সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৭২.
এই ধারাবাহিক রচনাটিতে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি ঢাকের বাদ্যি-কে ব্যবহার করে চলেছি । সেকারণে এই লেখাটিকে প্রচারের ঢক্কানিনাদ বলে চিহ্নিত করা যেতেই পারে । করলে তার বিরুদ্ধে একটিও আবেদনপত্র জমা করব না। বরং আরো কিছু আত্মপ্রচার ধর্মী লেখা পাঠকদের সামনে তুলে ধরব। যাতে অভিযোগটি আরো পাকাপোক্ত হয়। কারণ আমি জানি যাঁদের নিজস্ব কিছুই করার থাকে না , তাঁরা চিরটা কাল কাঠিবাজি করতে থাকেন । এটা না করে যদি এঁনারা ' কাঠিনাচ ' নামক লোকনৃত্যটি রপ্ত করার চেষ্টা করতেন , তাহলে দর্শকবৃন্দ কিঞ্চিৎ উপভোগের সুযোগ পেতেন সেই কাঠিনাচ। অনেকেই জানেন কাঠিবাজি দ্বারা আমাকে বিচলিত করাটা কখনোই সম্ভব হবে না। কারণ আমি কাঠিবাজি- ছুঁচোবাজি ইত্যাকার বাজির আওতার বাইরে অবস্থান এ করি। আমি যা করি তার সবটাই নতুন প্রকল্পনা। এর প্রতিষেধক এখনো বাজারজাত হয়নি। এতক্ষণ যা লিখলাম , তার সবটাই আত্মপ্রচার।
এখন ' সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য ' এই লেখাটিতে সৌমিত্র রায় , এই অনলাইন দৈনিকটির সর্বেসর্বা ২০০৩ -এ কবিতাপাক্ষিক সম্পর্কে কী দৈববাণী করেছিল , তা একবার পড়ে নেওয়া যাক। আমি পড়ি, আপনারা পাঠশালার ছাত্রদের মতো ধুয়া ধরুন।
সৌমিত্র রায় -এর কলম লিখেছিল বা এক নবীন কিশোর লিখেছিল :
' কবিতাপাক্ষিক সূত্রে টোটাল পোয়েট্রির কাজকর্ম খুব সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। সেইসব কাজকর্মে দু-এক বছরের জন্য হলেও নিজেকে সম্পূর্ণ নিয়োজিত করতে পেরেছিলাম বলে নিজে গর্ববোধ করি। সর্বোপরি নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় তার মূল্য অপরিসীম। টোটাল পোয়েট্রির কাজকর্মের মধ্যে কবিতা লেখা , কবিতার জন্য লেখা , সেইসব ছাপার ব্যবস্থা করা এবং পাঠকের দরবারে পৌঁছে দেবার পাশাপাশি ,অন্যতম আরো একটি কাজ করে চলেছে কবিতাপাক্ষিক , তা হল কবিজন্ম। বেশ কিছু নতুন কবির জন্ম হয়েছে কবিতাপাক্ষিক
[22/10, 11:47 am] Kobi Prabhat Chowdhury: কবিজন্ম। বেশ কিছু নতুন কবির জন্ম হয়েছে কবিতাপাক্ষিক পরিবারের সংস্পর্শে এসে। নিজের কথাই বলি। সেই ভাগ্যবানদের মধ্যে আমিও একজন। '
ধন্যবাদ সৌমিত্র। একমাত্র তুমিই স্পষ্টভাবে এহেন কথা বললে। বা তোমার এই কথার সূত্র ধরে অনেক সত্যই সামনে চলে আসবে ৷ সৌমিত্র রায় প্রদত্ত সার্টিফিকেটে আরো কিছুটা যোগ করা যাক :
' সর্বোপরি ফাদার প্রভাত চৌধুরী নানান ফাইফরমাসে একসাথে কাজ করার আনন্দ কোনোদিন ভোলার নয়।সকাল দুপুর বিকেলে যে কোনো সময় ফাদারের কথামতো উপস্থিত হয়েছি নিদির্ষ্ট স্থানে। কখনো পটলডাঙার ছাদ , কখনো শৈবালদার " সাইবার পাস " কখনো বা ছাপাখানা আবার কখনো দুষ্টুদার ট্রান্সপোর্ট ।'
সৌমিত্র-র আরো কিছু কথা :
' টোটাল পোয়েট্রির বাইরে থাকলে হয়তো কোনোদিন নতুন কবিতায় মনোযোগ আসত না। বাংলা কবিতা সম্পর্কিত খুব কম বই পড়েছি।কিন্তু পাক্ষিক সংশ্লিষ্ট নানান ব্যক্তিত্বের মুখ নিঃসৃত বাণী শুনেছি অনেক বেশি।পাক্ষিক পরিবার আমায় অনেক বেশি আপন করে নিয়েছে।'
শুধুই যে সৌমিত্র-কে আপন করে নিয়েছিলাম , তা নয়। সৌমিত্র-র পাশাপাশি আরো অনেককে আপন করে নিয়েছিলাম।কারণ আপন করে নেওয়াটা আমার স্বভাব। সৌমিত্র সাদাসিদে গ্রামীণ মানুষ।তথ্য- প্রযুক্তি যুগেও সে তার চরিত্রের মৌলিক মূল্যবোধ গুলিকে বিসর্জন দেয়নি বা দিতে পারেনি। নিজের সততাকে ত্যাগ করতে এখনো শেখেনি সৌমিত্র।
সৌমিত্র রায় কীভাবে শেষ করেছিল , সেটাও জেনে নিন :
' বিশ্বাস করুন শান্তনুদা , রজতদা অফিসে কাজ করতে করতে আমার ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে প্রভাতকাকু নতুনদের শেখাচ্ছেন কবিতা লেখা , কবিতার জন্য প্রুফ সংশোধন কিংবা পেটি বাঁধতে গিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন --- ওভাবে নয়, এভাবে।
নাসেরদা , আমার এখনো অনেক শেখার বাকি। আমাদের টিমওয়ার্কে আমিও থেমে থাকার নয়। আমার অন্তরের টান , হৃদস্পন্দন সবটাই পাক্ষিকের টোটাল পোয়েট্রির জন্য।'
এবার আমার একটি ছোটো কথা বড়ো মুখ করে বলছি :
সৌমিত্র তার নিজের মতো করে নিজেকে গঠন করে নিয়েছে । এখানে আমার ভূমিকা সৌমিত্র অনেক বড়ো করে দেখিয়েছে।
এবং আরো একটা কথা সৌমিত্র যখনই সুযোগ পেয়েছে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমাকে উপস্থিত করেছে। সৌমিত্র-র তরফে আমার প্রাপ্তিও কম নয়। সেসব কথা অন্য কোনো সিরিয়ালে , অন্য কোনো এপিসোডে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন