বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

প্রভাত চৌধুরী || সৌমিত্র রায়- এর জন্য গদ্য || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায়-এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী

১৯.
প্রথমেই একটা নির্মম সত্য-কে স্বীকার করে নেওয়া উচিত। আমি যে সময় কবিতা থেকে নির্বাসনে চলে গিয়েছিলাম স্ব-ইচ্ছায় তার আগে আমি কবি হিসেবে কি খুব গ্রহণযোগ্য ছিলাম ? এর সহজতম উত্তরটি হল : না।
ওই সময় পবিত্র মুখোপাধ্যায় , রত্নেশ্বর হাজরা , কালীকৃষ্ণ গুহ , পুষ্কর দাশগুপ্ত , পরেশ মণ্ডল , মৃণাল বসুচৌধুরী ছাড়াও ভাস্কর চক্রবর্তী সুব্রত চক্রবর্তী শামশের আনোয়ার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত প্রমুখ কবিদের স্বীকৃতি অনেকটাই বেশি ছিল।
তবে আমি গল্পকার এবং ঔপন্যাসিক হিসেবে অনেকটা পরিচিত ছিলাম। ধ্বংসকালীন কবিতা আন্দোলনের যাবতীয় ক্ষীর এবং ননী পবিত্র মুখোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে গেছে। আমার মেফিস্ টোফেলিস কিংবা কাননকুমারের খলিলুল্লা সেভাবে প্রচারিত হয়নি।আরো একটা সংবাদ জানিয়ে রাখি আমি নির্বাসনে যাবার আগেই ' ইন্দ্রজাল ' দীর্ঘকবিতাটি লিখে ফেলেছিলাম।
নির্বাচন-পর্ব শেষ হবার পর যখন ফিরে এলাম তখন আমার শরীরে নতুন খোলস। অর্থাৎ অতীতের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট ছিল না।
অর্থাৎ যে প্রভাত চৌধুরী নির্বাসনে গিয়েছিলেন আর যে প্রভাত চৌধুরী ফিরে এলেন তাদের দুজনের মধ্যে তুমুল পার্থক্য।যেন একজন আর একজনের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত।
এই সুযোগ আমাদের সময়ের আর কারো ছিল না।যেমন কালীকৃষ্ণ গুহ-র কবিতার ধারাবাহিক পঠনপাঠন করেও  চরিত্রগতভাবে তেমন কোনো পরিবর্তন বের করে আনতে পারবেন না। কালীকৃষ্ণ এখনো আমার বন্ধুত্বকে অস্বীকার করে না , একারণে ওর কথাই লিখলাম।
আমি ফিরে আসার পর এক বছরে ( ১৪০০ বঙ্গাব্দ ) মোট ছ-টি কবিতা লিখেছিলাম। এই তো বছর দুই-তিন আগে একদিনে দশটি কবিতা লিখলাম। তাহলে তখন লিখিনি কেন , তার একমাত্র কারণ কবিতাপাক্ষিক-কে আগে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে , এই সংকল্প ছিল। সেই কাজটি কীভাবে সম্পন্ন করেছিলাম তার কিছু গল্পকথা  ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...