পূরবী~ ৫১
অভিজিৎ চৌধুরী
এখানকার প্রকৃতি খুব অনুদার।বের হলেই শুধু হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি ছুটে চলে।
মনে পড়ে বাংলার ঋতু বৈচিত্র্য। সেই সকাল দুপুর সন্ধে আর লেখা আর লেখা।দুপুরে বৃষ্টি হলো আর বিকেল হলেই কে যেন আবির রং হেলায় ছড়িয়ে দিতো চরাচরে।রাতে শেয়াল আর বিষাক্ত সাপেদের আনাগোনায় ভয় করত কিন্তু এখন মনে হয় সেই চিত্রল সরীসৃপদের রূপও তো কম ছিল না।এমনও তো হতে পারে কোন সর্পিণী ছিল তার গতজন্মের সাথী।সে ভুলে গেছে কিন্তু সখী মনে রেখেছে তাকে।
শিলাইদহ থেকে ফেরার পর জোড়াসাঁকোর বাড়ি তেমন ভালো লাগত না রবীন্দ্রনাথের। শান্তিনিকেতনে পাঠশালা খুললেন।ধীরে ধীরে পরিবারের গণ্ডি কাটিয়ে তার ব্যাপ্তি বাড়ল।
সাজাদপুর পদ্মা তাঁর লেখক সত্তায়, গীতিকার সত্তায় এক অনন্য সংযোজন।পতিসরের কথা তিনি কখনও ভুলতে পারেননি।
তীর্থও পলাশিপাড়ায় থাকার সময় ভোরে দুপুরে রাতে লিখত নিয়মিত বিশেষ করে ছুটির দিনে।গগন হরকরার সুর আর জ্যোতিদাদার কিশোরবেলায় পিয়ানোর ইউরোপীয় সংগীত ধারা মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত।
কে লেখায়! অবসর না প্রকৃতির মমতার প্রলেপ!
আজ মনে হয় অপরূপা বাংলার ভূপ্রকৃতি আসল সৃজক।মৌলিক কখনও কিছু হয় না কারণ সব কিছুই মুক্তি পেয়েছে বসন্ত হেমন্ত আর বর্ষার অবিরাম জলধারায়।
পাতা ঝরছে শুকনো পাতা কখনও কখনও মনে হতো পাখির পালকের মতোনই উঠে চলেছে দিগন্তের শেষ সীমান্তে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন