সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৭১.
প্রেরকের নাম : সুবীর সরকার , দেবীবাড়ি , নতুনপাড়া , কোচবিহার ৭৩৬১০১ ।এই ঠিকানা থেকে প্রতি মাসে একটা করে খাম আসতো ৩৬ডি , হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটের ঠিকানায়। খামের মধ্যে থাকত দীর্ঘ চিঠি এবং কবিতা।
অনেকেই বলে থাকে একই বয়ানের চিঠি সুবীর পাঠাত বিভিন্ন সম্পাদক-কে। সত্য-মিথ্যা যাচাই করে দেখিনি। যাচাই করার প্রয়োজন বোধ করিনি বলেই।তবে চিঠি পড়ে বেশ মজা পেতাম।আর কবিতা ছাপতে দিতাম। পড়ে অথবা না- পড়ে। তার কারণ আমার পছন্দ নয় এমন কবিতা লিখতে জানত না সুবীর। যা লিখত , সবই আমার পছন্দের কবিতা। সুবীরের গদ্যও ছাপা হয়েছে কবিতাপাক্ষিকে।
এই সুবীর , সুবীর সরকার ' আমাদের কবিতাপাক্ষিক ' শিরোনামের লেখাটিতে দাবি করেছিল :
' উত্তরবাংলায় দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ ছিল কবিতাপাক্ষিক। কারণ ফালতু ও ফাজিল কতিপয় আপাদমস্তক ভণ্ডামিতে ভরা মানুষদের প্রতিরোধ আর ধারাবাহিক বিরোধিতা। আজ বালির বস্তাগুলো জলে ভেসে গেছে। উত্তরবাংলার সব জেলার কবিরা অসংখ্য তরুণ প্রান্তবাসী কবিযুবকেরা নিয়মিতই লিখছেন কবিতাপাক্ষিকে। প্রচার , প্রসার ও সংক্রমণ বাড়ছে।
পাঠক তৈরি হচ্ছে । লেখক তৈরি হচ্ছে। সমালোচক তৈরি হচ্ছে। কবিতা নিয়ে , নতুন কবিতা নিয়ে , নিরীক্ষামগ্নতায় বহুবর্ণ রংদার হাওয়াকলের অনুষঙ্গে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে। স্বপ্নই আবার টেনে আনছেনতুন নতুষ স্বপ্নকে। আসুন আমাদের কবিতাপাক্ষিক-এর পাশে দাঁড়িয়ে প্রায় বিকেলে সমবেত প্রার্থনার ঢঙে আমরা দেখি : হাজার হাজার পাখি উড়ে যায় নদী ,সাঁকো আর শালবন পেরিয়ে ।'
২০০৩-এ প্রকাশিত লেখার কোনো প্রতিবাদ করছি না। প্রতিবাদ করার সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। তাছাড়া সুবীর-এর বক্তব্য সুবীরের। এই বক্তব্যর জন্য কোম্পানি দায়বদ্ধ নয়।
তবে সুবীর নির্দেশিত উত্তরবঙ্গ কেন , দশদিকের দশবঙ্গেও কবিতাপাক্ষিক-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার চেষ্টা হয়েছে অসংখ্যবার , নিয়ে যাবার যে প্রকল্পনা, বা কবিতাকে আপডেট করার ঘোষণা-কে হেয় করার চেষ্টা করছে গুটিকয় ফালতু মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন