(৭)
সেই প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর না দিয়ে ইলা কেবল জিজ্ঞেস করেছিল-‘মৃত্যুর কথা ভাবতে দিনের বেলা তো এত ভয় লাগে না, রাতের বেলা কেন এত ভয় হয়?’ বিজয়ের হাত দুটি সজোরে চেপে ধরেছিল ইলা।
বিজয়ের শরীরটা হঠাৎ করে শিউরে উঠেছিল,কিন্তু মুখে সে শান্ত,ম্লান হাসি ফুটিয়ে ধীরভাবে বলেছিল-‘এই প্রশ্নটি অনন্তকালের সমগ্র মানুষের প্রশ্ন ইলা। কিন্তু তুমি এই সমস্ত কথা কেন মিছে মিছি ভাবছ ইলা? আমি তোমাকে কতবার বলেছি তুমি মিথ্যে আজেবাজে চিন্তা করে শরীরটাকে শেষ করতে শুরু করেছ। তোমার কিছুই হবে না- আমি আছি না, আমাকে ছেড়ে তোমাকে কোথাও যেতে দেব না। ডাক্তার তো রয়েছেই, সমস্ত ভালোয় ভালোয় মিটে যাবে। আমরা দুজনে রাতের পর রাত এভাবে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে নীরবে প্রার্থনা করে থাকি। সেই আকাশ থেকে একটি দেবশিশু এসে তোমার কোল আলোকিত করে তুলবে। তোমার ভালোবাসার ঘর ভরিয়ে ফেলবে। আমাদের দুজনের জীবন পূর্ণ করে তুলবে ইলা,তুমি মিছে ভয় করছয়ে।।
রাত। অদ্ভুত শক্তি এই রাতের। দিনের আলোতে যে আবেগ মাখানো কথাগুলি বিজয় সেদিন উচ্চারণ করতে পারত না রাতের মায়াময় স্পর্শে সেই কথাগুলি সে অনর্গল ইলাকে বলে গিয়েছিল। কিন্তু তবু এই আবেগকে ভেদ করেও এক ভয়াবহ অপার্থিব চেতনা রাতে ওদের মাঝখানে বারবার যেন বয়ে নিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রতিটি রাত এই ধরনের বিভীষিকাময় ছিল না। অন্ধকার রাত ক্রমশ পার হয়ে যায়,জ্যোৎস্নার মায়াময় রাতগুলি এগিয়ে আসে। গভীর রাতের সেই জ্যোৎস্না অপার্থিব, রহস্যময়। কিন্তু জ্যোৎস্না রাত ওদের কাছে বিভীষিকা বয়ে আনে না, আনে এক অতি করুণ মাধুর্য।মনগুলি আবেগের কান্নায় ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। এই অপরূপ মোহনীয় জ্যোৎস্নার রাতগুলি মৃত্যুচেতনা জাগিয়ে তোলে, সুদূর অজানা দেশ থেকে কে যেন ডাকে,কিন্তু সেই আহ্বান ভয়ের পরিবর্তে মনগুলিকে করে তোলে অতি করুণ, বিষন্ন, কিন্তু সেই বিষণ্ণতাও যে এত মধুর।
ইলা লাগানো রজনীগন্ধা এবং জুঁই ফুলগুলি সাদা হয়ে সামনে ফোটে থাকে। শুভ্র জ্যোৎস্না ওদের সেই শুভ্রতাকে আরও অপরূপ করে তোলে। শরীরকে স্নিগ্ধ করে তোলা এক ঝাঁক মলয় বাতাস এসে সেই ফুলগুলির মৃদু সুবাসে জায়গাটা ভরিয়ে ফেলে। আর সেই সুগন্ধের পরিপূর্ণ আঘ্রাণ নিয়ে বিজয় ইলাকে বলে- ‘জান ইলা, কলেজে পড়ার সময় আমার মনটা এখনের চেয়ে রোমান্টিক এবং কবিত্বপূর্ণ ছিল। কখনও বা রাতে জেগে উঠে আমি প্রিয় কবিতার একটি বই খুলে বসি। আবেগে আমার গলা রুদ্ধ হয়ে আসে। কবিতার বই বন্ধ করে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে বেরিয়ে আসি। জ্যোৎস্নারাত হলে সেই নিস্তব্ধ সমগ্র বিশ্ব প্লাবিত করার দিকে তাকিয়ে ভাবি এত অদ্ভুত সুন্দর জ্যোৎস্নারাত গুলি যুগ যুগ ধরে মানুষের দৃষ্টির আড়ালে থেকে এভাবে অপচয় হয়ে আসছে আর অপচয় হতে থাকবেও। এত বিপুল সৌন্দর্যের কী বিরাট অপচয়!
জোছনার আলোতে ইলাকে কিছুটা হাসতে দেখে বিজয়। খুব ক্লান্ত সেই হাসি, তারপরে সে বলে-
‘পৃথিবীতে কেবল জ্যোৎস্নারই অপচয় হচ্ছে নাকি? সেই কোটি কোটি শিশু সন্তানের কথা ভাবুন তো, যাকে জন্ম দিতে গিয়ে মায়েরা দশ মাস কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু এত কষ্টে জন্ম দেওয়া শিশুগুলির অনেকেরই জন্মের পরেই মৃত্যু হয়ে যায়-মায়েদের এত কষ্ট,এত হিয়াভরা কান্না ব্যর্থ করে সন্তানেরা মরে যায়- এটাও কি পৃথিবীর কম অপচয়?’
সেদিন রাতে বিজয় ইলার নিজের মৃত্যু ভয়ের সঙ্গে আরও এক ভয়ের কথা জানতে পারল তার- ওদের অনাগত শিশুটির মৃত্যুহয়।
কিন্তু ইলার সেই ভয় একদিন অমূলক হয়ে গেছিল। মা বা সন্তান কার ও মৃত্যু হল না। সুস্থ -সবল পোনাকে জন্ম দিয়ে ইলাও বেঁচে রইল,অবশ্য সে প্রায় মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছিল।
তারপর ধীরে ধীরে দিন পার হয়ে যেতে লাগল। ইলা ও ক্রমে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠল।আর মানুষের চিরন্তন স্বভাব অনুসারেই সেও মৃত্যুর সঙ্গে প্রায় সাক্ষাতের মতোই সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ভুলে পুনরায় সংসারের মায়ায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ল,পুনরায় ঘর বাঁধার স্বপ্ন রচনায় মশগুল হয়ে পড়ল।
গ্রীষ্মকালের রাতে খাবার পরে সামনের বারান্দায় বেতের চেয়ারে আরাম করে বসে ইলার সঙ্গে ঘরোয়া সুখ দুঃখের আড্ডা মারাটা বিজয়ের একটা প্রিয় অভ্যাস।একদিন এভাবেই দুজন কথা বলার সময় এটা ওটা কথার পরে ইলা বলল-‘আমাদের এই চন্দ্রমল্লিকা ফুলগুলি থেকে কী সুন্দর গন্ধ ভেসে আসছে।’কথাটা বলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল সে,বোধহয় সুগন্ধটুকুর আঘ্রাণ সে পুরোপুরিভাবে নিয়ে নিল। তারপর পুনরায় বলল –সত্যিই আমাদের এই দেশি ফুলগুলির সঙ্গে কোনো ফুলের তুলনা হয়না। বিলেতি ফুলগুলির বাইরের রূপ আছে সত্যি কিন্তু ‘রূপে কি করে,গুণে হে সংসার তরে’- জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে এই কথাগুলি বোধহয় সত্যি। এই রাতের বেলা আমরা ভালোভাবে ফুলগুলোকে দেখিনি কিন্তু চোখকে ভালোভাবে তৃপ্তি দিতে না পারলেও আমাদের নাককে তৃপ্তি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনকেও তৃপ্তি দিয়েছে-‘ আবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল ইলা। তারপর ধীরে ধীরে বলতে লাগল-‘আমার বহুদিনের স্বপ্ন কি জানেন? রবীন্দ্রনাথের ‘নিশীথে’ গল্পের নায়িকার মতো বাড়ির সামনে একটি দেশি ফুলের বাগান করা- যেখানে গন্ধের চেয়ে রঙের প্রাধান্য, ফুলের চেয়ে পাতার বৈচিত্র থাকবে না। আর টবে লাগানো কোনো সাধারণ গাছ-চারার কাছে কাঠি পুতে কাগজে কাগজে কোনো ল্যাটিন নাম লিখে সগৌরবে তার প্রচার করা হবে না। চন্দ্রমল্লিকা, যুথি মালা, গোলাপ, টগর এবং কবরী ফুলের কিছু বেশি প্রাদুর্ভাব হবে। প্রকাণ্ড একটি বকুল গাছের গোড়ার জায়গাটা সাদা মার্বেল পাথরে বাঁধানো হবে-’ এতটুকু পর্যন্ত বলে ইলা সশব্দে হেসে ঊঠে পুনরায় বলেছিল-‘ অবশ্য আমার সেই বাগানের সামনে দুর্ভাগ্যবশতঃ গঙ্গা নদী থাকবে না। কিন্তু ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ নীতি অবলম্বন করে আমি গঙ্গা নদীর পরিবর্তে বাগানের সঙ্গে একটি পুকুর খনন করব বলে কল্পনা করছি।অবশ্য পুকুর মানে চৌবাচ্চা জাতীয় বাঁধানো ছোট একটি পুকুর। বকুল গাছের নিচটাও পাকা বাঁধা- আমরা আর মার্বেল পাথর কোথায় পাব- তারপরে গ্রীষ্মকালে রাতে এভাবে বারান্দায় চেয়ারে না বসে আমার সেই পাকা-বেদীতে গিয়ে বসব। উপর থেকে টুপ টুপ করে সুগন্ধি বকুল ফুল গুলি ঝড় বাতাস এলে আমাদের শরীরে টুপ টুপ করে খসে পড়বে। সামনেই অন্যফুল গুলির সুগন্ধও বাতাসে চারপাশে ছড়িয়ে দেবে। আমাদের সেই কুঞ্জবন গন্ধে বিভোর হয়ে উঠবে। আর আমি সেই ঠান্ডা পাকা বেদিতে আপনার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ব- আর- আর- তারপরে আমি যদি মরেও যাই, কোনো খেদও থাকবে না-’ পুনরায় হেসে উঠল ইলা, কিন্তু এবার যেন সেই হাসিতে আগের মত উচ্ছলতা ছিল না।
অন্ধকারে বিজয়ের শরীরটা মৃদুভাবে শিউরে উঠল। সে রবীন্দ্রনাথের খুব ভক্ত। জীবনের অনেক কথায় তার মনে রবীন্দ্রনাথের কবিতার পঙক্তি গুলি ভেসে আসে। অবশ্য এখন বিজয় ভরালী বইপত্র পড়ে জানতে পেরেছে যে আজকের সমালোচকরা রবীন্দ্রনাথের লেখাকে আগের মতো অপরিসীম শ্রদ্ধার চোখে দেখে না। কিন্তু তিনি আগের যুগের একজন বুড়ো মানুষ, এখনও আগের মতোই রবীন্দ্রনাথের লেখা ভালোবাসেন। তখনও ভালোবাসতেন। আর ইলাকে বিয়ে করে এনে তাকেও ভালবাসতে শেখালেন। কিন্তু ইলা বোধহয় সে ভাবার চেয়েও বেশি ভালোবেসে ফেলেছিল। সে তো এভাবে ইলার মতো গল্প পর্যন্ত মুখস্ত করে ফেলতে পারেনি। ‘নিশীথের’সংলাপ গুলিও তার মুখস্থ নেই, কিন্তু তিনি গল্পটা পড়েছেন। গল্পটির কেবল পরিণতি নয়, তার নায়িকার বিখ্যাত হাসি থেকে রূপের ছবিও সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের মনে পড়ে গেল। ‘তোমারও যে কল্পনার দৌড় ইলা-’ বিজয় অল্প হেসে খুব সহজ এবং সাধারন ভাবে কথা বলার চেষ্টা করল- ‘আজ এতদিন পরে তুমি এভাবে কথা বলছ, আগে কখনও না বলা-’
পুনরায় জোরে হেসে উঠেছিল ইলা- ‘কারন কি জানেন? রাত, চারপাশের এই রাতের মায়া- কিন্তু আমার স্বপ্ন হলে দিনরাত দুটির মতোই সত্য হতে হবে, অর্থাৎ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবার জন্য আমি আপ্রান চেষ্টা করব।’ এবার গম্ভীর হয়ে পড়েছিল ইলা, ‘কোনো একটি গল্প কিছু একটা কথা ভালো লাগে তাকে অনুসরণ করলাম বলেই যে সম্পূর্ণ গল্পটা সত্য হবে, সেই ভয়ে করতে গেলে সংসারে অনেক কাজ করাই দেখছি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের বাড়ির সামনে একটি মেয়ে ছিল, সে খুব সুন্দর করে তাঁতে ফুল তুলতে জানত। কিন্তু বেচারি বিয়ের পরেই বিধবা হল,তার কাছ থেকে আমাদের আশেপাশের অনেক ছেলেমেয়ে তাঁতে ফুল ফোটাতে শিখল। তার মত একই রঙের সুতো একই নমুনার ফুল ফোটাতে লাগল। সেদিন কি তারা ভয় পেয়েছিল একদিন তাদেরও মেয়েটির মতন অবস্থা হবে-
’ সেদিন রাতে ইলার মনপ্রান খুলে গিয়েছিল। রাতের মায়া বোধহয় তাকে সেদিন গভীর ভাবে মোহাবিষ্ট করেছিল। বিজয় স্তব্ধ হয়ে বসে শুনতে থাকল আর ইলা বলে গেল-‘ আপনি আমাকে সেদিন বলেছিলেন- এক কাঠা জমি কেনার টাকাতো জমা হল, এখন দেখেশুনে এক কাঠা জমি কিনে নেওয়া ভালো। আপনি আমাকে এটাও বললেন-‘আমরা তিনটি প্রাণীর সংসার, ছোট একটি জমিতে ছোট্ট ঘর একটা বানাতে পারলেই হবে। আপনার ধারণা, আমি অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়েছি। পোনার জন্মের পরে আমাদের খরচ আরও বেড়ে গেছে, তাই জমিটা কেনা হলে আমরা সেই কষ্টের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। কিন্তু কষ্ট করেছি বলেই তো সেই জমি ঘর আমার আরও অনেক বেশি আদরের,বেশি মায়ার। আর সেই জন্যই তো সেই বাড়ির স্বপ্ন দেখতে এত ভালো লাগে। কিন্তু এক কাঠা জমি কিনে একটা ঘর বানালে আমার এতদিনের জল্পনা-কল্পনা যে বৃথা যাবে। এতটুকু জমিতে আমার ফুলের বাগানটা কীভাবে হবে, পেছনের বাগানটাই বা কীভাবে করব? আমার কত কল্পনা- সামনের বাগানের ফুলের গন্ধে চারপাশ বিভোর হয়ে থাকবে। কেবলমাত্র একটা বাড়ি যেন শুধু মানুষের খাওয়া থাকার মত ব্যবহারের জীবনের দিকে সচেতন করে দেয় কিন্তু তার সঙ্গে বাগানটা মানুষের সৌন্দর্যপ্রিয় মনটা প্রকাশ করে। আপনি কি হাসছেন?- মানুষের সৌন্দর্য প্রিয়তাকে এভাবে সঙ্কীর্ণতার মধ্যে বন্দি করতে দেখে? বাবা বলেন-‘জীবনে কোনো কথাকেই ক্ষুদ্র বলে উপহাস করতে নেই। বড় বড় শিল্পীর কাছে সৌন্দর্যের ধারণা বিরাট, তাদের সৌন্দর্য সৃষ্টি ও একই ভাবে বিশাল, কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষের এটা সাধারন স্বপ্ন এবং সাধনা।’ আমি তো কখনও একটা সুন্দর ছবি আঁকতে পারিনা, একটা সুন্দর কবিতা লিখতে পারি না, কিন্তু আমার কাছে আমার বাগানই আমার ছবি, আমার কবিতা। সেই বাগানের ফুল দিয়ে আমি আমার ঠাকুরঘর আরও পবিত্র করব,আমার বাড়িটা আরও সুন্দর করে সাজাব, প্রতিবেশীদের শুভ কাজে প্রয়োজন হলে সেই বাগানের ফুল তুলে দিয়ে মনে তৃপ্তি লাভ করব। আমাদের বাগানের শাকসবজির সবুজ চেহারা দেখে চোখ জুড়োবে,নিজে খাব,প্রতিবেশীদের বিলাব। আমাদের বাগানের কুল গাছের নিচে শীতকালের রোদ নিয়ে আমাদের পোনা তার সঙ্গীদের সঙ্গে কুল কুড়োবে, গ্রীষ্মকালে আম গাছের নিচে আম কুড়োবে-’
‘ইলা-’ এতক্ষণের স্তব্ধতা জোর করেই যেন দূর করে বিজয় এইবার প্রায় চিৎকার করে উঠল –‘তোমার কল্পনা যেভাবে দৌড়াচ্ছে, রাতও যে সেভাবে দৌড়ে প্রায় শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে,সে খবর আছে কি?’
মুহূর্তের জন্য কিছুটা অপ্রস্তুত হলেও সঙ্গে সঙ্গে ইলা জোরে হেসে উঠেছিল- ও হো,রাত মোটেই দৌড়াচ্ছে না। প্রথমে আমাকে সে জাদু করে নিয়ে শেষে সে নিজেই আমার অভাবনীয় কল্পনার দৌড় দেখে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’
‘একটু আস্তে আস্তে হাসো ইলা। তোমার হাসিতে পোনা তো জেগে উঠবেই, আশেপাশের প্রতিবেশীরাও জেগে উঠবে।’
‘ও আমার সোনা। এতক্ষণ সে একা একা শুয়ে আছে-’ একদৌড়ে ভেতরে চলে গেল ইলা,আর ঘুমন্ত পোনাকে বুকে জড়িয়ে ধরে অজস্র সময় মুখ ভরিয়ে দিতে লাগল। সেদিকে তাকিয়ে একটা উদ্গত নিশ্বাস রোধ করে বিজয় জ্বলতে থাকা আলোটা একটু কমিয়ে শুয়ে পড়ল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন