শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পূরবী-৩৬ || অভিজিৎ চৌধুরী || ধারাবাহিক উপন্যাস

পূরবী(৩৬) 

অভিজিৎ চৌধুরী।



হুগলির গঙ্গা আর মা যে"ন মিলেমিশে রয়েছে তীর্থের স্মৃতির খাতায়।এখন খুব বিতর্ক হচ্ছে কোন ভাষা ক্লাসিকাল তা নিয়ে।বাংলা ভাষার বয়স অল্প। এছাড়াও সে ভাষার পিতা আছে।গোদা বাংলায় তার নাম সংস্কৃত।

 আসলে তীর্থের নিজের মতোন করে মনে হয় যে ভাষা একটা কূপমন্ডুকতার আবহে নিজেকে গড়ে তোলে তার মৃত্যু অনিবার্য।

জোড়াসাঁকোর বাড়িটা দেখলে তীর্থের বেশ ভয় করে।মনে হয় ওখানে বাইরে আলো গহনে অন্ধকার। সেই অন্ধকারে একদিন বিলীন হয়েছিলেন নতুন বউঠান।

তীর্থ সংস্কৃত ক্লাস এইট অবধি পড়েছে।ভাষাটা কখনও ভাল লেগেছে কখনও লাগেনি।তার চেয়ে বিজাতীয় ইংরেজি মাতৃভাষার পরেই বড্ডো আপন হয়েছে।

ইংরেজি অনার্সের সময় ভাষাটার প্রতি প্রেম জাগেনি।প্রেম এসেছিল বিশ্ব সাহিত্যের প্রতি যখন সে ইংরেজি সাহিত্যের এম এ পড়া শুরু করল।

রবীন্দ্রনাথ নানা ভাবে বলেছেন অভিধানকে সঙ্গে করে বিদেশী সাহিত্য বোঝা যায় না।তিনি বরাবরই কল্পনার দ্বারস্থ।

রবীন্দ্রনাথের সুর ও গান নিয়ে তামাশা এই যুগের নয়।সেই যুগেও হয়েছে।তখনও তিনি বিখ্যাত হচ্ছেন।কারা করেছেন তাঁদের নাম করলে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়।

আমি চঞ্চল হে আমি সুদূরের পিয়াসী।ভুল বলল কি তীর্থ!  সব সময় গীতবিতান দেখতে ভাল লাগে না।নিজের অন্তরে একটা ঝংকার তো হয়ই।সে এক নতুন গীতবিতান।

তাই এই সময়ের রোদ্দুর রায় অনুল্লেখযোগ্য।

এই প্রশ্নটা তীর্থকে ভাবিয়েছে, সংস্কৃত সাহিত্য না পড়ে তার কি কোন ক্ষতি হচ্ছে!

কিন্তু সামান্য একজন ডাইরি লেখকের এসবের কি প্রয়োজন!

 অবশ্যই হচ্ছে।সে কালিদাসের অনুবাদ পড়েছে। আর মহাভারত পড়ার চেষ্টা করেছে।

আসলে জীবনের সমগ্রতা আর নিজেকে জানার চেষ্টাও।

 তাই বা কি!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...