রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস || হোমেন বরগোহাঞি || মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ- বাসুদেব দাস BASUDEB DAS

 

বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস

হোমেন বরগোহাঞি

মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ- বাসুদেব দাস



খ্রিস্টধর্ম রোমে প্রথম প্রবেশ করার সময় রোমান সম্রাটরা খ্রিস্টধর্মের প্রচন্ড বিরোধী ছিলেন। রোম সাম্রাজ্যের যে সমস্ত মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তাদের রোমান সম্রাটরা অমানুষিকভাবে নির্যাতন করেছিল। কিন্তু আশ্চর্যের কথা যে নির্যাতনের ভয়ে কোনো একজন মানুষ নিজের নতুন ধর্মবিশ্বাস ত‍্যাগ করেনি। তাদের বিশ্বাসের জোর দেখে রোমান সম্রাটরা অবাক হয়েছিলেন।

এবার এ রকমই একজন খ্রিস্টানের ধর্মবিশ্বাসের গভীরতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য একজন রোমান সম্রাট আদেশ দিলেন যে জীবন্ত অবস্থায় মানুষটির শরীর থেকে টুকরো টুকরো করে মাংস কেটে নিতে হবে। সেটাও কোনো ধারালো অস্ত্রের দ্বারা নয়, মানুষটার গায়ের মাংস কাটতে হবে একটা ভোঁতা অস্ত্রের দ্বারা। তাছাড়া মাংস কাটার কাজটা কয়েক দিন ধরে চালিয়ে যেতে হবে।

সম্রাটের আদেশ অনুসারে একজন জল্লাদ  খ্রিস্টান লোকটির শরীর থেকে মাংস কাটতে শুরু করল। বলা বাহুল্য যে সেই যন্ত্রণা ছিল অবর্ণনীয়। সাধারণ মানুষের পক্ষে অকল্পনীয়। কিন্তু সেই প্রচন্ড যন্ত্রণার সময়েও খ্রিস্টান লোকটির মুখ থেকে একটি শব্দও বের হল না। মানুষটা সেই অবর্ণনীয় যন্ত্রণা সহ্য করে রইল সম্পূর্ণ নীরবে।

একদিন মানুষটার  বুকের একটি বড় মাংস খন্ড ভোঁতা অস্ত্রে ঘষে ঘষে কেটে জল্লাদ তাকে জিজ্ঞাসা করল-' ভয়ংকর যন্ত্রণা তুমি সহ্য করার শক্তি কোথা থেকে পেলে?'

' ঈশ্বরের কাছ থেকে'- মানুষটা প্রশান্ত ভাবে উত্তর দিল।

মানুষ বেশিরভাগ সময় ঈশ্বরের অস্তিত্ব ভুলে থাকলেও চরম বিপদের সময় কিন্তু মানুষ ঈশ্বরের নাম গ্রহণ করে। এমনকি অনেক অবিশ্বাসীও বিপদের সময় নিজের অজান্তে ঈশ্বরের নাম স্মরণ করে। ঈশ্বর কোনো মানুষকে বিপদের সময় রক্ষা করার প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু এ কথা ঠিক সোজাসুজি ঈশ্বরের কাছ থেকে না হলেও অগাধ বিশ্বাস থেকে অনেক মানুষ বিপদের সময় সান্ত্বনা এবং সাহস আহরণ করে। জীবনের ভয়ঙ্কর দুর্যোগ এবং দুর্ভাগ্যের সম্মুখীন হওয়ার জন্য তাদের একমাত্র সম্বল হল গভীর এবং 

অবিচলিত ঈশ্বর বিশ্বাস।

কিন্তু ইতিহাসে এই ধরনের উদাহরণের কোনো অভাব নেই যে দুর্ঘোর নাস্তিক ও কোনো মহৎ আদর্শ বা বিশ্বাসের জন্য অবর্ণনীয় শারীরিক যন্ত্রণাকে হাসিমুখে বরণ করে নেয়। মুহূর্তের জন্যও তিনি যন্ত্রণার কাছে নতি স্বীকার করেন না। নিজের আদর্শের জন্য বিভিন্ন দেশের টর্চার চেম্বারে কল্পনাতীত দৈহিক যন্ত্রণা ভোগ করেও নিজের আদর্শ ত্যাগ না করা এই ধরনের হাজার হাজার মৃত্যুঞ্জয়ী মানুষের নামে বিপ্লবের ইতিহাস পরিপূর্ণ হয়ে আছে। এক প্রকারে দেখতে গেলে ঈশ্বরবিশ্বাসী আত্মসংযম এবং সাহসের চেয়ে এই ধরনের নাস্তিকের বীরত্ব হাজার গুনে বেশি প্রশংসনীয় । চরম যন্ত্রণার সময় ঈশ্বরবিশ্বাসীকে মনোবল জুগিয়ে থাকার জন্য আছে তার পরম বান্ধব ঈশ্বর, তাঁর আত্মার অমরত্বে বিশ্বাস, অনন্ত স্বর্গবাসের সম্ভাবনা । কিন্তু নাস্তিকের নিজের আদর্শ ছাড়া অন্য কোনো অবলম্বন নেই।পরোপকারের বাইরে তার আর কোনো অভীষ্ট নেই ।

বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের কথা চিন্তা করলে একটি সত্য কাহিনি আমার মনে পড়ে যায়। কাহিনিটি আমি পড়েছিলাম জন বাউকারের The Meanings of Death নামের গ্রন্থে। কোনো ধরনের টীকা-টিপ্পনী না দিয়ে আমি সেই কাহিনিটা আপনাদের বলতে চাই।

১৯৩৩ সনে জার্মানিতে হিটলার ক্ষমতায় আসার দিন থেকেই তিনি ইহুদিদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান আরম্ভ করেন। ইহুদিরা বহুযুগ ধরে খ্রিস্টান ইউরোপে নানা ধরনে নির্যাতিত হয়ে আসছে। খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যে ইহুদিদের চক্রান্তের ফলে যিশুখ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই জন্য খ্রিস্টান ইউরোপে ইহুদিদের অন্তর থেকে ক্ষমা করতে পারেনি,- যদিও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন যুগে তাদের অস্তিত্ব সহ্য করতে দেখা গেছে। ধর্ম হিটলারের ইহুদি বিদ্বেষের প্রধান কারণ ছিল না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইহুদিদের প্রাধান্যই হিটলারকে ঘোর ইহুদি বিদ্বেষী করে তুলেছিল।১৯৩৩ সনে ক্ষমতায় এসেই হিটলার ইহুদি নিধন যজ্ঞ আরম্ভ করলেন।লক্ষ লক্ষ ইহুদি জার্মান থেকে ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেল। যে সমস্ত ইহুদিরা পালিয়ে যেতে পারলেন না তাদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প অর্থাৎ বন্দিশিবিরে রাখার ব্যবস্থা হল।১৯৩৯ সনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয়। হিটলারের জার্মানি একের পরে এক ইউরোপের কয়েকটি দেশ অধিকার করে জার্মানির অধীনে আসা প্রতিটি দেশের ইহুদিদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে আবদ্ধ করে তাদের অমানুষিক পরিশ্রম করতে বাধ্য করা হয়। এই সময় হিটলার Final Solution অর্থাৎ ইহুদির সমস্যার চূড়ান্ত সমাধানের পরিকল্পনা করলেন। চূড়ান্ত সমাধানের অর্থ ছিল ইহুদিদের হত্যা করে পৃথিবী থেকে তাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করা। বিভিন্ন দেশের বন্দিশিবির গুলিতে ইহুদিদের উপরে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তাদের তিলে তিলে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেওয়া হল। লক্ষ লক্ষ ইহুদিকে গ্যাস চেম্বারে  জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল।১৯৩৯ সন পর্যন্ত অর্থাৎ বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাস্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদিকে বিভিন্ন ভাবে হত্যা করা হল। এই ইহুদি নিধন যজ্ঞকেই Holocaust বলা হয়ে থাকে। নিচে বর্ণিত ঘটনাটা ঘটেছিল পোলান্ডের জানৌয়াস্কা বন্দিশিবিরে। সেই শিবিরে হাজার হাজার বন্দি ইহুদির মধ্যে একজন বন্ধু ছিল রাবাই ইজরাইল স্পিরা- ইহুদি ধর্ম গুরু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে যে সমস্ত ইহুদীকে জীবন্ত অবস্থায় Holocaust থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ছিলেন রাবাই স্পিরা। নিচে বর্ণিত সত্য কাহিনীটা তিনি নিজে তার বন্ধু বারুখ সিঙ্গারকে বলেছিলেন।

জানৌয়াস্কা বন্দি শিবিরে একটি ঠান্ডা অন্ধকার রাতের কথা। হঠাৎ বন্দিদের কানে এল এর ভয়ংকর চিৎকার-' তোদের এক্ষুনি ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এসে সামনের খালি জায়গায় একত্রিত হয়ে দাঁড়াতে হবে। ব্যারাকের ভেতরে ঢুকে থাকা প্রতিটি মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হবে। মুহুর্তের মধ্যে ব্যারাকে হুলুস্থুল শুরু হয়ে গেল। মানুষগুলির দরজার দিকে গায়ের জোরে দৌড়াতে লাগল। দৌড়ে যাবার সময় তারা নিজের বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনকেউ ব্যারাক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চিৎকার করে করে বলতে লাগল। আতঙ্কে দিশেহারা হওয়া মানুষগুলি ঠেলাঠেলি করে এবং অনেক মানুষকে ছিটকে মাটিতে ফেলে দিয়ে সামনের খালি জায়গার উদ্দেশ্যে দৌড়াতে লাগল। ক্লান্তিতে আধমরা হয়ে এবং হাঁফাতে হাঁফাতে তারা কোনভাবে খালি  জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল। জায়গাটার মাঝখানে ছিল দুটি প্রকাণ্ড গর্ত- যতটা প্রশস্ত ঠিক ততটাই গভীর। গর্ত দুটি দেখে তাদের কোথায় এবং কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে কথা বুঝতে ইহুদিদের আর বাকি রইল না। আতঙ্ক বিহ্বল দৃষ্টিতে তারা গর্ত দুটির গভীর অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকতেই আবার তাদের কানে পড়ল সেই একই কর্কশ চিৎকার-' ঐ কুকুরের দল, তোদের যদি জীবনের মায়া থেকে থাকে এবং এখনও বেঁচে থাকতে চাস, তাহলে তোদের সেই গর্ত দুটি লাফ মেরে পার হতে হবে। যারা লাফ দিয়ে গর্তের ওপারে পৌঁছাতে পারবি না তাদেরকে মেশিনগানের গুলিতে উড়িয়ে দেওয়া হবে।'

হুকুমটা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্দিদের কানে  এল একটা ভীষণ অট্টহাস্য।

বন্দিরা বুঝতে পারল যে গর্তটা লাফিয়ে পার হওয়ার মতো তাদের কারও সাধ‍্য নেই।জানৌয়াস্কা বন্দিশিবিরের ঘন অন্ধকার সেই কাজটাকে করে তুলেছে আর ও বেশি অসম্ভব। যে সমস্ত বন্দি ইহুদিদের গর্ত দুটি লাফিয়ে পার হওয়ার জন্য বলা হয়েছে তারা জীবন্ত কঙ্কাল ছাড়া আর কিছু নয়। অনাহার অনিদ্রা রোগ অমানুষিক পরিশ্রম এই সমস্ত কিছু মিলে ওদের ইতিমধ্যে এক একটি জীবন্ত কঙ্কালে পরিণত করেছে ।গর্ত দুটি লাফিয়ে পার হওয়ার চেষ্টা করা মানে রাতের অন্ধকারে গভীর গর্তে পড়ে মৃত্যুবরণ করা। অন্যদিকে লাফানোর চেষ্টা না করলেও তাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে উদ্যত মেশিনগান অর্থাৎ মৃত্যু নিশ্চিত। একমাত্র অনিশ্চিত কথাটা হল কোন পথে আসবে সেই মৃত্যু।

রাবাই ইজরাইল স্পিরার কাছে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়েছিল অন্য একজন বন্দি। বন্দি শিবিরে বহুদিন একসঙ্গে থাকার ফলে দুজনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। পোল্যান্ডের সেই ইহুদিটি ছিল ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করা একজন নাস্তিক।

নাস্তিকটি রাবাইকে বললেন –‘স্পিরা, আমরা যে গর্তটা লাফিয়ে পার হতে পারব সে আশা করা বৃথা। সেটা করতে চেষ্টা করলে আমরা জার্মানদের তামাশার খোরাক জোগানো হবে। আমাদের এমনিতে ও মরতে হবে, তেমনিতেও মরতে হবে, তাই এসো লাফানোর চেষ্টা না করে আমরা গর্তটার কাছেই বসে পড়ি ,জার্মানরা আমাদের গুলি করে মারুক।'

দুজনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় স্পিরা বললেন-‘ বন্ধু, মানুষকে ঈশ্বরের আদেশ মানতে হবে। যদি ঈশ্বরের কাছ থেকেই আদেশ আসে যে গর্তটা করা হবে এবং আমাদের লাফিয়ে পড়ার হুকুম দেওয়া হবে তাহলে গর্তটা করা হবেই এবং আমাদেরও লাফিয়ে পড়তে হবে। আর যদি ঈশ্বর না করেন, যদি আমরা গর্তটা লাফিয়ে পার হতে না পেরে তার মধ্যে পড়ে যাই তাহলে এক সেকেন্ড পরেই আমরা প্রবেশ করব সত্যের জগতে। তাই বন্ধু আমাদের লাফাতেই হবে।'

বলতে বলতে তারা গর্তের কাছে গিয়ে পৌঁছাল। ইতিমধ্যে গর্ত দুটি লাফিয়ে পড়া মানুষের মৃত দেহে উপচে পড়ছে। রাবাই স্পিরা তার   পা দুটির দিকে তাকাল। রোগ এবং অনাহারে ক্ষয় হতে হতে তাঁর ৫৩ বছরের পা দুটি কেবল হাড় আর  ছালে পরিণত হয়েছে। তার পাশে দাঁড়ানো বন্ধুর দিকে তাকাল। বন্ধুও একটি জীবন্ত কঙ্কাল। কেবল তার চোখ দুটি অঙ্গারের মতো জলছে।

গর্তের কাছে পৌঁছে রাবাই চোখ বুজে জোরে চিৎকার করে উঠল-' আমরা লাফ দিচ্ছি'।

পরের মুহূর্তে দুজনেই আবিস্কার করল যে তারা গর্তটির ওপারে মাটিতে পা রেখেছে অর্থাৎ তারা গর্তটা লাফিয়ে পার হতে সক্ষম হয়েছ।

নাস্তিক বন্ধুটি আনন্দে নাচতে নাচতে চিৎকার করে বলতে লাগল- ‘স্পিরা, স্পিরা গর্তটি লাফিয়ে পার হয়েছি। দেখ, দেখ, আমরা বেঁচে আছি। লাফিয়ে গর্তটা পার হয়ে আমরা এপারে পা রেখেছি। আমরা বেঁচে আছি। স্পিরা, আমরা বেঁচে আছি। কথাগুলি বলতে বলতে তার চোখ ফেটে আনন্দের ধারা বইতে লাগলো। নাস্তিক বন্ধুটি আবার বলতে লাগল-‘স্পিরা, আমি তোমার জন্যই বেঁচে আছি। ঈশ্বর আছে,ঈশ্বর নিশ্চয় রয়েছেন। স্পিরা, আমাকে বলতো এই অসম্ভবকে তুমি কীভাবে সম্ভব করে তুললে?’

স্পিরা বললেন-‘আমি আমার পূর্বপুরুষের বিশ্বাসকে খামচে ধরে ছিলাম। আমি আমার পিতা, পিতামহ প্রপিতামহের কোটের প্যান্ট  খামচে ধরে ছিলাম। কিন্তু আমার নাস্তিক বন্ধু, তুমি কীভাবে গর্তটা লাফিয়ে পার হতে সমর্থ হলে? ‘আমি খামচে ধরে ছিলাম তোমাকে’- রাবাইর বন্ধু উত্তর দিল।

-----------


লেখক পরিচিতি-১৯৩২ সনে লক্ষ্মীমপুর জেলার ঢকুয়াখনায় হোমেন বরগোহাঞির জন্ম হয়। ১৯৫৪ সনে কটন কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতক। সাময়িকভাবে সরকারি চাকরি করে সাহিত্যচর্চা এবং পরবর্তীকালে সাংবাদিকতা কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ‘নীলাচল’, ‘জনক্রান্তি’, ‘নাগরিক’,’অসম বাণী’ইত্যাদি কাগজের সম্পাদনা করেন। ‘পিতাপুত্র’ উপন্যাসের জন্য ১৯৭৭ সনে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ‘আত্মানুসন্ধান’, ‘বিভিন্ন নরক’, ‘সুবালা’, ‘মৎস্য গন্ধা’, ‘সাউদর পুতেকে নাও মেলি যায়’ লেখকের অন্যতম গ্রন্থ। লেখকের ছোট গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ এবং আত্মজীবনী মূলক  রচনা অসমিয়া সাহিত্যকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করে তুলেছে। কিছুদিন আগে এই মাসেই বরগোহাঞি প্রয়াত হন।  



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...