সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১১১.
আজও কীর্ণাহারেই। ২৫০ -এ নবীনবরণ সংখ্যায় বিষ্ণু , শান্তনু এবং নীলাদ্রি-র সম্পর্কে দু-চার কথা করে লেখা হয়ে গেল। কিন্তু আমিনুল ইসলাম সম্পর্কে কিছুই লেখা হয়নি। আমিনুল এখন তো বহরমপুরের।এখন তো ভুবনডাঙা -র। এখানে ভুবনডাঙা একটি পত্রিকা-নাম।
আমিনুল গতকাল রাতের দিকে ওয়াটসঅ্যাপে কবিতাপাক্ষিক ২৩৯ সংখ্যার প্রচ্ছদের ছবি পাঠিয়েছে। প্রথমে সেই প্রচ্ছদটি পড়ে নেওয়া যাক।
মূল বিষয় : কীর্ণাহারের চার নবীন
কাটোয়া লিটল ম্যাগাজিন মেলায় গিয়েছিলাম , ছিলাম ' শ্রাবণী ' অতিথিনিবাসে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৩ তরুণ বিষ্ণু চক্রবর্তী শান্তনু রায়চৌধুরী নীলাদ্রি ভট্টাচার্য আমাদের কবিতা শোনালো , ওরা এসেছিল কীর্ণাহারের রহিম রাজা-র সঙ্গে। আমরা
এই সংখ্যায় রহিম বিষ্ণু শান্তনু এবং নীলাদ্রির মোট ৩৪ টি কবিতা একসঙ্গে প্রকাশ করলাম --- আমরা যে ইতিমধ্যেই প্রান্তিকে পৌঁছতে পেরেছি তার নিদর্শন এই কবিতাগুলি। পাঠক বিচার করুন , স্বাধীনভাবে, নিজ ইচ্ছায়।
এই যে নবীনদের তালিকা , একমাত্র রহিম রাজা ছাড়া আর একজনের কোনো কবিপরিচিতি ছিল না। আর আমি যে কীর্ণাহারে বসে থেকে কবিতার ক্লাস নিয়ছিলাম , এমন কোনো ঘটনা কেউ দেখাতে পারবেন। ওদের এই কবিতা লিখিয়ে নিয়েছিল সময়।
আমি গত দু দিন বিষ্ণু শান্তনু এবং নীলাদ্রির কবিতা নিয়ে স্বল্প কিছু আলোচনা করেছি। এই গদ্যটির সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে ওদের কবিতা সম্পর্কে নতুন কিছু লিখলাম না। পরে ভিন্ন কোনো নিবন্ধে কেবলমাত্র কীর্ণাহারের কবিতা নিয়ে লেখার বাসনা রইল।
আজ আমিনুলের কথা। আমিনুলের কবিতার কথা।
আমিনুল ইসলাম , সরডাঙা , নূরপুর ( কীর্ণাহার), বীরভূম- ৭৩১৩০২। এটা ছিল আমিনুলের ঠিকানা। তবে একটা স্বীকারোক্তি করছি কীর্ণাহারের এই আমিনুল আমার পরিচিত ছিল না ।যদিও ও কপা ২৪৬-এ প্রথম কবিতা লিখেছে। ঠিক তার পরেই ২৫০-এ নবীনবরণে। তার কারণ আমিনুল কর্মসূত্রে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থাকতো। আর ফিরে এসেছিল বহরমপুরে। কাটোয়া কিংবা বহরমপুরে দ্যাখা হয়েছে এমনটাও মনে পড়ছে না। কারণ মনে পড়াটা কখনোই জরুরি বিষয় ছিল না। লেখা আসতো ডাকে। সেই ডাক থেকে নির্বাচিত কবিতা-র বাক্সে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যার ফাইলে। এটাই ছিল রীতি বা পদ্ধতি। এখন সেই পদ্ধতিকে মান্যতা দিয়েই খুললাম কপা ২৪৬ সংখ্যার ১৫ পৃষ্ঠায়। ওই পৃষ্ঠার নীচের দিকে ছাপা হয়েছিল আমিনুলের ' দাঁতের যত্ন ' কবিতাটিতে একটি ফুটনোট ছিল :
ফুটনোট : উপরিউক্ত প্রজাতির মাংস খুবলে খেতে দাঁত মাজুন
মাননীয় পাঠক খুবলে খাওয়াটা দেখার চেষ্টা করুন।
কপা ২৫০ বা নবীনবরণ। ওই সংখ্যায় আমিনুলের দুটি ছোটো কবিতা ছাপা হয়েছিল। কবিতা দুটি থেকে দুটি মুদ্রণচিহ্ন তুলে আনছি :
১॥ সুরের ভেতর হাঁটলে ল্যাম্পপোস্ট যে তালে ঝাপটায় / তাতে সাঁওতালি কোমর অনায়াসে দোলানো যায়
২॥ স্পাইন্যাল অভ্যস্ত নীল পাখি ডানা মেললে প্রাণপণ ছুটি/ সমস্ত বিকেল পুড়তে পুড়তে নীল কাগজ সমৃদ্ধ আকাশে ফন্ধুজন/ হাত ধরাধরি হাত ধরাধরি হাঁটি / ডানা মেললে পালক তুলি নীল পালক...
পরবর্তীকালের লেখা এখানে আনলাম না। আমি কেবলমাত্র শুরুর দিনগুলোর কথায় লিখে চলেছি।
আগামীকাল লিখব রহিম রাজা এবং কীর্ণাহার। অথবা কীর্ণাহার এবং রহিম রাজা।
প্রভাত চৌধুরী
১১১.
আজও কীর্ণাহারেই। ২৫০ -এ নবীনবরণ সংখ্যায় বিষ্ণু , শান্তনু এবং নীলাদ্রি-র সম্পর্কে দু-চার কথা করে লেখা হয়ে গেল। কিন্তু আমিনুল ইসলাম সম্পর্কে কিছুই লেখা হয়নি। আমিনুল এখন তো বহরমপুরের।এখন তো ভুবনডাঙা -র। এখানে ভুবনডাঙা একটি পত্রিকা-নাম।
আমিনুল গতকাল রাতের দিকে ওয়াটসঅ্যাপে কবিতাপাক্ষিক ২৩৯ সংখ্যার প্রচ্ছদের ছবি পাঠিয়েছে। প্রথমে সেই প্রচ্ছদটি পড়ে নেওয়া যাক।
মূল বিষয় : কীর্ণাহারের চার নবীন
কাটোয়া লিটল ম্যাগাজিন মেলায় গিয়েছিলাম , ছিলাম ' শ্রাবণী ' অতিথিনিবাসে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৩ তরুণ বিষ্ণু চক্রবর্তী শান্তনু রায়চৌধুরী নীলাদ্রি ভট্টাচার্য আমাদের কবিতা শোনালো , ওরা এসেছিল কীর্ণাহারের রহিম রাজা-র সঙ্গে। আমরা
এই সংখ্যায় রহিম বিষ্ণু শান্তনু এবং নীলাদ্রির মোট ৩৪ টি কবিতা একসঙ্গে প্রকাশ করলাম --- আমরা যে ইতিমধ্যেই প্রান্তিকে পৌঁছতে পেরেছি তার নিদর্শন এই কবিতাগুলি। পাঠক বিচার করুন , স্বাধীনভাবে, নিজ ইচ্ছায়।
এই যে নবীনদের তালিকা , একমাত্র রহিম রাজা ছাড়া আর একজনের কোনো কবিপরিচিতি ছিল না। আর আমি যে কীর্ণাহারে বসে থেকে কবিতার ক্লাস নিয়ছিলাম , এমন কোনো ঘটনা কেউ দেখাতে পারবেন। ওদের এই কবিতা লিখিয়ে নিয়েছিল সময়।
আমি গত দু দিন বিষ্ণু শান্তনু এবং নীলাদ্রির কবিতা নিয়ে স্বল্প কিছু আলোচনা করেছি। এই গদ্যটির সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে ওদের কবিতা সম্পর্কে নতুন কিছু লিখলাম না। পরে ভিন্ন কোনো নিবন্ধে কেবলমাত্র কীর্ণাহারের কবিতা নিয়ে লেখার বাসনা রইল।
আজ আমিনুলের কথা। আমিনুলের কবিতার কথা।
আমিনুল ইসলাম , সরডাঙা , নূরপুর ( কীর্ণাহার), বীরভূম- ৭৩১৩০২। এটা ছিল আমিনুলের ঠিকানা। তবে একটা স্বীকারোক্তি করছি কীর্ণাহারের এই আমিনুল আমার পরিচিত ছিল না ।যদিও ও কপা ২৪৬-এ প্রথম কবিতা লিখেছে। ঠিক তার পরেই ২৫০-এ নবীনবরণে। তার কারণ আমিনুল কর্মসূত্রে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থাকতো। আর ফিরে এসেছিল বহরমপুরে। কাটোয়া কিংবা বহরমপুরে দ্যাখা হয়েছে এমনটাও মনে পড়ছে না। কারণ মনে পড়াটা কখনোই জরুরি বিষয় ছিল না। লেখা আসতো ডাকে। সেই ডাক থেকে নির্বাচিত কবিতা-র বাক্সে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যার ফাইলে। এটাই ছিল রীতি বা পদ্ধতি। এখন সেই পদ্ধতিকে মান্যতা দিয়েই খুললাম কপা ২৪৬ সংখ্যার ১৫ পৃষ্ঠায়। ওই পৃষ্ঠার নীচের দিকে ছাপা হয়েছিল আমিনুলের ' দাঁতের যত্ন ' কবিতাটিতে একটি ফুটনোট ছিল :
ফুটনোট : উপরিউক্ত প্রজাতির মাংস খুবলে খেতে দাঁত মাজুন
মাননীয় পাঠক খুবলে খাওয়াটা দেখার চেষ্টা করুন।
কপা ২৫০ বা নবীনবরণ। ওই সংখ্যায় আমিনুলের দুটি ছোটো কবিতা ছাপা হয়েছিল। কবিতা দুটি থেকে দুটি মুদ্রণচিহ্ন তুলে আনছি :
১॥ সুরের ভেতর হাঁটলে ল্যাম্পপোস্ট যে তালে ঝাপটায় / তাতে সাঁওতালি কোমর অনায়াসে দোলানো যায়
২॥ স্পাইন্যাল অভ্যস্ত নীল পাখি ডানা মেললে প্রাণপণ ছুটি/ সমস্ত বিকেল পুড়তে পুড়তে নীল কাগজ সমৃদ্ধ আকাশে ফন্ধুজন/ হাত ধরাধরি হাত ধরাধরি হাঁটি / ডানা মেললে পালক তুলি নীল পালক...
পরবর্তীকালের লেখা এখানে আনলাম না। আমি কেবলমাত্র শুরুর দিনগুলোর কথায় লিখে চলেছি।
আগামীকাল লিখব রহিম রাজা এবং কীর্ণাহার। অথবা কীর্ণাহার এবং রহিম রাজা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন