বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য ১৬৪ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য

প্রভাত চৌধুরী



১৬৪.

এবার বুদ্ধদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী ভেবেছিল এবং ঠিক কী বলেছিল , তা দেখে নেওয়া যাক। তার আগে জানিয়ে রাখি বুদ্ধদেব-পরিচিতি।

বুদ্ধদেব = শ্রীরামপুর।

আবার অন্যরূপে ,

 বুদ্ধদেব = রাইটার্স , ব্লক 1 ,3rd floor.

এই দুই বুদ্ধদেব কিন্তু একজনই। কেউই ড্যুপলিকেট নয়। আর আমার তো সবখানেই বসত।

বুদ্ধদেব বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিল :

১॥ কোনো কোনো ঘটনা ও অনুষঙ্গ নিরন্তর সুখের।কবিতাপাক্ষিক সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা এককথায় এরকমই।

২॥  উত্তর আধুনিকতা বিষয়ে স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গীর নিরিখে , পুরস্কার প্রদান ,আলোচনা - প্রতি আলোচনায় কবিতাপাক্ষিক বাংলা ভাষাসাহিত্যে প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা ছিনিয়ে নিয়েছে।

৩॥ এখন পাক্ষিকের কর্মকাণ্ড অনেক ডালপালা মেলেছে। সেকথা অন্য কেউ হয়তো বলবেন।আমি কেবল এটুকুই বলব , কাছে থাকি বা দূরে , কবিতাপাক্ষিক সদাসর্বদা আমাদের হৃদয়েই রয়েছে।

কবি- গদ্যকার বুদ্ধদেব এখন প্রতিষ্ঠিত নজরুল- বিশেষজ্ঞ। তবু আমার সঙ্গী। বিবিধ প্রয়োজনে ফোন করতে হয়।

কৌশিক চক্রবর্তী মানে ভবানন্দ রোড । বলতে পারা যায় কবিতাপাক্ষিক থেকেই লেখালেখি শুরু। এবং আরো বলা যায় : কৌশিক কখনো কারো হয়ে কবিতা লেখে না। বা নিজের কবিতা লেখে।

সেই কৌশিক কবিতাপাক্ষিক-কে আপন করার প্রকল্পে ঠিক কী লিখেছিল , তার কয়েক লাইন দেখে নেওয়া যাক :

' প্রভাতবাবু সেই ছটা লেখাই নিলেন আর ঠিক একমাস বাদে রাসবিহারী মোড়ে ১১৬ সংখ্যার মলাটে ' এ পক্ষের কবি ' হেডিংয়ে আমার নাম : ছটা লেখাই ছাপা হয়েছে। '

 কৌশিক লেখাটা কীভাবে শেষ করেছিল দেখি :

' উত্তর ঔপনিবেশিক কালখণ্ডে , অধুনান্তিক পৃথিবীর ভাষ্য এভাবেই রচিত হয়েছে এখানে ; যে পৃথিবীতে আমাদের মতন কুচোপাখিদের দুটো দানা পাওয়ার নিশ্চয়তা আছে ; কারণ পাখিরা জানে স্বপ্নদেখার শেষে পাখিদের শিকার করা হয় না, পাখিশিকার সেখানে অপরাধ; কারণ ,পাখি গান জানে ।'

এবং কবিতাপাক্ষিক চিরকাল সেই কুচোপাখিদের গান শুনতেই চেয়েছে ।

সুবীর ঘোষ কখনো আমার কাছে টিম দুর্গাপুর হয়ে ওঠেনি। দুর্গাপুরে বসবাস করেও ঠিক দুর্গাপুরের নয়।

অর্থাৎ রজতশুভ্র গুপ্ত পিনাকীরঞ্জন সামন্ত বা রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়- এর মতো নয়। অথচ এদের মতোই কবিতাপাক্ষিকের সঙ্গে সর্বাঙ্গে জড়িত , এমনকী কাদাকুলি-র সঙ্গের পরিচিত।

এহেন সুবীর ঘোষ লিখেছিল :

' আর এই  ওড়ারই কথা শুনিয়েছেন প্রভাতদাও। বলেছেন --- "মানুষ যতদিন স্বপ্ন দেখবে ততদিন কবিতাও থাকবে "।স্বপ্নই মানুষের কর্মের সবুজ নিশানা, স্বপ্নই মানুষের অস্তিত্বের তাৎপর্য। মানুষের অনুভব মাষুষকে পশুর থেকে আলাদা মাত্রায় নিয়ে গেছে। তাই সকলেই কবি , কেউ কেউ হয়তো লেখেন। বিভিন্ন অবস্থানে প্রত্যেক মানুষই অনুভব করেন। কেউ কেঊ হয়তো সেটা লিখে ফেলতে জানেন। আর কবি যা লেখেন তাই কবিতা। তবে একটা সতর্কবার্তা প্রভাতদা শুনিয়েছেন। চর্বিতচর্বণ নয় ,কবিকে লিখতে হবে update কবিতা ।'

জয়দীপ চক্রবর্তী কবিতাপাক্ষিক পরিবারের অন্যতম সদস্য।এই কবিতাপাক্ষিকের সঙ্গে জয়দীপের যোগাযোগের জন্য কয়েকটি নাম এবং স্থানকাল এসেছে। সেগুলি :

১৯৯২-৯৩। সুরেন্দ্রনাথ কলেজ । আনন্দবাজার পত্রিকা দপ্তর। বইমেলার স্টল। সবটাই গল্পের মতো করে লিখেছিল জয়দীপ। সেই লেখা থেকে একটি ক্ষুদ্র অংশ :

' কেননা পত্রিকাটিও এখন আমাদের পত্রিকা। আমিও তো এই পত্রিকা পরিবারেরই একজন, যে এখনো নিয়মিত স্বপ্ন দেখে এবং কবিতাকেও বাঁচিয়ে রাখতে চায় আন্তরিকভাবে '। 

আমরা যেন ভুলে না যাই , বিশিষ্ট শিশু-কিশোর সাহিত্যিক জয়দীপ চক্রবর্তী এক কবি।কবিতাপাক্ষিক পরিবারের কবি।

এবং এটাও জানি কবিতাপাক্ষিক প্রকাশনা-তে বেশ কয়েকটি কিশোরদের উপযোগী বই আছে , যেগুলির বিক্রয়যোগ্যতাও প্রমাণিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...