কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
তবু কদমের ফুল । রামরতন মুখোপাধ্যায় । শিলীন্ধ্র । পন্ঞ্চাশ টাকা ।
প্রতিদিন পৃথিবীতে বাংলা কবিতা কত লেখা হচ্ছে তা কারোর বলা সম্ভব নয়, আবার সেই কবিতার ভেতরে আঁতিপাতি খুঁজে পচা আর ভালো বাছার ক্ষমতা কার কতখানি আছে জানা নেই। তবু এই হাজারো কবিতার ভেতরে যেটুকু পড়ার সৌভাগ্য হয় তাতে বলা যায় কবিতা এখনো জীবনানন্দ পেরতে পারেনি । আর পারেনি বলেই কবি রামরতন মুখোপাধ্যায়ের আধা প্রাচীন আধা আধুনিক কাব্যগ্রন্থ ' তবু কদমের ফুল ' এর কবিতার পংক্তি : ' কীর্তিনাশ করে মদ্যপ উঠে আসে নর্দমা থেকে / ঘোরের বিভ্রমে দেখে সূর্য উঠছে পশ্চিমে বেঁকে ' ( ' উড়ন্ত বোতল ও পিরিচের ঝগড়ার সময় ' ) , ' এখনতো সয়ে গেছে সব । ট্রামের সিটে শুধু শুধু সারাদিন/ কবিতা উড়োজাহাজের ছায়া ... বিজ্ঞান অথবা কাতুকুতু .... ' ( ' ট্রামের সিটে শুধু শুধু সারাদিন ') আমাদের সামনে আসে ।
কবির আবেগ, শব্দচয়নের কৌশল, যৌক্তিকতা সঙ্গমিত হলেও কোথায় যেন নুন কম নুন কম মনে হয় । এর কারণ নতুন ভাবনার চলাচল তাঁর ভেতরে প্রবাহিত না হওয়া । তাই এক অদৃশ্য কৃত্রিমতা তাঁর কবিতাতে গ্রাস করে ।
' হরিশচন্দ্র ঘাট পেরিয়ে মণিকর্ণিকা লেলিহান/ জ্বলবে জটিল দহনের নব অবতরণিকা ' ( ' বারাণসীর পাষাণ উপকূলে ' ) , ' দাঁড়িয়ে রয়েছি তবু, চলে যাব বলে/ সুধা সাগরের পারে দাঁড়িয়ে রয়েছি ' -র মতো চোখ ও মন থেকে সরে যাওয়া উচ্চারণে ভরা কবিতার অভাব এ কাব্যগ্রন্থে নেই। দুঃখ হয় একবিংশ শতাব্দীর কুড়ি বছর পেরোলেও আমরা কেমন বিংশ শতাব্দীর ভাবনাতে আমোদিত! কবিকৃত হতকুচ্ছিত প্রচ্ছদটির সামনে এক লহমা দাঁড়ানো যায় না ।
তবু কদমের ফুল । রামরতন মুখোপাধ্যায় । শিলীন্ধ্র । পন্ঞ্চাশ টাকা ।
প্রতিদিন পৃথিবীতে বাংলা কবিতা কত লেখা হচ্ছে তা কারোর বলা সম্ভব নয়, আবার সেই কবিতার ভেতরে আঁতিপাতি খুঁজে পচা আর ভালো বাছার ক্ষমতা কার কতখানি আছে জানা নেই। তবু এই হাজারো কবিতার ভেতরে যেটুকু পড়ার সৌভাগ্য হয় তাতে বলা যায় কবিতা এখনো জীবনানন্দ পেরতে পারেনি । আর পারেনি বলেই কবি রামরতন মুখোপাধ্যায়ের আধা প্রাচীন আধা আধুনিক কাব্যগ্রন্থ ' তবু কদমের ফুল ' এর কবিতার পংক্তি : ' কীর্তিনাশ করে মদ্যপ উঠে আসে নর্দমা থেকে / ঘোরের বিভ্রমে দেখে সূর্য উঠছে পশ্চিমে বেঁকে ' ( ' উড়ন্ত বোতল ও পিরিচের ঝগড়ার সময় ' ) , ' এখনতো সয়ে গেছে সব । ট্রামের সিটে শুধু শুধু সারাদিন/ কবিতা উড়োজাহাজের ছায়া ... বিজ্ঞান অথবা কাতুকুতু .... ' ( ' ট্রামের সিটে শুধু শুধু সারাদিন ') আমাদের সামনে আসে ।
কবির আবেগ, শব্দচয়নের কৌশল, যৌক্তিকতা সঙ্গমিত হলেও কোথায় যেন নুন কম নুন কম মনে হয় । এর কারণ নতুন ভাবনার চলাচল তাঁর ভেতরে প্রবাহিত না হওয়া । তাই এক অদৃশ্য কৃত্রিমতা তাঁর কবিতাতে গ্রাস করে ।
' হরিশচন্দ্র ঘাট পেরিয়ে মণিকর্ণিকা লেলিহান/ জ্বলবে জটিল দহনের নব অবতরণিকা ' ( ' বারাণসীর পাষাণ উপকূলে ' ) , ' দাঁড়িয়ে রয়েছি তবু, চলে যাব বলে/ সুধা সাগরের পারে দাঁড়িয়ে রয়েছি ' -র মতো চোখ ও মন থেকে সরে যাওয়া উচ্চারণে ভরা কবিতার অভাব এ কাব্যগ্রন্থে নেই। দুঃখ হয় একবিংশ শতাব্দীর কুড়ি বছর পেরোলেও আমরা কেমন বিংশ শতাব্দীর ভাবনাতে আমোদিত! কবিকৃত হতকুচ্ছিত প্রচ্ছদটির সামনে এক লহমা দাঁড়ানো যায় না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন