বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

পূরবী-৪৫ || অভিজিৎ চৌধুরী || ধারাবাহিক বিভাগ

পূরবী-৪৫

অভিজিৎ চৌধুরী।।




একটা আহ্বান থাকত সেই সমস্ত পুজোর দিনগুলিতে।আকাশের রোদ্দুরের।শরতেরও।আর প্রতিমার সঙ্গে মায়ের গায়ের গন্ধেরও।কোন কোন মুখ আজও প্রশান্তিদেয় তীর্থকে।কোনও শব্দবোধও উজ্বল করে বেঁচে থাকাকে।এমন একজন সিভিল সার্ভিস এক্সিকিউটিভের বরিষ্ঠ আধিকারিক মনোমোহন ভট্টাচার্য।

ছোট্ট জানলা দিয়ে আকাশের দিকে তাকাল।আছে কি মধুর আহ্বান!

আছে হয়তো কিন্তু স্বাদ গন্ধ সেরকমটা নেই।

নীরোদ সি চৌধুরীর প্রথম বই বের হয় ৫২ বছর বয়সে।কান্তিদার সঙ্গে গল্প হচ্ছি আলোকবর্ষ আর তানজানিয়া নিয়ে।উঠে এলো প্রসঙ্গ - একই মেসে রয়েছেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়,নীরোদ সি চৌধুরী এবং সরকারি করণিকেরা।করণিকদের মাসকাবারি বাজার আছে,সপ্তাহান্তে বাড়ি যাওয়া আছে আর সব পরনিন্দা পরচর্চা আছে।বিভূতিভূষণ নরকে বসেও লিখছেন চাঁদের পাহাড়।আরেকজন মেসের এক কোণায় ব্রিটিশ কেতা অনুসরণ করছেন।এদিকে চাকরি নেই।চলে গেছে।কেউ দেখা করতে এলে বলছেন,এটাই তো পরিবেশের সঙ্গে মহাযুদ্ধ। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিভূতিভূষণ পড়ে চলেছেন জিওগ্রাফি বায়োসায়েন্স।আর তাঁর আন্তর্জাতিক বন্ধু পড়ছেন রাজনীতির বিশ্ব পরিচয়।

মিলিল দ্যুলোক ভূলোকে।শান্তির বারি সেদিনও ছিল না।বিশ্বযুদ্ধের দুন্দুভি। অনাহার।সব ছিল।তাও রবীন্দ্রনাথ লিখে চলেছেন মানবতার গান।অতিক্রম করছেন জাতীয় সংকীর্ণ গণ্ডি আর স্পর্শ করছেন আন্তর্জাতিক পটভূমি।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...