যোগ – বিয়োগ
অভিজিৎ চৌধুরী
বাবা বলল,তোর টিম নামতে পারছেনা।তুই তো স্ট্রাইকার।
প্রচণ্ড চোট ডান পায়ে ফাইনালে নামতে পারব না।
বাবা নাছোড়বান্দা, অগত্যা নামতে হল।
অনেক বছর পর।শালবনির মাঠ।
ইস্এই বলটা বি ডি ও সাহেব মিস করলেন!
মাটিতে লুটিয়েও পড়তে পারলাম না,কোন রিফ্লেক্স এখন নেই।
শেঠি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মাস ছয়েক পর।
মাসেল পেইন!
ডাক্তারবাবু এক্স – রে প্লেট দেখছিলেন।
খেলতে নেমেছিলাম।
বয়স কতো!
সাতান্ন।
বেকেনবাওয়ার নাকি মিশেল প্লাতিনি! কোন এক্সারসাইজ করেন!
মুখ নীচু করে বললাম, না।
প্রথমে ফিজিওথেরাপি, তারপর ব্যায়াম।
মাঠে দৌড়াচ্ছে একজন।
কাকীমা বললেন,কেমন আছ!
মোটামুটি।বয়স হয়ে গেল অনেক।
সাচিতা সাচিতা।
একজন এলেন।
তোমার বয়স কতো!
সাতান্ন।
তোমার বয়সি।নো পেইন কারণ যোগা।
কাকীমা আবার বললেন,ওর কাছে শিখবে!
আমি বললাম,যোগা!
হ্যা।অনেকে শিখছে তোমার বয়সি বা আর বেশী।
মাঠে তাকিয়ে দেখলাম অনেকেই মাস্ক খুলে প্রাণায়াম করছেন।
আমিও শুরু করলাম যতোদিন না রুটিন থেকে বিয়োগ করছি।
ভাবতেই আবার মাসেল পেইন।
উফ্।
কি হলো তোমার!
কিছু না,করব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন