শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য ১৫১ || প্রভাত চৌধুরী ||

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য

প্রভাত চৌধুরী



১৫১.

কেন্দ্রীয় উৎসবের ধারাভাষ্য দিচ্ছি , অর্জুন মিশ্র কলমনামে নাসের হোসেনের লেখা কবিতা সংবাদ - কে অবলম্বন করে ।ওখান থেকে সংগ্রহ করে আজকের বা এই লেখাটির পাঠকের অবগতির জন্য।অগ্রজ কবিরা কিংবা মান্যবর অতিথিরা যা যা বলেছিলেন , সেগুলি পড়া যাক।

উৎপলকুমার বসু : বাংলা কবিতায় কবিতাপাক্ষিক একটা কাজের কাজ করেছে এবং করছে।

শরৎকুমার মুখোপাধ্যায় : আমরা ' কৃত্তিবাস ' নিয়ে এইরকমভাবে প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে পারিনি। কবিতাপাক্ষিক পেরেছে , এজন্য তাকে অভিনন্দন।

অমিতাভ দাশগুপ্ত : দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে দেখেছি পরিচয়-এর সমগ্র কাজে প্রভাতের অদম্য উৎসাহ।সেই প্রভাত এরকম একটা অসাধ্যসাধন করবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।প্রভাতকে এবং তার সহযোগী নাসের ও অন্যদের আমার প্রগাঢ় শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

উৎপল চক্রবর্তী : বাংলা কবিতায় একটা আলোড়ন তুলেছে কবিতাপাক্ষিক।আমার ভালো লাগছে আজকের উৎসবে উপস্থিত থাকতে পেরে।

উৎপল ফকির : কবিতাপাক্ষিক-এর এরকম একটি অভাবনীয় অনুষ্ঠানে সকলকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

দীপংকর ঘোষ : কবিতাপাক্ষিক যে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোনো তুলনা নেই।

২টোর সময় শুরু হয়েছিল সেমিনার।

বিষয় : ৩০ -এর দশক থেকেই পাঠকদের কবিতাবিমুখিতা শুরু ।

অংশগ্রহণ করেন : দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সুজিত সরকার জহর সেনমজুমদার মুরারি সিংহ তুষার পণ্ডিত রুদ্র কিংশুক মুহম্মদ মতিউল্লাহ । সঞ্চালনা : ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায় । সেমিনারের শেষ বক্তা ছিলেন প্রভাত চৌধুরী। সেমিনার এতই জমে উঠেছিল সভাকক্ষভর্তি শ্রোতাগণ একমনে সমস্তটা শুনে গেছেন এবং কখনো কখনো সমঝদারের উচ্ছ্বাস জাগিয়েছেন। অন্তিমে বিরোধী বক্তব্যের  সূত্র ধরে প্রভাতদা বলেন, সেমিনারের বিষয়টা আলপটকা

রাখা হয়নি, খুব ভেবেচিন্তে রাখা হয়েছে। কবিতাপাক্ষিকের -এর দৃঢ় বিশ্বাসের জায়গা থেকে বিষয়টি রাখা হয়েছে।

এইদিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল কবিতাপাক্ষিক-র চারটি বই।

গৌরাঙ্গ মিত্র -র পুতুলের সংসার ।

অভিজিৎ চৌধুরী-র উপজাত আলো।

আফজল আলি-র অলীক রৌদ্রতন্ত্র ।

অমিত কাশ্যপ -র মলাটে মুখের মিছিল।

এই চারটি বই-এর প্রচ্ছদ করেছিলাম আমি।

সেমিনারের পর বিকেল ৪ টেয় বিরতি। আকাদেমি চত্বরে সকলে নেমে এলেন। জলখাবারের প্যাকেট  পরিবেশন করলেন যূথিকা রাজা বুবলি এবং জয়ন্ত। প্যাকেট বানানো হয়েছিল  শোভনালয়ে।বড়োবাজার থেকে পেটি ভর্তি লাড্ডু এনেছিল ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায়।

বিকেল ৫টায় বাংলা আকাদেমি সভাঘরে শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় পর্ব। নাসের হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মান ও পুরস্কার প্রাপক কবিদের কবিতাপাঠ। কবিতা পড়েছিলেন :  শরৎকুমার মুখোপাধ্যায় অনন্ত দাশ গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত গুহমজুমদার সঞ্জীব প্রামাণিক সুবীর ঘোষ  তৃপ্তি সান্ত্রা নুরুল আমিন বিশ্বাস গৌরাঙ্গ মিত্র আফজল আলি এবং মুহম্মদ মতিউল্লাহ। সুশীল ভৌমিক সমীর চক্রবর্তী প্রবুদ্ধ বাগচী ও সোনালি বেগম -এর অনুপস্থিতির কারণে ওদের একটি করে কবিতা পাঠ করেন যথাক্রমে নাসের হোসেন দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় প্রশান্ত গুহমজুমদার এবং মুরারি সিংহ।

এরপর , দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় শুরু হয়েছিল উপস্থিত কবিদের কবিতাপাঠ। কবিতা পড়েছিলেন প্রায় ৭০ জন কবি।

আগামীকাল সেইসব কথা ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...