দ্য ভয়েস অফ মিডনাপুর-এর বন্ধুদের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন
শিবদেব মিত্র
বিপ্লবের নগর মেদিনীপুরের অহংকার, ১০৬ ফুট উচ্চতার জাতীয় পতাকা মঞ্চের পাদদেশে, মেদিনীপুর এর একরাশ তরুণ, যুবা ও ক্ষুদে কিশোর (আমাদের আদরের ভ্রাতুষ্পুত্র) রাজবীর এর সহযোগিতায়, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী মহাশয় এবং আমাদের শুভানুধ্যায়ী নিতাই দাসের আন্তরিক সহায়তায়, মেদিনীপুর নগরবাসীর আগ্রহে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগে স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী সূচনা উৎসব এবং মেদিনীপুর এর আপনজন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ এর সার্ধশত জন্মদিবস কোভিড ও বন্যার্ত জেলার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে অনাড়ম্বরে এবং অন্তরের শ্রদ্ধায় স্মরণ ও পালন করল দ্য ভয়েস অব মিদনাপুর। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, উদ্যোগ এর পক্ষে, ডা. বাসুদেব চক্রবর্তী এবং ডা. আনিসুর হক। উপস্থিত ছিলেন সর্পবন্ধু দেবরাজ, সৌম্যজিৎ ধল, শুভদীপ মানা, অর্ণব মহাপাত্র, শানু ঘোড়ই প্রমুখ। উদ্যোগের পক্ষে অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমাদের উদ্যোগের পক্ষে মেদিনীপুর নগরবাসীর আকাঙ্ক্ষার কথা মাথায় রেখে শিবদেব মিত্র এই জাতীয়তা বোধের স্মারক এই ১০৬ ফুট সুউচ্চ ৬০০ বর্গফুটের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের দাবিতে জনমত গঠনে পথে নামেন। হাত বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি আদায় ও নতুন পতাকা নির্মাণের বন্দোবস্ত করেন। অবশেষে পুর কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতাকে মান্যতা দিয়ে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদার কথা মাথায় রেখে আমাদের উদ্যোগের পক্ষে, অনাড়ম্বরে স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী বর্ষ সূচনা ও ঋষি অরবিন্দ ঘোষের সার্ধশত জন্মদিবস পালন করা হয়ে থাকে। উদ্যোগের পক্ষে মুখপাত্র শিবদেব মিত্র পুর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং শহরবাসীর মধ্যে জনমত গড়ে তোলার জন্য সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তাপস সাহু জানিয়েছেন, 'অনেকদিন জঞ্জাল হয়ে পড়েছিল এই উদ্যান। সাপখোপের উৎপাত বাড়ছিল। তবুও তো পরিস্কার হল।' এলাকার অপর বাসিন্দা ডা. শুভাশীষ ঘোষের কথায়, খুব ভালো উদ্যোগ তোমাদের। কি অবস্থা হয়ে পড়ে আছে সেই কবের থেকে। কোনো প্রয়োজন হলে বলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুর পৌরসভার ১৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে নগরের সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৬ মে প্রতিষ্ঠিত হয়, এই পতাকা স্তম্ভ। উদ্বোধন করেন তদানীন্তন পৌরপিতা প্রণব বসু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন