সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৩২.
কবিতাপাক্ষিক ২৫২ - ২৫৩ সংখ্যার ব্যাক কভারের বিজ্ঞাপন। ১৭ মে ,২০০৩ এবং ৩১ মে ২০০৩ -এ প্রকাশিত ।পড়তে অনুরোধ করছি।
কবিতাপাক্ষিক -এর
১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে
৫০ টি প্রান্তে /বিন্দুতে
কবিতাউৎসব
জুন- জুলাই - অগাস্ট ২০০৩
কবিতাপাক্ষিক-এর ১০ বছর ব্যাপী ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত প্রকাশের ঐতিহাসিক ঘটনাটির সংবাদ ভারতবর্ষের ৫০ টি প্রান্তে/ বিন্দুতে কবি এবং কবিতা-প্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে অনুষ্ঠিত হবে ৫০টি কবিতাউৎসব।
মনে রাখবেন , আপনিও এই গৌরবের অংশীদার ।
কয়েকটি উৎসবের স্থান ও তারিখ :
৩১ মে বর্ধমান ॥ ১ জুন সোনামুখী , বাঁকুড়া
৭ জুন দশঘরা, হুগলি॥ ৮ জুন তারকেশ্বর , হুগলি
২০ জুন ভগবানগোলা ॥ ২১ জুন রঘুনাথগঞ্জ
২২ জুন ফারাক্কা ॥ ২৯ জুন দুর্গাপুর
৫ জুলাই কোচবিহার ॥ ৬ জুলাই শিলিগুড়ি
২০ জুলাই ঘাটাল
প্রতিটি অনুষ্ঠানেই আঞ্চলিক এবং লোকসংস্কৃতি- বিষয়ক অনুষ্ঠানসূচিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পরবর্তী বিজ্ঞাপন দেখুন।
প্রথমেই জানিয়ে রাখি -- ৫০টি অনুষ্ঠানের বিশদ সংবাদ পরিবেশন করা এই লেখার জন্য এই মাধ্যম ঠিক নয় । আমি কিছু কিছু ঘটনা কেবলমাত্র নিজেকে জানানোর জন্য লিখে রাখতে চাইছি।
৩১ মে ,২০০৩ বিকেল পাঁচটায় বর্ধমানে তপন চক্রবর্তী মঞ্চে ( বাণীপীঠ উচ্চবিদ্যালয়।বাকচর্চা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শ্যামলবরণ সাহা এবং দীপ সাউ।
তারপরের দিন ১ জুন সোনামুখীতে দ্বিতীয় অনুষ্ঠান।
লগ্নঊষা পত্রিকাগোষ্ঠীর ২৭০ তম সাহিত্যসভার অংশ ছিল এই উৎসব। আহ্বায়ক সচ্চিদানন্দ হালদার এবং জীতেন চট্টোপাধ্যায় ।আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল সোনামুখী পৌরসভার নবনির্মিত গেস্টহাউসে । একটি সত্য সংবাদ জানিয়ে রাখাটা আমার কাছে বাধ্যতামূলক। বর্ধমান এবং সোনামুখীর মূল দায়িত্ব পালন করেছিল দীপ সাউ।
সেদিন খুব গরম ছিল। আমাদের কষ্ট হবে এটা ভেবে সোনামুখী পৌরসভার গেস্ট হাউসের কর্মীরা ঘরের ছাদ এবং মেজেতে জল ভরে রেখেছিল। এই ভালোবাসা পৌরসভার প্রধান রাধাগোবিন্দ বরাট -এর সৌজন্যে বলেই আমার মনে হয়েছিল।
বাইরে খেতে গিয়েছিলাম। গরমে সবারই খুব কষ্ট হচ্ছিল।
হঠাৎ আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল :
কবিদের গায়ে রোদ লাগে না।
পরে এই কথাটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। অনেক দিন ধরে ভেবেছি।
কেন বলেছিলাম : কবিদের গায়ে রোদ লাগে না।
পরে মনে হয়েছিল , আমি কি কোনো কবিকে বীরভূমের দারুণ গরমে বৃক্ষরোপন করতে দেখেছিলাম ! গরমকে উপেক্ষা করে , কষ্টকে অবহেলা করে বৃক্ষরোপন কাজ থেকে সরে না আসা ! তাহলে কি তাঁর গায়ে রোদ লাগেনি ! রৌদ্র স্পর্শ করেনি তাঁকে। তিনিও তো কবিতা লিখতেন। আর আমি বা আমরা যদি কবিতা লিখি , তাহলে তো আমাদের গায়েও রোদ লাগার কথা নয়।
লাগেও না। এ-টুকু সাহস করে বলতে পারলাম।
প্রভাত চৌধুরী
১৩২.
কবিতাপাক্ষিক ২৫২ - ২৫৩ সংখ্যার ব্যাক কভারের বিজ্ঞাপন। ১৭ মে ,২০০৩ এবং ৩১ মে ২০০৩ -এ প্রকাশিত ।পড়তে অনুরোধ করছি।
কবিতাপাক্ষিক -এর
১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে
৫০ টি প্রান্তে /বিন্দুতে
কবিতাউৎসব
জুন- জুলাই - অগাস্ট ২০০৩
কবিতাপাক্ষিক-এর ১০ বছর ব্যাপী ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত প্রকাশের ঐতিহাসিক ঘটনাটির সংবাদ ভারতবর্ষের ৫০ টি প্রান্তে/ বিন্দুতে কবি এবং কবিতা-প্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে অনুষ্ঠিত হবে ৫০টি কবিতাউৎসব।
মনে রাখবেন , আপনিও এই গৌরবের অংশীদার ।
কয়েকটি উৎসবের স্থান ও তারিখ :
৩১ মে বর্ধমান ॥ ১ জুন সোনামুখী , বাঁকুড়া
৭ জুন দশঘরা, হুগলি॥ ৮ জুন তারকেশ্বর , হুগলি
২০ জুন ভগবানগোলা ॥ ২১ জুন রঘুনাথগঞ্জ
২২ জুন ফারাক্কা ॥ ২৯ জুন দুর্গাপুর
৫ জুলাই কোচবিহার ॥ ৬ জুলাই শিলিগুড়ি
২০ জুলাই ঘাটাল
প্রতিটি অনুষ্ঠানেই আঞ্চলিক এবং লোকসংস্কৃতি- বিষয়ক অনুষ্ঠানসূচিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পরবর্তী বিজ্ঞাপন দেখুন।
প্রথমেই জানিয়ে রাখি -- ৫০টি অনুষ্ঠানের বিশদ সংবাদ পরিবেশন করা এই লেখার জন্য এই মাধ্যম ঠিক নয় । আমি কিছু কিছু ঘটনা কেবলমাত্র নিজেকে জানানোর জন্য লিখে রাখতে চাইছি।
৩১ মে ,২০০৩ বিকেল পাঁচটায় বর্ধমানে তপন চক্রবর্তী মঞ্চে ( বাণীপীঠ উচ্চবিদ্যালয়।বাকচর্চা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শ্যামলবরণ সাহা এবং দীপ সাউ।
তারপরের দিন ১ জুন সোনামুখীতে দ্বিতীয় অনুষ্ঠান।
লগ্নঊষা পত্রিকাগোষ্ঠীর ২৭০ তম সাহিত্যসভার অংশ ছিল এই উৎসব। আহ্বায়ক সচ্চিদানন্দ হালদার এবং জীতেন চট্টোপাধ্যায় ।আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল সোনামুখী পৌরসভার নবনির্মিত গেস্টহাউসে । একটি সত্য সংবাদ জানিয়ে রাখাটা আমার কাছে বাধ্যতামূলক। বর্ধমান এবং সোনামুখীর মূল দায়িত্ব পালন করেছিল দীপ সাউ।
সেদিন খুব গরম ছিল। আমাদের কষ্ট হবে এটা ভেবে সোনামুখী পৌরসভার গেস্ট হাউসের কর্মীরা ঘরের ছাদ এবং মেজেতে জল ভরে রেখেছিল। এই ভালোবাসা পৌরসভার প্রধান রাধাগোবিন্দ বরাট -এর সৌজন্যে বলেই আমার মনে হয়েছিল।
বাইরে খেতে গিয়েছিলাম। গরমে সবারই খুব কষ্ট হচ্ছিল।
হঠাৎ আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল :
কবিদের গায়ে রোদ লাগে না।
পরে এই কথাটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। অনেক দিন ধরে ভেবেছি।
কেন বলেছিলাম : কবিদের গায়ে রোদ লাগে না।
পরে মনে হয়েছিল , আমি কি কোনো কবিকে বীরভূমের দারুণ গরমে বৃক্ষরোপন করতে দেখেছিলাম ! গরমকে উপেক্ষা করে , কষ্টকে অবহেলা করে বৃক্ষরোপন কাজ থেকে সরে না আসা ! তাহলে কি তাঁর গায়ে রোদ লাগেনি ! রৌদ্র স্পর্শ করেনি তাঁকে। তিনিও তো কবিতা লিখতেন। আর আমি বা আমরা যদি কবিতা লিখি , তাহলে তো আমাদের গায়েও রোদ লাগার কথা নয়।
লাগেও না। এ-টুকু সাহস করে বলতে পারলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন