আশ্চর্য দহন
কমলেশ নন্দ
১.
কিছু মানুষের অতলান্তিক লোভ আর আত্মতুষ্টিগত মনোবিকলনে আজ সমগ্ৰ মানবজাতি প্রতিনিয়ত মৃত্যু ভয়ে অস্থির। অমৃতের পুত্র হে মানব তোমার কীর্তিই তোমার পরিচয়। প্রযুক্তির চরম শিখরে পৌঁছেও আজ যে আমরা কতটা অসহায় এই শিক্ষা কী যথেষ্ট নয়!
২.
প্রকৃতি আর মানুষের সরল সমীকরণ আমরা বুঝেও প্রতিদিন না বোঝার ভান করি। কিছু মানুষের লাগামহীন রসনাতৃপ্তিতে প্রকৃতির নির্মল প্রাণ, রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ সবকিছুই আজ ছন্দহীন। তবে একেই কী বলে সভ্যতা?
৩.
আমার ছয় বছরের বালক পুত্রের সরল প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারছি না। শিশুমন প্রশ্ন তোলে, বিজ্ঞানীরা রোবট তৈরি করতে পারে, কিন্তু রোগ প্রতিরোধের ওষুধ তৈরি করতে পারছে না কেন? পুলিশ চোর ডাকাত ধরতে পারে, তাহলে যারা পশুপাখিদের হত্যা করছে তাদের ধরতে পারছে না কেন?
৪.
অপরাধ আর অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পেরেও মুখে কুলুপ এঁটে ঘুমিয়ে থাকা, এটাই যেন নিয়ম!
আজ শুধু বলতে ইচ্ছে করছে,
কে যেন বলছে।
আলোটা সরিয়ে নাও হে।
সরিয়ে নাও এই সুখ সাচ্ছন্দ, মিথ্যে সোহাগ।
দেখো দীর্ঘ মৃত্যুহীন এক তরঙ্গিত শশ্মান থেকে ভেসে আসছে আগুনের গান।
হে বিষণ্ণ ঋষি!
লিখে রেখো আমাদের কথা।
আমরা বেড়ে উঠেছি, বড় হতে শিখিনি।
বাঁচা-মরার তফাৎ বুঝিনি।
প্রতিদিন প্রশ্ন করো নিজেকে নিজেই।
দেখো একটিও ফুল ছড়ানো নেই সে পথে।
যে হাতে পায়রা ওড়ায় ওরা।
কত রক্ত মেখেছে সে হাত!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন