তিনটি কবিতা
ফটিক চৌধুরী
ভালো-বাসার বারান্দাা
আজ ভালো-বাসার বারান্দাটা খুলে দেখি
চারিদিক শুনশান। নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে
চারিদিকে।দূরে দেখা যায় ধূসর গাছপালা
কতো কিছু বলা হয়েছে এই বারান্দা থেকে।
মানবিক, মানবচেতনার রূপ, আরও কতো...
বলে গেছো লাঞ্ছিত মেয়েদের কথা, তাই
মাঝে মাঝে খুলি এই ভালো-বাসার বারান্দা
স্মৃতি হাতড়ে হাতড়ে...
একটা বছর কীভাবে যে পেরিয়ে এলাম !
তুমি বলে গেছো 'সই' পরিবারের কথা
পরিবারের প্রত্যেকের কথা এক এক করে,
তা এই ভালো-বাসার বারান্দা থেকেই।
তুমি তো এসব নিয়েই বাঁচতে চেয়েছো,
চেয়েছিলে, তাই মাঝে মাঝে খুলি,
ভালো-বাসার বারান্দা
যেখানে নির্মেদ স্মৃতি ভর করে থাকে।
(** ৭ নভেম্বর নবনীতা দেবসেন এর প্রথম প্রয়াণ দিবস)
নবান্ন
বর্ষায় দেখেছ ধানশিশু
শরতে তার যৌবনের দোলা
হিল্লোলে ভরে যায় সবুজের সজীবতা।
ধানের শিষে দেখ কৃষকের হাসিমুখ
দুধে ভরে ওঠে প্রতিটি ধানের গর্ভ।
আদর মাখামাখি হয়ে সোনালি রোদে
শুয়ে থাকে সোনালি ধান, হেমন্তে
ভরে ওঠে কৃষকের নিকানো খামার
ধান্যসুখে এবার নবান্নের সুবাস।
মেঘ পর্ব
দিনগুলোকে এত এলোমেলো করে রেখেছ
তাকে কিভাবে সাজাই ?
কোন দশক দিয়ে সাজাব ?
কখনও যুক্তির দশক কখনও মুক্তির
অথচ মুক্তি তো হলই না
সেই খাঁচায় বন্দি রয়ে গেলে !
যখন ভাবছ এবার বুঝি মুক্তি এলো
আকাশ ডাকছে, বাতাস বইছে দখিনা
মেঘেরা উড়ে যাচ্ছে, আহা আনন্দ....
তাদেরকে কে আর আটকায় !
জীবনের পর্বকে ভাগ করতে করতে তুমি
যেতে চাও মেঘেদের রাজত্বে ? তাহলে
এলোমেলো দিনগুলো মেঘপর্বে সাজাও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন