মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য ২০৪ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য

প্রভাত চৌধুরী



২০৪.

কবিতাপাক্ষিক ২৯৫ -এ প্রকাশিত হয়েছিল মুরারি সিংহ লিখিত একটি রিপোর্টাজ : বর্ধমান বইমেলায় কবিতাপাক্ষিক। আজকের নতুন পাঠক এবং নতুন বন্ধুদের জানা দরকার অতীত-কে। এটাও ২০০৪-এর ঘটনা। আমি মুরারি-র ওই রিপোর্টাজটির ওপর নির্ভর করে আমার স্মৃতি-কে পুষ্টিকর করতে চাইছি।

মুরারি লিখেছিল :

কলকাতা বইমেলার বয়স হতে চলেছে ৩০। আর বর্ধমান বইমেলার ২৭ ।

১০ থেকে ১৯ ডিসেম্বর ২০০৪ ছিল সেবছর মেলার দিন। কাটোয়ায় জপমালা-তপন-এর বাড়িতে সযত্নে ন্যাপথলিন সহ কিছু বই রাখা ছিল।তপনের সঙ্গে আগেই কথা হয়েছিল , সেমতো ছোটো বড়ো ৫টি 

বই -এর পেটি এসে গেল বর্ধমান  তৎকালীন তিনকোণিয়া বাসস্ট্যান্ডে। বাসটির নাম : নন্দেশ্বরী , চালকের নাম আসরফ । তিনি বিনা ভাড়ায় পেটিগুলি নিয়ে এসেছিলেন তাই নয় , নিজেদের লোক দিয়ে পেটিগুলিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন স্ট্যান্ডের বাইরে।সেখান মুরারি ছিল। আমি গিয়েছিলাম ৭টা১৫ কর্ড লাইন লোকালে। আমিও বাসস্ট্যান্ডে ছিলাম। দুটো রিক্সাতে ভাগাভাগি করে সব পেটি সহ মেলার মাঠ। স্টল নম্বর ৫৭  । সেখানে ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে দুষ্টু-র ট্রান্সপোর্টে পৌঁছে গেছে বই-এর ট্রাক।সেখানেও আমাদের পেটি ছিল। ইতিমধ্যে এসে গিয়েছিল দীপ সাউ। তারপর পেটি খুলে বই সাজানোর কাজ করেছিলাম সকলে মিলে। আমি দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম আমার শ্যালক উদয়ের বাড়িতে। মুরারি পাশের হোটেলে। তখন স্টলে দীপ একা।

আমাদের পাশের স্টল বাল্মীকি -আলোবাতাস যৌথভাবে।

সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বইমেলায় লোক জমতে শুরু আর কবিতাপাক্ষিক -এর স্টলে ভিড় জমিয়েছিলেন আগ্রহী এবং উৎসাহী মানুষজন। স্টলের মূল দায়িত্ব দীপ সাউ এবং মুরারি সিংহ-র। প্রথম তিনদিন এবং শেষ দু দিন আমি ছিলাম।একদিন করে গৌরাঙ্গ মিত্র এবং আফজল আলি।মুরারিকে একদিন যেতে হয়েছিল পটলডাঙায়।  সেদিন দীপ-কে সঙ্গ দিয়েছিল জমর সাহানি ও রণজিৎ দাস। এছাড়া বিভিন্নদিনে যাঁরা স্টলে এসেছেন আড্ডা দিয়েছেন তাঁরা হলেন : নিয়াজুল হক প্রশান্তি মুখোপাধ্যায় সজল দে কুমুদবন্ধু নাথ রমেশ তালুকদার শ্যামলবরণ সাহা প্রকাশ দাস মহম্মদ রফিক রূপলেখা মজুমদার সনৎ ভট্টাচার্য শুভ্রা সাউ শতরূপা চক্রবর্তী তপন দাস রসুল করিম রাজা দেবনাথ সংঘমিত্রা চক্রবর্তী নিগমেশ বন্দ্যোপাধ্যায় কুশল দে পম্পা দাসকান্ত অমিত নাথ অমিত বাগল ডা: গৌরাঙ্গ মুখোপাধ্যায় জাহাঙ্গির উৎপল সাহা স্বপ্নকমল সরকার কুনাল চক্রবর্তী কৌশিক নন্দন এবং সুদীপ্তা রায়নন্দন সঙ্গে তাদের শিশুকন্যা রাজেশ দে সন্দীপ লাহা সুব্রত চেল গৌর কারক সস্ত্রীক কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। কাটোয়া থেকে একদিন এসেছিল তুষার পণ্ডিত অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় মুহম্মদ মতিউল্লাহ্ এবং রত্না মুখোপাধ্যায় সঙ্গে তাদের শিশুপুত্র যে এসেই সহজ সরল প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল : তোমাদের দোকানে এত বই কেন , খেলনা রাখতে রাখতে পারো না ?

এর কোনো উত্তর আমাদের জানা ছিল না তখন। আজ  জানি। বই-ই ছিল আমাদের খেলনা। আমাদের যাবতীয় খেলা তো বই-এর সঙ্গেই।

বাকিটা আগামীকাল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...