শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য ১১০ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী

১১০.
কথা মতোই কীর্ণাহারেই আছি। কীর্ণাহার আশেপাশে কি  ' মণিহার ' নামে কোনো গ্রাম আছে ! জানা নেই। প্রথমবার ট্রেন বদলে বা এক ট্রেন থেকে অন্য ট্রেনে করে কীর্ণাহার গিয়েছিলাম। অনন্ত-র কাজঘরে।
দ্বিতীয়বারের যাত্রাপথটি ভিন্ন। ট্রেনে বোলপুর ।বোলপুর থেকে বাসে কীর্ণাহার। রহিম রাজা ঠিক যেমনটি বলেদিয়েছিল , ঠিক সেভাবেই পৌঁছে গিয়েছিলাম একটি বাংলোয়। সেখানেই ছিল কবিতাপাক্ষিকের অনুষ্ঠান। সে অনুষ্ঠানের কথা অন্য দিন জানানো যাব। এখন কবিকথা।
গতকাল  ছিল বিষ্ণু চক্রবর্তী।
আজ বলব শান্তনু-র কথা। শান্তনু রায়চৌধুরীর কথা।শান্তনু-র বাড়ি পরোটা। কীর্ণাহার থেকে সাইকেল-পথ।

সেই কপা ২৫০ সংখ্যা। সেই নবীনবরণ।
এই সংখ্যায় শান্তনু-র দুটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল।শিরোনামহীন। বা কবিতাদুটির কোনো শিরোনাম ছিল না।
আমি শান্তনু -র এই দুটি কবিতা থেকে দু-চারটি লাইন উদ্ধৃত করতে চাইছি :
১॥ এই শব্দটি তরল জাতীয় জলপ্রপাতের সম্পর্কে দু-চার কথা/ অপ্রাসঙ্গিক নয় জেনেও এখন পর্যন্ত ঝরনার দেখা নেই
২॥ রক্তের ভেতর মোমবাতি   গলে পড়তে পড়তে তৈরি করে রাতপোশাক।
৩॥ একটা জুনের রাত্রি ও তুমি সমার্থক হয়ে উঠছ ক্রমশ/ অন্ধকার ও গাছের মধ্যে গড়ে উঠছে চোরাসম্পর্ক
কবি শান্তনু রায়চৌধুরী - শুরুটা আজ দেখালাম। পরে সুযোগ-সুবিধা মতো পরবর্তী কবিতার কথা লেখা যাব। এখন নীলাদ্রি ভট্টাচার্য-র নবীনবরণটা দেখতে চাইছি।
নবীনবরণে নীলাদ্রি ভট্টাচার্যর তিনটি  ছোটো কবিতা ছিল।তবে এটুকু গলা ফুলিয়ে বলতে পারি ওই কবিতাগুলির শরীরে কোনো গ্রাম্যতা স্থান পায়নি। আর কবিতাগুলি স্কুলম্যাগাজিনে স্থান পাওয়ারও যোগ্য নয়। আরো স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় , কবিতাগুলি আধুনিক কবিতা নয়। বরং এগুলি পোস্টমডার্ন কালখণ্ডের কবিতা রূপে চিহ্নিত করলাম।
কবি নীলাদ্রি ভট্টাচার্য-ল তিনটি কবিতার তিনটি উদাহরণ :
১ ॥ শুধু প্রজাপতিদের জন্যই যে টবগুলি তৈরি/ হবে তার মাটি কোনো বিশেষ রাসায়নিক/ গুণ সমৃদ্ধ হবে না ,তবে দলিল সংলগ্ন কোনো /মাটি অতটা যত্নহীন হতে চাইবে কিনা এটা /বলা মোটেও শক্ত না হলে চোখে রাখা যেতে/ পারে পেরিস্কোপে।
২॥ ' বিষণ্ণ' শব্দটি থেকে ভাতের গন্ধ উঠলে তার পাশে আর ' গোধূলি ' মানায় না এরকম যদি  মনে হয় কারো , সে তবে গোধূলির পরিবর্তে/  'বউ ' শব্দটি বসিয়ে নিতে পারে।
৩॥ অদৃশ্য কালিতে আঁকা ঘুড়িগুলো ভরা পেটের উত্তাপ পেলে উড়তে থাকে
টিম কীর্ণাহারের কবিদের কপা -তে কবিতার শুরুটা কিন্তু ২৫০ সংখ্যা নয়। ২৪৬ সংখ্যায়  লিখেছিল মোট ৪০ জন কবি। তার মধ্যে ৪ জন কীর্ণাহারের । এ মণিহারের কথা না বললেই নয়। ওই চারজন হল :
নীলাদ্রি ভট্টাচার্য , বিষ্ণু চক্রবর্তী , শান্তনু রায়চৌধুরী এবং আমিনুল ইসলাম।
নীলাদ্রি-র একটি অমোঘ বাক্যাংশ দিয়ে আজকের এপিসোড শেষ করতে চাইছি :
আমরা যাদের চিনি অথবা চিনি না , তারা সকলেই আমাদের কাছে কিছু না কিছু গোপন রেখেছেন। মাননীয় পাঠক ভেবে দেখবেন , আমি কথাটিকে কেন
' অমোঘ ' বলেছিলাম ।
আগামীকালও কীর্ণাহার !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...