শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০

পূরবী~ ৩০ || অভিজিৎ চৌধুরী || এক অন্যধারার উপন্যাস

পূরবী~ ৩০
অভিজিৎ চৌধুরী


কাকদ্বীপে তীর্থের ধরা পড়ল প্রস্টেটের সমস্যা।কোলেস্টেরল। ফ্যাটি লিভার।আর সব অনেক কিছু।
 কারুর কথা না শুনে এলেন কালিম্পং। ভাবলেন শরৎকালটা কাটাবেন কারণ নির্জনতা।বড় প্রিয় তাঁর। সেই ছেলেবেলা থেকে।
 বার্ধক্যে এসে জীবন আর অন্তর্মুখী হয়েছে।বহিরঙ্গ আর বিচলিত করে না।শান্তিনিকেতনের কাজ থেকেও মুখ ফিরিয়ে থাকার দিব্যি আনন্দ রয়েছে।পা দুটো বেশ ফুলে উঠেছে।
 প্রতিমা আর নীলমণি রয়েছে।রাতে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়লেন।সংজ্ঞা নেই।রথীকে খবর পাঠাতে হবে।পাহাড়ে ঝড় বৃষ্টি ভয়ংকর।সেই রাত যেন কাটে না।
 পাহাড়ের ঠাণ্ডায় সেই ভোরে ওঠা।স্নানও কাকভোরে তবে গরম জলে।নাওয়ার ঘরে এক সময় পুরো গান লিখে গেয়েছেনও।যেমন খুশী অঙ্গভঙ্গী করা যায়,দেখার তো কেউ নেই।  কাকদ্বীপের সেই ডাক্তারবাবু গান গাইতেন।ইউরিম্যাক্স দিয়েছিলেন।খেতে ইউরিনের গন্ধ গেল কিন্তু ভয়ংকর মাথার যন্ত্রণা শুরু হল।
 ভোরে ইউরোপিয়ান ডাক্তার এলেন।এতো অনুপম দেহ সৌষ্ঠব দেখে অবাক হয়ে গেলেন।তারপর বললেন,ওঁকে এখনই নিয়ে যেতে হবে।
 তীর্থের মজা লাগল তাও।রবীন্দ্রনাথ আর সে দুজনেরই প্রস্টেট সমস্যা।অবশেষে একটা মিল পাওয়া গেল।
 দার্জিলিং থেকে ট্রেনে চেপে অচৈতন্য রইলেন।কলকাতায় এসে জ্ঞান এলো কিন্তু বিরক্ত হলেন খুব।তবে রথী এসে দেখালেন আনন্দবাজার পত্রিকার শারদীয়ায় তাঁর ল্যাবরেটারি গল্পটা ছাপা হয়েছে।মন প্রসন্ন হয়ে গেল।তার পাঠালেন অমিয় চক্রবর্তীকে গল্পটা পড়েছো!
 অমিয় চক্রবর্তী লিখলেন,এরকম গল্প লেখা যায়! আপনি যে পাষাণে অমৃত নিয়ে এসেছেন।
 কাকদ্বীপে প্রবল বৃষ্টি হলে বি ডি ও অফিস লাগোয়া মাঠে জল জমে যেত।
 তীর্থের মনে হয়েছিল কিছু কবিগান লিখলে মন্দ হয় না।তবে লেখা হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...