পূরবী~ ৫৯
অভিজিৎ চৌধুরী
শেষ লেখা কবিতায় রবীন্দ্রনাথ একদিন লিখলেন,
মিথ্যে বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছো নিপুণ হাতে।
তীর্থও জানে,একদওন সব শূন্য করে চলে যাওয়া।পিছনে পড়ে থাকবে এক রমণীয় পথ।সেখানে রোদ কুয়াশার খেলা।কতো নতুন ভাব অভাবের নিয়ত দিনলিপি।ছলনা জাল তাঁরও মনে হয়েছে শেষমেশ।এই ছলনায় বারবার আবিষ্ট হওয়া।নিজেকে নতুন করে দেখা।
আর আছে অর্থহীন কাজ।সেখানে ছলনা নেই।সেখানে কোন বিচিত্র পথ নেই ৷ আছে শুধু সর্দারের চাবুক।তবুও দেখা হয় নন্দিনীর সঙ্গে।সে ভালোবাসে আরেকজনকে।কতোখানি অধিকারবোধ তার।তার যে একটুতে অভিমান হয়,রাগ হয়।সব শোনে তীর্থ যেমন করে মেহের আলি বলে,সব ঝুট হ্যায়।শাশ্বত নয় তার আর রবীন্দ্রনাথের অস্তিত্ব।বৃথা হাওয়া রোদ্দুর বলে,সে কি আমায় নেবে চিনে!
নব ফাল্গুনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বেলা বয়ে যায় রাজবাড়িতে বাজে ঘন্টা।ঢং ঢং ঢং।
মায়াদর্পণ কাঁপে।দেখা যায় তিনি আসছেন।সৌম্য,শান্ত।বলবেন,জল দাও।
তৃষিত, তাপিত মানব যতোটুকু ছলনার জালে মোহিত হতে পারে তাতেই তার বাঁচার আনন্দ।
মিথ্যে বিশ্বাসের ফাঁদ প্রবলতর হয়।সে বলে,এই তো একবার প্রিয়া, খুলে দাও বাহুডোর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন