পূরবী- ৮৫
অভিজিৎ চৌধুরী
এই নে আমার বীণা দিনু তোরে উপহার,/ যে গান গাহিতে সাধ, ধ্বনিবে ইহার তার।
বারবার বলতেন আমার গান থাকবে।
কতো রাত তীর্থের কেটেছে গহন অন্ধকারে রবিবাবুর গানু শুনে।
ঘুম না হলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে না।আইনস্টাইন দশ ঘন্টা ঘুমের কথা বলতেন।নেপোলিিয়ন নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুমিয়ে নিতেন।কখনও কখনও তিনি নাকি ঘোড়ার ওপর শুইয়ে পড়তেন।
সেন্ট হেলেনা বা এলবা দ্বীপে তাঁর কি ঘুম আসতো! প্রতিদিন তাঁর শরীরে চলছে বিষক্রিয়া। অবশ্য তিল তিল মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও পড়াশুনাটা ছাড়েননি।বলেন নি আমার সময় নেই বা মন খারাপ।
কাল সারা রাত আপনি
তো ঘুমোন নি!
হাসলেন রবীন্দ্রনাথ। বললেন, হ্যা।পারিবারিক একটা বিবাদে মন ভারাক্রান্ত ছিল।
ভোরে দেখলাম গান গাইছেন।
গানের সুর, ভোরের আলো মনটাকে পরিশ্রুত করল।তাই তো এসেছি উপাসনা গৃহে।
তোর গানে গলে যাবে সহস্র পাষাণ- প্রাণ।
বেথুন সোসাইটির ডাকে মেডিকেল কলেজ হলে প্রবন পাঠের কথা ছিল।বিষয় ছিল সংগীত।রেভারেণ্ড কৃষ্ণমোহন এসেছিলেন।
মেডিকেল কলেজ হলে তারা বাংলার লেখক সন্মাননা পেয়েছিল তীর্থ আর অনেকের সঙ্গে।
তখন বারবার মনে হয়েছিল,রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন।বিষয় ছিল সংগীত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন