কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
স্বপ্নের আশ্রয়ে। নৃপেন চক্রবর্তী । নবার্ক । পনেরো টাকা ।
১৯৮৭ সালের লেখা কবিতার সঙ্গে সেই কবির তুল্যমূল্য বিচার যেমন হাস্যকর, কিন্তু তবু মনের ভেতর সেই বিচার উঁকিঝুঁকি মারে ।কবি নৃপেন চক্রবর্তীর '৮৭ র কাব্যগ্রন্থ ' স্বপ্নের আশ্রয়ে ' র ভেতরে যদি ঢোকা যায় , তবে বলা যেতে পারে আজকের নৃপেন চক্রবর্তী র কবিতা থেকে স্বাভাবিকভাবেই অনেক ফারাক । যা প্রশংসা নির্দেশ করে । উগ্রতা, অহেতুক উচ্চগ্রাম কম কুশলী কবিতা ভরা এই আলোচিত কাব্যগ্রন্থটি । তবু বলতে পারি কবির মুক্তমনা দিক, কবিতা লেখার জন্য ব্যগ্রতা, স্বতস্ফূর্ততা আকর্ষণ করে ।
এখানে ' অনন্ত আকাশ থেকে আর্তনাদ করে ওঠে চিল / ব্যাধের অব্যর্থ তীরে/ ছিঁড়ে যায় ঝরে যায় সোনালী পালক ' ( ' স্বপ্নের আশ্রয়ে ') যেমন পাই ' মিথ্যে কথা ধাপ্পাবাজি/ পরের ঘাড়ে দোষ/ কে করেছে কে করেছে/ ঐ তো নন্দ ঘোষ ' ( ' নন্দ ঘোষ ') এর মতো অকবিতা ঢুকে পড়ে ।
বলা যায় কবি নৃপেন চক্রবর্তী ধীরে সুস্থে কবিতাযাপন করেছেন ও করছেন দীর্ঘদিন ধরে । তিনি আজ এই সময়ে এসে যে কবিতা লিখে চলেছেন তাকে দাম দিতে যে কোনো আলোচক বাধ্য হবেন । তাঁর কবিতা পত্র পত্রিকা ফেসবুক কাব্যগ্রন্থ ইত্যাদিতে পড়তে পড়তে বুঝতে পারি তিনি তাঁর ভেতরে কবিতার গভীর থেকে গভীরতর অসুখ বাঁধিয়ে বসে আছেন । প্রচ্ছদে দীপা চৌধুরীকে কালার কম্বিনেশন ও চিত্রের জন্য আদৌ গুরুত্ব দেওয়া যায় কিনা ভাববার বিষয়। কবিতার বইয়ের প্রচ্ছদের মতো কঠিন দিক শিল্পীর জেনে করা উচিত ।
স্বপ্নের আশ্রয়ে। নৃপেন চক্রবর্তী । নবার্ক । পনেরো টাকা ।
১৯৮৭ সালের লেখা কবিতার সঙ্গে সেই কবির তুল্যমূল্য বিচার যেমন হাস্যকর, কিন্তু তবু মনের ভেতর সেই বিচার উঁকিঝুঁকি মারে ।কবি নৃপেন চক্রবর্তীর '৮৭ র কাব্যগ্রন্থ ' স্বপ্নের আশ্রয়ে ' র ভেতরে যদি ঢোকা যায় , তবে বলা যেতে পারে আজকের নৃপেন চক্রবর্তী র কবিতা থেকে স্বাভাবিকভাবেই অনেক ফারাক । যা প্রশংসা নির্দেশ করে । উগ্রতা, অহেতুক উচ্চগ্রাম কম কুশলী কবিতা ভরা এই আলোচিত কাব্যগ্রন্থটি । তবু বলতে পারি কবির মুক্তমনা দিক, কবিতা লেখার জন্য ব্যগ্রতা, স্বতস্ফূর্ততা আকর্ষণ করে ।
এখানে ' অনন্ত আকাশ থেকে আর্তনাদ করে ওঠে চিল / ব্যাধের অব্যর্থ তীরে/ ছিঁড়ে যায় ঝরে যায় সোনালী পালক ' ( ' স্বপ্নের আশ্রয়ে ') যেমন পাই ' মিথ্যে কথা ধাপ্পাবাজি/ পরের ঘাড়ে দোষ/ কে করেছে কে করেছে/ ঐ তো নন্দ ঘোষ ' ( ' নন্দ ঘোষ ') এর মতো অকবিতা ঢুকে পড়ে ।
বলা যায় কবি নৃপেন চক্রবর্তী ধীরে সুস্থে কবিতাযাপন করেছেন ও করছেন দীর্ঘদিন ধরে । তিনি আজ এই সময়ে এসে যে কবিতা লিখে চলেছেন তাকে দাম দিতে যে কোনো আলোচক বাধ্য হবেন । তাঁর কবিতা পত্র পত্রিকা ফেসবুক কাব্যগ্রন্থ ইত্যাদিতে পড়তে পড়তে বুঝতে পারি তিনি তাঁর ভেতরে কবিতার গভীর থেকে গভীরতর অসুখ বাঁধিয়ে বসে আছেন । প্রচ্ছদে দীপা চৌধুরীকে কালার কম্বিনেশন ও চিত্রের জন্য আদৌ গুরুত্ব দেওয়া যায় কিনা ভাববার বিষয়। কবিতার বইয়ের প্রচ্ছদের মতো কঠিন দিক শিল্পীর জেনে করা উচিত ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন