সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য ১৭৫ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য

প্রভাত চৌধুরী



১৭৫.

আমার এই লেখার শতকরা একশো জন পাঠকই তৃপ্তি সান্ত্রা-কে চেনেন।

সেই তৃপ্তি-র কলমে ' আমাদের কবিতাপাক্ষিক ' ঠিক কেমন ছিল তা একবার দেখে নেওয়া যাক। আমার দ্যাখাদেখিতে আপনারাও দেখে নিন তৃপ্তি-র কবিতা- পাক্ষিক-কে। পড়তে থাকুন শুরুর গুটিকয় কথা  :

' বাজারি সংবাদপত্রের উত্তর-মৃগয়া পর্বের অল্পকিছু আগে কবিতাপাক্ষিকের ডানার সঞ্চারণ শোনা যাচ্ছিল আমাদের মফস্ সল শহরে। বইমেলায় বা কলকাতার বইপাড়ায় যাদের যাতায়াত তারা বাদে অন্য সবার পক্ষে লিটল ম্যাগাজিনের হাল হকিকৎ জানা বেশ মুশকিল। বোতাম টিপে বিশ্বকাপ দেখা বা যুদ্ধ দেখার চাইতে অনেক কঠিন মফস্ সলের কলকাতা এবং কলকাতার মফস্ সলে পৌঁছনো। ...

দশ বছর ধরে একটি পাক্ষিক কবিতা কাগজ যেন সত্যি নয় ---- স্বপ্ন । স্বপ্নের ডানাও কখনো ভারী হয়ে যায় --- যখন তত্ত্ব --- যখন পোস্টমডার্নিজমের ভারী পালক । ...   ... যুদ্ধ হিংসা সফলতার গ্লানিতে জেরবার হয়ে অসুস্থ পৃথিবীর মানুষের প্রেসক্রিপশনে এই বাকশস্য হয়তো একদিন একমাত্র শুশ্রুষা হয়ে উঠবে আর পাক্ষিক তখন শতবটের ডানা। অজস্র মৃত্যু --- তবুও দৃশ্যের জন্ম হোক '।

তৃপ্তি সান্ত্রা - এই প্রতিক্রিয়ার পর উপস্থিত করছি

রিমি দে-কে। 

রিমি দে লিখেছিল বা লেখাটা শুরু করেছিল :

' কে বলেছে কবিতার তেমন একটা পাঠক নেই। ' এই বাক্যটি দিয়ে ।

রিমি আরো লিখেছিল :

' প্রচুর কবিতা লেখা হচ্ছে। জীবন জটিল হচ্ছে দিনকেদিন । জীবনের মতো। সময়ের মতো। কখনো বা সময়কে ফেলে বহুদূর এগিয়ে যায় । যেন কল্পবিজ্ঞান। যেন কবিতা নিয়ে এক চরম বেঁচে থাকা । ঠিক এই সময়ে অলিখিতভাবেই এর ভার গ্রহণ করেছেন কবিতাপাক্ষিক । না, তার পত্রিকা বলেই তার গুণগান নয়  এ যেন শুক্ল আর কৃষ্ণপক্ষের মতোই সত্যি ।কবিতায় মোড়া পক্ষকার কবিতা- পাক্ষিক ।'

সঞ্জয় সোম লিখেছিলেন :

' একটু একটু করে হেঁটে চলেছি। জখম হয়ে বসে পড়েছি। কখনো একটু হোঁচট খেয়েছি। কিন্তু এতটুকু শুয়ে পড়িনি। সামান্য বিরতির পর আবার শুরু করেছি হাঁটতে। কোনো আদবকায়দা শিখিনি।বলা ভালো , শেখাও হয়নি। '

এরপর সুবীর সরকার-এর ব্যক্তিগত জীবনকথা ছিল। তারপর :

'এই এক জায়গায় ঘর অবশ্যই আমাদের কবিতা-পাক্ষিকে। প্রভাতদা অনুপমের মুখ দিয়ে বলেছেন--

ঘনত্ব জানবার জন্য বাড়াতে হয় দূরত্ব। ঘনত্ব বলা হউক, কী আসক্তি , কী সম্পর্ক , কী বন্ধন এখানেই শুরু হয় বৃষ্টিপাত। মাটি ভিজে ওঠে। জল পেয়ে সঞ্জীবিত হয়। পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে। আমরা জোরে জোরে শ্বাসগ্রহণ করে আরামবোধ করি। অপেক্ষা করি পাক্ষিকের পরবর্তী সংখ্যার জন্য।'

এসব কথা কিন্তু প্রথম দশ বছরের কথা। পরের অনেক বছর বাকি থাকতে দেব না। একটা জায়গায় লেখা থাকুক আমাদের অহংকারের কথা , আমাদের স্পর্ধার কথা ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...