সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৬৬.
এর পরে ছিল প্রদীপ বিশ্বাস -এর লেখা। আমরা জানি
প্রদীপ বিশ্বাস = রূপনারায়ণপুর = হিন্দুস্থান কেবলস।
আমি বিশ্বাস করি , আমি যতটুকু বাংলাকবিতাকে আপডেট করার প্রচেষ্টা চালিয়েছি , প্রদীপ বিশ্বাসের প্রচেষ্টা আমার থেকে কম নয়।
সেই প্রদীপ বিশ্বাস-এর লেখার কয়েক লাইন :
' ... অথচ কপা-র প্রতিটি সংখ্যাই যখন পড়তে থাকি প্রথম সাইকেল চালানো শেখার , সাঁতার শেখার , প্যাঁচালো অঙ্ক বাগে আনতে পারার সফল অনুভব সঞ্চারিত হয় শিরায় শিরায়। '
প্রদীপের প্রতিক্রিয়া পড়লেই বোঝা যায় ওর নিজস্বতা।
অসীম দাস তখন কর্মসূত্রে ইসলামপুরে। BSNL কর্মী।
শিলিগুড়ি BOOKS -এর কর্ণধার তপন মজুমদার সূত্রে কবিতাপাক্ষিকের সঙ্গে যোগাযোগ ।
অসীম দাস যা লিখেছিল, তার কয়েক লাইন :
' কবিতাপাক্ষিকও নেটওয়ার্কিং-এ বিশ্বাস করে অবশ্য মুখ চিনে টিনে নয়। '
তপন মজুমদার এই মানুষটির পূর্ণ সমর্থন না থাকলে উত্তরবঙ্গে আমরা ঠিকভাবে ঢুকতে পারতাম না। তপনবাবু শিলিগুড়ির BOOKS -এর কর্ণধার। দীর্ঘকাল কবিতাপাক্ষিক পত্রিকা এবং প্রকাশনার যাবতীয় বইপত্র একান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে বিক্রি করেছিলেন । ওঁনার জন্যই পোস্টমডার্ন চিন্তাচেতনার প্রচার হয়েছিল অনেকটা।
তপন মজুমদার জানিয়েছিলেন :
' কবিতাপাক্ষিক কবিদের প্রতিষ্ঠান।১০ ম বর্ষে এই প্রতিষ্ঠান পা রাখল । প্রতিষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।আজ থেকে দু বছর আগে প্রভাত চৌধুরীর সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেন দে বুক স্টোরের মেজদা (মেজদা)।
অর্ণব চক্রবর্তী , এখন নীলার্ণব চক্রবর্তী । এই বদলটিও আমার একটি অপকর্ম। তখন একাধিক অর্ণব , যারা আবার পদবিতেও চক্রবর্তী , ঠুকঠাক কবিতা লেখালেখি শুরু করেছে। এর মধ্য কে যে কপা-র অর্ণব , বা বারুইপুরের অর্ণব তা জানা যাবে কীভাবে। অতএব আমাদের অর্ণব-কে আমরা নীল যুক্ত করলাম। সেটাই এখনো চলছে।
সেই অর্ণব বা আজকের নীলার্ণব চক্রবর্তীর কবিতা - পাক্ষিক ১০ বছর-এর সংখ্যায় , ০৩ মে , ২০০৩ , লিখেছিল :
যাই হোক , কবিতাপাক্ষিক আমাকে একটা নতুন জীবনে ঢুকিয়ে দিয়েছে। যে জীবনে যেমন প্রচুর নীলনদ , মেহগনি গাছ , ঝরনা আছে , তেমনই আছে শকুন , বিষবৃক্ষ ,মরুঝড়। সুতরাং কুঁজো না হয়ে , পিঠ বাঁচিয়ে দেখা যাক না কতটা এগোনো যায়।দেখা যাক না ,' উদয়পথ পানে দুই বাহু বাড়ায়ে ' বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় ' কিনা।
ওই লেখাটিতে নীলার্ণব একটা তথ্য পরিবেশন করেছিল , সেটি বেশ মজার। আমার জন্য একটি ঢাকের কাঠি।
ও-বছর বইমেলা থেকে যে-কটা বই কিনেছিল নীলার্ণব , প্রতিটি বই-এর ফাঁকা জায়গায় একটা করে কবিতা লিখে দিয়েছিলাম।
ঘটনাটি ছিল একটি পরীক্ষাহল।
পরীক্ষক : নীলার্ণব চক্রবর্তী
আর পরীক্ষার্থী : আমি ।
রেজাল্ট এখনো ঘোষিত হয়নি। আর আমার কোনো অধিকার নেই রেজাল্ট ঘোষণা করার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন