্যাসের জন্ম , চিহ্ন রয়ে গেছে অধুনা-বিলুপ্ত অমি প্রেস ও বহমান সাহিত্যের অনেকানেক হৃদ- সম্ভারের।আজ একথা বলতেই পারি কল্লোলযুগের পর নানান ইতিহাস পেরিয়ে আমরা এখন এসে পৌঁছেছি কবিতাপাক্ষিক যুগে ,কবিতাপাক্ষিক-এর উদার উন্মুক্ত আঙিনায়। বই বিক্রির রসিদ কেটে যোগাযোগ কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন শ্রীপরেশচন্দ্র দে।মেজদা নামেই অধিক আদৃত তিনি সকলের কাছে।
প্রথম বই কিনলেন বাপন চক্রবর্তী ।এসেছেন ছাপাখানা ও প্রকাশনা জগতের বেশ কয়েকজন কবি সাহিত্যিক শুভানুধ্যায়ীরাও সংখ্যায় খুব কম নয়। এসেছেন শঙ্খ ঘোষ থেকে শুরু করে নব্বই-এর তরুণতম কবি পর্যন্ত। আসতে না পারলেও আশীর্বাদ জানিয়েছেন অরুণ মিত্র । কবিতাপাক্ষিক -এর পক্ষে বক্তব্য বলেন সুজিত সরকার এবং প্রভাত চৌধুরী। চারপাশের শত-কোলাহলের মাঝে কিছুটা ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে এই যোগাযোগকেন্দ্রটি, শব্দহীন ছাদে।এখানে যে কোনো মুহূর্তেই জমে উঠতে পারে তুমুল আড্ডা , হতে পারে নিরুপদ্রব কবিতার আসর। সমস্ত পাঠক গ্রাহক ও বন্ধুদের আহ্বান , আমরা বুক পেতে আছি আপনাদের প্রত্যেকের তীব্র সংক্রমণের জন্য।
নাসের হোসেন - এর এই আহ্বানটিকে শিরোধার্য করে ৪৯ পটলডাঙা স্ট্রিটের বিক্রয়কেন্দ্রের ছাপে শুরু হয়েছিল কবিতাপাঠের আসর এবং কবিতাকেন্দ্রিক আড্ডা । প্রতি শনিবার।বিকেল ৪ টেয়।
' আপনিও আমন্ত্রিত ' এই ঘোষণায় অনেকেই সাড়া দিয়েছিল । শুরু হয়েছিল কবিতাপাক্ষিক- এর দ্বিতীয় ইনিংস। এখান থেকেই পেয়েছিলাম ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায় , সৌমিত্র রায় পলাশ বর্মণ প্রমুখ নবীন প্রজন্মের কবিদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন