বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য ১৭০ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য

প্রভাত চৌধুরী



১৭০.

এরপর আফজল আলি-র লেখা। আফজল সম্পর্কেও আমি এই লেখায় বেশ কয়েকবার বলেছি। অতএব রাজকল্যাণের মতো আফজল -এর লেখা থেকেই আপনাদের কবিতাপাক্ষিককে চিনে নিতে হবে। চিনতে শুরু করুন :

' মনের ভিতর একটা ছটফটানি কাজ করছিল। কবিতাকে পাল্টানোর তাগিদ , ভিন্নধরনের লেখার তাড়না। এইরকমই এক বাঁকবিন্দুতে পেয়ে গেলাম কবিতাপাক্ষিকের সন্ধান। একদিন দেখলাম( আজ থেকে অনেক পুরোনো কোনো এক সংখ্যায় ) পত্রিকার ভিতরে বিজ্ঞপ্তি --- " নবীন কবিরা তাদের কবিতা নিয়ে আসুন। আমরা সাগ্রহে শুনতে রাজি।"ঠিকানা পটলডাঙা স্ট্রিটের কবিতাপাক্ষিকের আড্ডাখানা। প্রতি শনিবার বিকেল ৫টা।দৃষ্টি আটকে গেল। ডাকে কবিতা পাঠালাম। মনোনীত হল না দূরাভাষে মাননীয় প্রভাত চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলাম।উনি আরো লেখা পাঠাতে বললেন । পরবর্তী কালে ডাকে পাঠানো লেখার মধ্যে একগুচ্ছ কবিতা ছাপা হল। প্রথম কবিতাটি ছিল---" হাইফেনবিষয়ক গদ্য "। তার আগেই একদিন পটলডাঙায় গেলাম। প্রভাত চৌধুরীকে সম্মুখ দেখতে। ' ...   ...

' একটি ঘণ্টা ছিলাম সেদিন। অদ্ভুত কাছে টানার ক্ষমতা আছে এই কবির।তারপর থেকেই আমিও কবিতাপাক্ষিক পরিবারের সদস্য বনে গেলাম।তখন পোস্টমডার্ন নিয়ে বেশ কাজকর্ম শুরু হয়েছে।আমার লেখার মধ্যেও ফুটে উঠতে লাগল উত্তর-আধুনিকতার বৈশিষ্ট্য।কবিতাপাক্ষিক আমাকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দুই-ই দিল। এরপর আমার অনেক কবিতাই কবিতাপাক্ষিকের বিভিন্ন সংখ্যায় স্থান পেয়েছে। '

আফজল আরো লিখেছিল :

' আর কবিতাপাক্ষিকের যে কোনো আড্ডা মানেই নির্ভেজাল আনন্দের ও সৃজনীমাত্রার। যেমন সাংগঠনিক বিস্তার , তেমনি বিস্তার পারস্পরিক সম্পর্কও। সার্বিক অর্থে কবিতাপাক্ষিক আজ এক বড়ো পরিবার যা বাংলাভাষাভাষী সব মানুষের কাছে পৌঁছুতে চায়। '

সুজিত দাশ = আমি আর লীনা হেঁটে চলছি। 

সুজিত দাশ = তারকেশ্বর । 

এই সুজিত দাশ ' আমাদের কবিতাপাক্ষিক ' শীর্ষক লেখাটিতে ব্যবহার করেছিল ক্যালেন্ডারের কয়েকটি তারিখ। তৎসহ কিছু আত্মকথন। গুটিকয়ের অংশ পড়া যাক :

২২ নভেম্বর ২০০২

...   ...  আজ সিঙ্গুর বইমেলায় কবি প্রভাত চৌধুরীর সাথে পরিচিত হলাম।অবাক হই , একজন প্রতিষ্ঠিত কবিকে , সম্পাদককে নিজের প্রকাশিত বইপত্র সাজিয়ে বুকস্টলে উপস্থিত থাকতে দেখে।কোনো এক কথা প্রসঙ্গে প্রভাত চৌধুরী বললেন , --- আমি আধুনিক নই।'

২৯ নভেম্বর ২০০২

কবিতা পাক্ষিক গোষ্ঠীর কেউ রবীন্দ্রবিরোধী নন  । রবীন্দ্রনাথের যথার্থ উত্তরাধিকারীরাই কবিতার প্রতিষ্ঠান।

 ১৫ জানুয়ারি ২০০৩

নন্দন চত্বরে লিটল ম্যাগাজিন মেলা।সুভাষ আমি শ্রীকান্ত গিয়েছিলাম। পোস্টমডার্ন বাংলা কবিতা বইটা সংগ্রহ করলাম। কবিতাপাক্ষিক স্টল। ৯৬ জন কবির বৈচিত্র্যময় কাব্যচর্চার নমুনা হাতে পেয়ে আমি যৎপরোনাস্তি খুশি। উত্তরাধুনিক বিশ্বের চিন্তাভাবনা নীরবে  যে কয়েকজন কবিকে দোলা দিয়ে গেছে তাদের বেশি অংশই আজ কবিতাপাক্ষিক পরিবারের লোক। ঘোষিত ভাবেই।

৩১ জানুয়ারি ২০০৩

কবিতাপাক্ষিকের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের ৫০ প্রান্তে পঞ্চাশটি অনুষ্ঠান হচ্ছে। এর মধ্যে  একটা হবে তারকেশ্বরে। কলকাতা বইমেলায় কবিতাপাক্ষিকের স্টলে বসে গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রভাত চৌধুরীর সাথে কথা হচ্ছিল এ বিষয়ে। 

৩১ মার্চ ২০০৩

আমরা এই বহুবাচক শব্দটা মিথ্যা কি ? বোধহয় না। বোধ হবে কেন ? নয়ই। প্রভাত চৌধুরীর টোটাল পোয়েট্রির ধারণায় আমরা শব্দটি আবশ্যিকভাবেই আর একটি উপাদান হবে।...   ...    ...সুতরাং আমরা একটি সত্য শব্দ। আমরা এই পরিবারের  ...   '

আমিও কিছুই ভুলে যাইনি সুজিত। ভুলে যেতে পারি না , বলেই ভুলে যেতে পারিনি। তোমাদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। তা অটুটই থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...